এস্পার্মিয়া
এস্পার্মিয়া হল এমন রেতঃপাত যাতে কোন বীর্য থাকে না বা একেবারেই অনুল্লেখ্য পরিমানে থাকে (এজুস্পার্মিয়ার সাথে দ্বিধান্বিত হবেন না)। এটি পুরুষের অনুর্বরতার সাথে জড়িত একটি বিষয়।
এস্পার্মিয়া | |
---|---|
বিশেষত্ব | মূত্রব্যবস্থা বিদ্যা |
এর একটি কারণ হল পশ্চাৎমুখী রেতঃপাত[1] হওয়া। পশ্চাৎমুখী রেতঃপাত অবশ্য অতি ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা যায়। পশ্চাৎমূখী রেতঃপাত প্রোস্টেট সার্জারি করার ফলেও হতে পারে। এস্পার্মিয়া বেটা বাধাদানকারি ঔষধের কারনেও হতে পারে যেমন টেমসুলোসিন এবং সিলোডোসিন।
-স্পার্মিয়া, আরো জানুন: অন্ডকোষীয় অনুর্বরতার কারণগুলো |
এস্পার্মিয়া—বীর্যের অভাব; বীর্যপাত করতে না পারা |
এস্থেনোজুস্পার্মিয়া— আদর্শমানের চেয়ে শুক্রানুর গতিশীলতা কম থাকা |
অ্যাজোস্পার্মিয়া—বীর্যপাত হলেও তাতে শুক্রানু না থাকা |
হাইপারস্পার্মিয়া— আদর্শমানের চেয়ে অত্যাধিক হারে রেতঃপাত হওয়া |
হাইপোস্পার্মিয়া—আদর্শমানের চেয়ে কম হারে রেতঃপাত হওয়া |
ওলিগোস্পার্মিয়া—আদর্শমানের চেয়ে মোট শুক্রানুর পরিমান কম থাকা |
নেক্রোস্পার্মিয়া—বীর্যে জীবিত বা কার্যকরি শুক্রের অনুপস্থিতি |
টেরাটোস্পার্মিয়া—বীর্যে শুক্রের স্বাভাবিক আকার-আকৃতি আদর্শমানের তুলনায় কম থাকা |
আরেকটি কারণ হল বীর্য যে পথে পরিবাহিত হয় সেই রেতঃপাত নালীর বাধা থাকা, যার ফলে সম্পূর্ণ বা খুব কম পরিমানে (ওলিগোস্পার্মিয়া) বীর্যপাত হবে। এতে যে বিষয়টি হয় তা হল বীর্যে শুধুমাত্র প্রোস্টেট গ্রন্থির নিঃসৃত বস্তু থাকে যেটা রেতঃপাত নালীর শুরুরস্থলের দিকে ধাবিত হয় যেখানে তাদের বাহিরের দিকে আসার কথা।
এস্পার্মিয়া এন্ড্রোজেনের অভাবজনিত কারনেও হতে পারে।[2][3][4][5] এর ফলে দেরীতে বয়ঃসন্ধি শুরু হতে পারে। এন্ড্রোজেন কম থাকা বা প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার চিকিৎসার (পুরোপুরি এন্ড্রোজেন বন্ধ করে দেয়া) ফলে এন্ড্রোজেন কম থাকায় প্রস্টেট গ্রন্থি ও সেমিনাল ভেসিকল এন্ড্রোজেনের ঘাটতিতে পড়ে ফলে তারা আকারে ছোট হয় এবং সেমিনাল তরল উৎপাদন করতে পারে না।[6]
আরো দেখুন
- পশ্চাৎমুখী রেতঃপাত
- রেতঃপাত নালীর বাধা
তথ্যসূত্র
- "UCSB's SexInfo"। ২৭ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২১।
- Eberhard Nieschlag; Hermann Behre (২৯ জুন ২০১৩)। Andrology: Male Reproductive Health and Dysfunction। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 54–। আইএসবিএন 978-3-662-04491-9।
- Wayne J.G. Hellstrom (২৮ নভেম্বর ২০১২)। Androgen Deficiency and Testosterone Replacement: Current Controversies and Strategies। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 34–। আইএসবিএন 978-1-62703-179-0।
- Carrie Bagatell; William J. Bremner (২৭ মে ২০০৩)। Androgens in Health and Disease। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 314–। আইএসবিএন 978-1-59259-388-0।
- Susan Blackburn (১৪ এপ্রিল ২০১৪)। Maternal, Fetal, & Neonatal Physiology। Elsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 39–। আইএসবিএন 978-0-323-29296-2।
- John J. Mulcahy (১ জানুয়ারি ২০০১)। Male Sexual Function। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 3–। আইএসবিএন 978-1-59259-098-8।
বহিঃসংযোগ
শ্রেণীবিন্যাস |
---|
টেমপ্লেট:Symptom-stub