ওয়ান, টু, থ্রি

ওয়ান, টু, থ্রি হলো ১৯৬১সালের আমেরিকার কমেডি চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছন বিলি উইলডার এবং লিখেছেন উইলডার ও আই.এ.এল. ডায়মন্ড। এটি ফেরেন্স মোলনারের তৈরি ১৯২৯সালের হাঙ্গারিয় নাটক এগি, কেট্টো, হারোম এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। আর এর কিছুটা অংশ নেয়া হয়েছে ১৯৩৯সালের চলচ্চিত্র নিমোটচ্কা থেকে যা লিখেছেন উইলডার।[3][4] এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জেমস কাগনে, হোর্স্ট বুচলজ, লিলো পুলভার, পামেলা টিফিন, আর্লিন ফ্রান্সিস, লিওন আস্কিন, হোয়ার্ড সেইন্ট জন এবং আরোও অনেকে।[5] ২০বছর পর, ১৯৮১সালে রাগটাইম এ আসার আগ পর্যন্ত এটিই কাগনের শেষ অভিনীত চলচ্চিত্র।[6][7]

ওয়ান, টু, থ্রি
পরিচালকবিলি উইলডার
প্রযোজকবিলি উইলডার
চিত্রনাট্যকার
  • আই. এ. এল. ডায়মন্ড
  • বিলি উইলডার
উৎসফেরেন্স মোলনার কর্তৃক 
এগি, কেট্টো, হারোম
শ্রেষ্ঠাংশে
বর্ণনাকারীজেমস ক্যাগনি
সুরকারআন্দ্রে পেভিন
চিত্রগ্রাহকড্যানিয়েল এল. ফাপ
সম্পাদকড্যানিয়েল ম্যান্ডেল
প্রযোজনা
কোম্পানি
  • দ্যা মিরিশ কোম্পানি
  • পিরামিড প্রোডাকসন্স, এ.জি.
পরিবেশকইউনাইটেড আর্টিস্ট্‌স
মুক্তি
  • ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬১ (1961-12-15) (যুক্তরাষ্ট্র)
দৈর্ঘ্য১০৪ মিনিট[1]
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষা
  • ইংরেজি
  • জার্মান
  • রুশ
নির্মাণব্যয়$৩ মিলিয়ন[2]
আয়$৪ মিলিয়ন[2]

সিনেমাটি প্রধানত স্নায়ুযুদ্ধে ওয়েস্ট বার্লিনের অবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি, কিন্তু বার্লিন ওয়াল তৈরির পূর্বের অবস্থাকে দেখানো হয়, আর শুরুতে রাজনীতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই সিনেমাটি তার দ্রুত গতির কাহিনীর জন্য বিখ্যাত।[8]

কাহিনীসংক্ষেপ

সি.আর. "ম্যাক" ম্যাকনামারা কোকা-কোলা কোম্পানির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি ওয়েস্ট বার্লিনে কর্মরত আছেন। বর্তমানে পূর্ব জার্মানীতে থাকলেও, তিনি লন্ডনে ওয়েস্টার্ন ইউরোপিয়ান কোকা-কোলা অপারেশনের প্রধাণ হওয়ার আশা করছেন। সোভিয়েত ইউনিয়নে কোক বের করার সময়, ম্যাক তার পরিচালক ডাব্লিউ.পি. হাজেলটিন এর কাছ থেকে একটি কল পান যিনি আটলান্টা কোকা-কোলা সদর দপ্তরে কাজ করেন। পরিচালকের রাগী ১৭বছরের মেয়ে স্কারলেট হাজেলটিন ওয়েস্ট বার্লিনে আসছে। ম্যাককে সেই মেয়ের যত্ন করার দায়িত্ব দেয়া হয়।

অভিনয়

  • জেমস কাগনে সি.আর. "ম্যাক" ম্যাকনামারা হিসেবে
  • হোর্স্ট বুচলজ অত্তো লুডউইগ পিফল হিসেবে
  • পামেলা টিফিন স্কারলেট হাজেলটিন হিসেবে
  • আর্লিম ফ্রান্সিস ফিলিস ম্যাকনামারা হিসেবে
  • লিসেলোট পুলভার ফ্রোলেন ইনগেবোর্গ (ম্যাকের সিক্রেটারি) হিসেবে
  • হান্স লোথার সক্লেমার (ম্যাকের সাহায্যকারী) হিসেবে
  • হোয়ার্ড সেইন্ট জন ওয়েন্ডেল পি. হাজেলটিন হিসেবে
  • লিয়ন আস্কিন পেরিপেচিকোফ
  • রাফ ওল্টার বরোডেনকো হিসেবে
  • পিটার ক্যাপেল মিশকিন হিসেবে
  • কার্ল লিফেন ফ্রিট্জ হিসেবে
  • হুবার্ট ভন মেয়েরিন্ক কাউনৃট ওয়াল্ডারম্যান ভন ড্রোসটে-স্কেটেনবার্গ হিসেবে
  • সিগ রুমান কাউন্ট ভন ড্রোস্টে-স্কেটেনবার্গের ইংরেজি কন্ঠ হিসেবে
  • লুইস বল্টন মেলানি হাজেলটিন হিসেবে
  • টিল কিউয়ে সাংবাদিক হিসেবে
  • হেনিং সক্লুটার ডাক্তার বাউয়ার হিসেবে
  • কার্ল লুডউইগ লিনডট জেইডলিটজ্ হিসেবে
  • ফ্রিডরিচ অর্কেস্ট্রা হোটেলের পরিচালক হিসেবে

