ঔরঙ্গাবাদ বিমানবন্দর

ঔরঙ্গাবাদ বিমানবন্দর (আইএটিএ: আইএক্সইউ, আইসিএও: ভিএএইউ) ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের ঔরঙ্গাবাদ শহরে অবস্থিত একটি সরকারি বিমানবন্দর। এটি শহরের কেন্দ্র থেকে ৫.৫ কিলোমিটার পূর্বে এবং ঔরঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ঔরঙ্গাবাদ-নাগপুর রাজ্য মহাসড়কের পাশ অবস্থিত। বিমানবন্দরটি ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত। ১,৯০,০০০ বর্গফুট এলাকার একটি যাত্রী টার্মিনালের সাথে রয়েছে বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরটি থেকে সাধারণত অন্তর্দেশীয় গন্তব্যস্থলে উড়ান পরিচালিত হয়, তবে হজ উড়ান পরিচালনা করতে তাত্ক্ষণিক অভিবাসন এবং কাস্টমস কাউন্টারে ব্যবহার করা হয়।

ঔরঙ্গাবাদ বিমানবন্দর
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনজনসাধারন
পরিচালকভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
অবস্থানঔরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র
এএমএসএল উচ্চতা১,৯১১ ফুট / ৫৮২ মিটার
স্থানাঙ্ক১৯°৫১′৪৬″ উত্তর ৭৫°২৩′৫৩″ পূর্ব
মানচিত্র
আইএক্সইউ মহারাষ্ট্র-এ অবস্থিত
আইএক্সইউ
আইএক্সইউ
ভারতে ও মহারাষ্ট্রে বিমানবন্দরটির আবস্থান
আইএক্সইউ ভারত-এ অবস্থিত
আইএক্সইউ
আইএক্সইউ
ভারতে ও মহারাষ্ট্রে বিমানবন্দরটির আবস্থান
রানওয়ে
দিক দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
ফুট মি
০৯/২৭ ৯,৩০০ ২,৮৩৫ কংক্রিট / অ্যাস্ফাল্ট
পরিসংখ্যান (২০১৪)
যাত্রী সংখ্যা458,107(বৃদ্ধি2.27%)
সংখ্যা সংখ্যা4,369
পণ্য (টন)1,178
সূত্র: এএআই,[1]

বিমানবন্দরে একটি ০৯/২৭ ভিত্তিক, ৯,৩০০ ফুট (২,৮৩৫ মিটার) দীর্ঘ আস্ফাল্ট রানওয়ে রয়েছে। রানওয়েটি উড়ান পরিচালনার জন্য আএলএস ব্যবস্থা দ্বারা সজ্জিত। বিমানবনওদরে বিমান দাঁড়ানোর জন্য দুটি অ্যাপ্রন রয়েছে। একটি অ্যাপ্রন যাত্রী টার্মিনালের জন্য এবং কার্গো টার্মিনালের জন্য অন্য অ্যাপ্রনটি ব্যবহৃত হয়। যাত্রী টার্মিনালের অ্যাপ্রনটি চারটি একই সঙ্গে বৃহত্ত উড়োজাহাজ যেমন এয়ারবাস এ৩২০ পরিবার বা বোয়িং বি ৭৩৭ পরিবার পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। এই দুটি বিমান দাড়ানোর স্থান অ্যারোব্রিজ এবং একটি জেটওয়ের সাথে সজ্জিত।

বিমানবন্দর বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়া,

বিমানবন্দরের আধুনীকিকরণ

প্রকল্প ইতিহাস

১৯৯০ এর দশকের শুরুতে, মহারাষ্ট্র সরকার ঔরঙ্গাবাদ জেলার (অজন্তা, এলোড়া, দৌলাতাবাদ ও আরবাগঞ্জ শহরের বিবি কে মকবরা) পর্যটন বিকাশের চেষ্টা করে কিন্তু প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়।

দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার জেবিআইকে (আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার জন্য জাপান ব্যাঙ্ক) পুরস্কার প্রদান করে, যার এই প্রকল্পের পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করে ছিল। জেবিআইসি বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করে ছিল প্রকল্পটিতে। স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ, বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, স্মৃতিস্তম্ভে রাস্তাগুলির উন্নয়ন করা, পানীয় জলের গুণমানের উন্নত করা, বৈদ্যুতিক সেবা বিস্তৃতকরণ এবং পরিদর্শক-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির বাস্তবায়ন ইত্যাদি এই প্রকল্পে ছিল।

পুনরায় উদ্বোধন

২১ নভেম্বর ২০০৮ সালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখ ও বেসামরিক বিমান মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেল। প্রথম উড়ান জেদ্দা (সৌদি আরব) রুটে উড়ে গিয়েছিল, হজ তীর্থযাত্রীদের বহন করার জন্য। জাতীয় বিমানবাহী সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া হজের জন্য জেদ্দা থেকে সরাসরি উড়ান চালু করে, এয়ারবাস ৩১০ ব্যবহার করে এবং ঔরঙ্গাবাদের নতুন নির্মিত টার্মিনাল ২০০ জন হাজি ব্যবহার করে।[2] এই সঙ্গে, ঔরঙ্গাবাদ বিমানবন্দর দেশের ১৭তম ব্যস্ত বিমানবন্দর হয়ে ওঠে, দেশের হজ উড়ান পরিচালিত বিমানবন্দর গুলির মধ্যে।

৩ মার্চ ২০০৯ সালে বিমানবন্দর নিয়মিত উড়ান পরিচালনার জন্য খোলা হয়ে ছিল।মুম্বাই-আওরঙ্গাবাদ উড়ান সকালা ৮:০৫ য়ে অবতরণ করে, বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ব্যবহার করার জন্য প্রথম নির্ধারিত উড়ান হিসাবে।

বিমান এবং গন্তব্য

যাত্রী

বিমান সংস্থাগন্তব্যস্থল
এয়ার ইন্ডিয়া দিল্লি, মুম্বাই
ট্রুজেট হায়দ্রাবাদ

তথ্যসূত্র

  1. "TRAFFIC STATISTICS - DOMESTIC & INTERNATIONAL PASSENGERS"। Aai.aero। ৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল (jsp) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
  2. Arif Shaikh, "Direct Haj flights from Aurangabad". Daily News & Analysis, November 22, 2008. Retrieved 30 March 2011.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.