ওয়াইজ হাউজ

ওয়াইজ হাউস পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাটে অবস্থিত প্রায় দুইশতবর্ষী পুরাতন ভবন। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন এই ভবনটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনরাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর ৯৩ টি ঐতিহাসিক নান্দনিক ভবনের তালিকার অন্তর্ভুক্ত।[1]

ওয়াইজ হাউজ
ওয়াইজ হাউজের দ্বিতল ভবন
সাধারণ তথ্য
ধরনআবাসিক
স্থাপত্য রীতিউপনিবেশিক
ঠিকানা৭ ওয়াজঘাটা
শহরঢাকা
দেশবাংলাদেশ
সম্পূর্ণ১৮৩০
স্বত্বাধিকারীনিকোলাস পোগোজ(নির্মাতা), ডা. জেমস ওয়াইজ (ক্রয়সূত্রে), বর্তমানে বাফা
কারিগরী বিবরণ
কাঠামোগত পদ্ধতিইট সুরকী

ইতিহাস

উনবিংশ শতকের শুরুর দিকে তৎকালীন ঢাকার বিখ্যাত ওয়াইজ পরিবারের তত্বাবধানে এ বাড়ি তৈরী হয় বলে জনশ্রুতি আছে। তখনকার সবচেয়ে বড় এবং প্রভাবশালী নিলকর জোসিয়া প্যাট্যিক ওয়াইজের[2] নামানুসারেই বুড়িগঙ্গার এই ঘাটটির নাম হয়ে যায় 'ওয়াইজ ঘাট'।[3] তবে ভিন্ন সূত্রে বলা হয় এটি পুরাতন ঢাকার আর্মেনিয়ান জমিদার নিকোলাস পোগোজের হাতে নির্মিত।[4] তিনি পরে ওয়াইজ পরিবারের উত্তরাধীকারী ডা. জেমস ওয়াইজের কাছে বিক্রি করেন।[5] জেমস ওয়াইজ এটিকে কিছুটা পরিবর্ধন করেন এবং এর নাম দেন ওয়াইজ হাউজ। ১৯৫১ সালে এই ঐতিহাসিক ভবনটি সরকারের কোর্ট অব ওয়ার্ডসের তত্বাবধানে চলে যায়। পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি এটি ক্রয় করে।[6][7] বর্তমানে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি এখানে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।

স্থাপত্যশৈলী

ওয়াইজ হাউজের ত্রিমাত্রিক মডেল

ওয়াইজ হাউজের ‍ডিজাইনে আর্মেনিয়ান এবং ব্রিটিশ কলোনিয়াল স্থাপত্যের মিশ্রিত ধারার প্রকাশ দেখা যায়। আয়তাকার মুল ভবনের সাথে উত্তর ও দক্ষিণে কিছু বর্ধিত অংশ প্রকাশিত। নিও-ক্লাসিকাল ধারার স্থাপত্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিসম ধরনের নকশা। মাঝখানে প্রশস্ত করিডোর এবং দুইপাশে ব্যবহার উপযোগী কক্ষ। দরজা এবং জানালায় আর্চওয়ে ডিজাইন।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "100 Heritage site listed"। the daily star।
  2. Hunter, W.W. (1875) A Statistical Account of Bengal, Volume-5, trubner and co, London.
  3. "ওয়াইজঘাটে একদিন"। দৈনিক সমকাল (অনলাইন)।
  4. Bangladesh National Portal (2019). Dhaka District, retrieved from http://www.dhaka.gov.bd/site/tourist_spot/d949886a-2014-11e7-8f57-286ed488c766/আর্মেনিয়ান ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে চার্চ
  5. "400 years of Dhaka: Rescue Pogose house before too late"। The daily star article by Durdana Ghias(2008).।
  6. মুনতাসীর মামুন (১৯৯৩)। ঢাকাঃ স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী। ঢাকা: অনন্যা। পৃষ্ঠা ২৩০। আইএসবিএন 984-412-104-3।
  7. নাজির হোসেন(১৯৭৬), কিংবদন্তীর ঢাকা, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র,
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.