প্রযোজনা

সিনেমাটির কিছু দৃশ্য বাভারিয়া ফিল্ম স্টুডিওস এ করা হয়।[9]

সিনেমা মুক্তির পোস্টারে দেখা যায় একজন নারী তিনটি বেলুন হাতে নিয়ে আছে। এই পোস্টারটি নকশা করেছেন সল বাস

সাউন্ডট্র্যাক

ম্যাকের তেজি অভিনয় বুঝাতে আরম কাচাতুরিনের সাব্রে ডান্স ব্যবহার করা হয়েছে।

অভ্যর্থন

বক্স অফিস

জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্রের কোন বক্স অফিসেই ওয়ান, টু, থ্রি তেমন ভালো করতে পারেনি। সিনেমাটির ১.৬মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।[2] যাহোক, এটিকে ১৯৮৫সালে ফ্রান্স এবং জার্মানিতে পুনরায় মুক্তি দেয়া হয় আর তখন এটি বক্স অফিসে সফলতা লাভ করে। বিশেষ করে ওয়েস্ট বার্লিনে।[10]

সেন্সরশিপ

১৯৬২ থেকে ১৯৮৬সাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ডের ফিনল্যানডাইজেশন নামক আইনের কারণে ফিনল্যান্ডে ওয়ান, টু, থ্রি নিষিদ্ধ থাকে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ধারণা করা হয়, এটি ফিনল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মাঝের সম্পর্ককে নষ্ট করবে।[11][12][13] ইউনাইটেড পিকচার্স ফিনল্যান্ড ১৯৬২, ১৯৬৬ এবং ১৯৬৯সালপ সিনেমাটিকে মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু ১৯৮৬সালেই এটিকে মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।

পুরস্কার

মনোনয়ন

  • একাডেমি এওয়ার্ড: অস্কার, সেরা সিনেমাটোগ্রাফি, সাদা-কালো, ড্যানিয়েল এল. ফাপ; ১৯৬২।
  • গোল্ডেন গ্লোবস: গোল্ডেন গ্লোব, সেরা মোশন পিকচার - কমেডি; সেরা সহ অভিনে, পামেলা টিফিন; ১৯৬২।
  • লোরেল এওয়ার্ডস: গোল্ডেন লোরেল, টপ কমেডু, ৪র্থ অবস্থান; টপ পুরুষ কমেডি অভিনয়, জেমস কাগনে, ৪র্থ; ১৯৬২।
  • রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা এওয়ার্ডস: সেরা লিখিত আমেরিকান কমেডি (স্ক্রিন), বিলি উইল্ডার এবং আই.এ.এল ডায়মন্ড; ১৯৬২।

স্বীকৃতি ও উল্লেখ

  • সিনেমাটিতে কাগনের পুরনো সিনেমার অধিকাংশ উল্লেখ পাওয়া যায়।
  • ২০১৫সালে স্টিভেন স্পিলবার্গ ব্রিজ অব স্পাইস নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করেন যেটি স্নায়ুযুদ্ধ সম্পর্কে ছিল। এটির একটি দৃশ্যে দেখা যায় সিনেমাটি পেছনে চলছিল।

পুনরায় মুক্তি

ওয়ান, টু, থ্রি ১৯৬৫সালের ৩১শে জানুয়ারি দ্যা এবিসি সানডে নাইট মুভি তে সম্প্রচার করা হয়।[14] ১৯৮৫সালে সিনেমা হলগুলিতে পুনরায় মুক্তির পর জার্মানিতে এটিকে প্রবল আগ্রহের সাথে গ্রহণ করা হয়।[10] ওয়ান, টু, থ্রি কে ওয়েস্ট বার্লিনে বৃহৎ আকারে দেখানো হয় যেটি টেলিভিশনেও একই সাথে সম্প্রচার করা হয়। ওয়েস্ট বার্লিনের সিনেমা হলগুলোতে এই চলচ্চিত্রটি ১বছর চলে যা ওয়েস্ট বার্লিনের নাগরিকরা দেখে।

তথ্যসূত্র

  1. Tino Balio, United Artists: The Company That Changed the Film Industry, University of Wisconsin Press, 1987 p. 170
  2. ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে One, Two, Three (ইংরেজি).
  3. Lacayo, Richard (এপ্রিল ১৪, ১৯৮৬)। "It Was All Bigand It WorkedJames Cagney: 1899-1986"Time। সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-১১It was Forman who directed Cagney in Ragtime, the 1981 film that brought him back into the public eye after two decades of retirement. After completing Billy Wilder's 1961 comedy One, Two, Three, Cagney vowed to quit filmmaking.
  4. Neal Gabler (commentary), Reel 13, March 29, 2008.
  5. "One, Two, Three"Encyclopædia Britannica। জুন ৮, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৩, ২০১২
  6. "ELONET — Tarkastustiedot: One, Two, Three (1961)."। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯
  7. "One, Two, Three"Elonet। ২০১৩-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-১৬
  8. John Sundholm; ও অন্যান্য (২০১২-০৯-২০)। Historical Dictionary of Scandinavian Cinema। পৃষ্ঠা 98। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-১১
  9. "Television: Jan. 29, 1965"Time। জানুয়ারি ২৯, ১৯৬৫। জানুয়ারি ৫, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-১১

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.