এ এন এম গোলাম মোস্তফা

এ এন এম গোলাম মোস্তফা (জন্ম: ১৯৪২ - মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১) ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে অকুতোভয় সাংবাদিক ও শহীদ বুদ্ধিজীবী।[1] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের অংশ হিসাবে তিনি অপহৃত ও পরে শহীদ হন।[2]

এ এন এম গোলাম মোস্তফা
মৃত্যু১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
পেশাসাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

আবু নাসের মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ১৯৪২ সালে নীলফামারী জেলার পঙ্গাগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জহিরউদ্দিন আহমদ,যিনি ছিলেন উকিলের একজন মুহুরি।

এ.এন.এম গোলাম মোস্তফা ১৯৬০ সালে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে আইএ,একই কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে স্নাতক এবং পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন দৈনিক পত্রিকা পূর্বদেশের প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন গোলাম মোস্তফা। একই পত্রিকায় প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন চৌধুরী মুঈনুদ্দীন[3]

মৃত্যু

নিহত সাংবাদিক গোলাম মোস্তফার ছেলে অনির্বাণ মোস্তফার বয়স ১৯৭১ সালে অনেক কম ছিল, তবে পরে তার মা এবং পরিবারের অন্যান্যদের কাছে শুনেছেন সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন আদর্শিক দ্বন্দ্বের কথা। অনির্বাণ মোস্তফার ভাষ্যমতে, পূর্ব দেশের অফিসেই বাবার সাথে মুঈনুদ্দীনের বাক বিতণ্ডা হয়। এবং বাবাকে সে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। ১৯৭১ সালের ১১ই ডিসেম্বর ভোরবেলা কয়েকজন লোক এসে নিজ বাড়ি থেকে গোলাম মোস্তফাকে তার অফিসে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। তবে তিনি আর কখনই ফিরে আসেননি।[3]

৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গোলাম মোস্তফা সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।[2] [4]

তথ্যসূত্র

  1. বুদ্ধিজীবী হত্যার ৪২ বছর পরে ন্যায়বিচার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ মে ২০১৪ তারিখে, অশোকেশ রায়, বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর।কম, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।
  2. বুদ্ধিজীবী হত্যার সাজা ফাঁসি, প্রথম আলো দৈনিক পত্রিকা, লেখকঃ কুন্তল রায় ও মোছাব্বের হোসেন, ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৩।
  3. রায়ে সন্তুষ্ট হলেও কার্যকর হওয়া নিয়ে শঙ্কা, ফারহানা পারভীন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা, ৪ নভেম্বর, ২০১৩
  4. মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড, আকবর হোসেন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.