এস্থেনোজুস্পার্মিয়া

এস্থেনোজুস্পার্মিয়া (বা এস্থেনোস্পার্মিয়া) হল একটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের সংজ্ঞা যার অর্থ হল শুক্রানুর কম গতিশীলতা। সম্পূর্ণ এস্থেনোজুস্পার্মিয়া হল সেই অবস্থা যেখানে বীর্যপাতের ১০০ শতাংশ শুক্রানুই হল অচল। এটি ৫০০০ পুরুষের মধ্যে ১ জনের দেখা যায় বলে জানা যায়।[1] এরূপ অবস্থার কারণ হিসেবে জানা যায় শুক্রানুর গঠন অস্বাভাবিক হওয়া এবং বিপাকীয় ঘাটতি (দেখুন Primary ciliary dyskinesia) এবং নেক্রোজুস্পার্মিয়া.[1]

-স্পার্মিয়া,
আরো জানুন: অন্ডকোষীয় অনুর্বরতার কারণগুলো
এস্পার্মিয়া—বীর্যের অভাব; বীর্যপাত করতে না পারা
এস্থেনোজুস্পার্মিয়া— আদর্শমানের চেয়ে শুক্রানুর গতিশীলতা কম থাকা
অ্যাজোস্পার্মিয়া—বীর্যপাত হলেও তাতে শুক্রানু না থাকা
হাইপারস্পার্মিয়া— আদর্শমানের চেয়ে অত্যাধিক হারে রেতঃপাত হওয়া
হাইপোস্পার্মিয়া—আদর্শমানের চেয়ে কম হারে রেতঃপাত হওয়া
ওলিগোস্পার্মিয়া—আদর্শমানের চেয়ে মোট শুক্রানুর পরিমান কম থাকা
নেক্রোস্পার্মিয়া—বীর্যে জীবিত বা কার্যকরি শুক্রের অনুপস্থিতি
টেরাটোস্পার্মিয়া—বীর্যে শুক্রের স্বাভাবিক আকার-আকৃতি আদর্শমানের তুলনায় কম থাকা

এটির ফলে শুক্রানুর মান কমে যায় এবং তার ফলসরূপ পুরুষের অনুর্বরতা বা কম অনুর্বরতার মত সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে হলে এ অবস্থায় একটি পদ্ধতি হল আইসিএসআই.[1] এস্থেনোজুস্পার্মিয়ায় টেকসই শুক্রানুর শতাংশ ০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে ওঠা নামা করে।[1]


ডিএনএ খন্ডন

ডিএনএ (DNA)

শুক্রানুর ডিএনএ খন্ডন মাত্রা যাদের ওলিগোস্পার্মিয়া অথবা টেরাটোস্পার্মিয়া আছে তাদের তুলনায় এস্থেনোজুস্পার্মিয়ায় আক্রান্তদের বেশি।[2] রাইট এট এল. করা একটি সমীক্ষায় পাওয়া গেছে যে, পুরুষের মধ্যে যাদের এস্থেনোজুস্পার্মিয়া আছে তাদের ৩১% ভাগ পুরুষের ডিএনএ খন্ডনের হার বেশি পাওয়া গিয়েছে।[3] উচ্চ মাত্রার ডিএনএ খন্ডন অবস্থা থাকলে পুরুষদের অনুর্বরতার পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

এস্থেনোজুস্পার্মিয়া এবং ডিএইচএ

২০১৫ সালে ইসলামিয়ান এট এল. শুক্রানুর লিপিড মেমব্রেন গঠনের সাথে এস্থেনোজুস্পার্মিয়া রোগটি দেখা দেয়ার মধ্যে সম্পর্ক খুজে পান। যেসকল শুক্রানুর পলিআনস্ট্রাকচারড ফ্যাটি এসিড যেমন ডকোসাহক্সেনয়িক এসিড (ডিএইচএ) আছে সেগুলোর উর্বরতা বেশি হয় বলে পরীক্ষায় দেখা গেছে। ডিএইচএ এক ধরনের এসিড যেটি সিক্স ডাবল বনস থেকে গঠিত হয়। এটি মেমব্রেনের তারল্য ঠিক রাখে যা ঠিক থাকলে ডিম্বাশয়ে ফিউশন সঠিকভাবে হয়।

ইদুরের উপর গবেষনায় দেখা গেছে ডিএইচএ শুক্রের এক্রোসম কার্যে প্রয়োজনীয় এবং ডিএইচএ কম থাকা বা অনুপস্থিতিতে শুক্রের গঠনগত অস্বাভাবিকতা, গতিশীলতা হ্রাস এবং অনুর্বরতা দেখা দেয় যা খাদ্য গ্রহণের সময় ডিএইচএর অভাব পূরণ হেতু ঠিক করা যায়।

আরও দেখা গেছে মানুষের বেলায়ও ডিএইচএ সাপ্লিমেন্ট দেয়ার পর শুক্রের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে দেখা গেছে ডিএইচএ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার ফলে ক্রিওপ্রিজারেশন প্রক্রিয়ার ক্ষতির হাত থেকে শুক্রানুকে রক্ষা করা যাচ্ছে।


তথ্যসূত্র

  1. Ortega, C.; Verheyen, G.; Raick, D.; Camus, M.; Devroey, P.; Tournaye, H. (২০১১)। "Absolute asthenozoospermia and ICSI: What are the options?"। Human Reproduction Update17 (5): 684–692। ডিওআই:10.1093/humupd/dmr018অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 21816768
  2. Belloc S, Benkhalifa M, Cohen-Bacrie M, Dalleac A, Chahine H, Amar E, Zini A (২০১৪)। "Which isolated sperm abnormality is most related to sperm DNA damage in men presenting for infertility evaluation"J. Assist. Reprod. Genet.31 (5): 527–32। ডিওআই:10.1007/s10815-014-0194-3পিএমআইডি 24566945পিএমসি 4016368অবাধে প্রবেশযোগ্য
  3. Wright C, Milne S, Leeson H (২০১৪)। "Sperm DNA damage caused by oxidative stress: modifiable clinical, lifestyle and nutritional factors in male infertility"। Reprod. Biomed. Online28 (6): 684–703। ডিওআই:10.1016/j.rbmo.2014.02.004অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 24745838

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Genitourinary-stub

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.