এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গ্যারিঞ্চা

এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গ্যারিঞ্চা[1] (পর্তুগিজ: Estádio Nacional Mané Garrincha) ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত ও বহুমুখী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত স্টেডিয়াম। বর্তমানে এটি ফুটবল খেলাতেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪২,২০০।[2] স্টেডিয়ামটি ১৯৭৪ সালে নির্মাণ করা হয়। লিজিয়াও ফুটবল ক্লাব কর্তৃপক্ষ স্টেডিয়ামটিকে নিজেদের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গ্যারিঞ্চা
মানে গ্যারিঞ্চা
এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গ্যারিঞ্চা স্টেডিয়ামের বহিঃভাগ
অবস্থানএসআরপিএন এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গ্যারিঞ্চা
ব্রাসিলিয়া, ডিএফ,  ব্রাজিল
মালিকগোভার্নো দো ডিস্ট্রিতো ফেডারেল
ধারণক্ষমতা৪২,২০০
৭০,০৬৪ (পুণঃনির্মাণের পর)
উপরিভাগঘাস
নির্মাণ
উদ্বোধন১০ই মার্চ, ১৯৭৪
ভাঙ্গনপ্রযোজ্য নয়
ভাড়াটে
লিজিয়াও ফুটবল ক্লাব
২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ

এস্তাদিও মানে গ্যারিঞ্চা ব্রাজিলের ডিস্ট্রিতো ফেডারেলের ক্রীড়া, শারীরিক শিক্ষা এবং বিনোদন বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। স্টেডিয়ামের বর্তমান নামটি গ্রহণ করা হয়েছে প্রখ্যাত ব্রাজিলীয় ফুটবলার গ্যারিঞ্চার নামানুসারে।

ইতিহাস

১৯৭৪ সালে এস্তাদিও মানে গ্যারিঞ্চা'র নির্মাণ কাজ শেষ হয়। গ্যারিঞ্চা'র বয়স যখন আনুমানিক ৪০ বছর, তখন এটি নির্মিত হয়। ঐ বছরের ১০ মার্চ উদ্বোধনী খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় করিন্থিয়ান্স সিউব-কে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছিল। করিন্থিয়ান্সের ভ্যাগুইনহো প্রথম গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ২ মার্চ, ১৯৯৬ সালে ব্রাজিলীয় ব্যান্ড মামোনাস আসাসিনাস সঙ্গীত প্রদর্শনী করতে এসে বিমান দূর্ঘটনায় নিপতিত হলে সকল সদস্য নিহত হয়।

২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে স্টেডিয়ামের সর্বোচ্চ দর্শক সংখ্যার রেকর্ড করা হয়েছে ৫১,০০০। ঐদিন গামা লন্ড্রিনা-কে সিরি বি-এর চূড়ান্ত খেলায় ৩-০ ব্যবধানে পরাভূত করেছিল। এর মাধ্যমে গামা প্রথমবারের মতো জাতীয় শিরোপা লাভ করে এবং পাশাপাশি ১৯৯৯ সালে সিরি এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

৮ ডিসেম্বর, ২০০৭ তারিখে প্রথমবারের মতো কোপা দো ব্রাজিল দি ফুতবল ফেমিনিনো'র চূড়ান্ত খেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে মাতো গ্রোসো দো সাল/সাদ বতুকাতুকে হারিয়ে জয়লাভ করে যা এস্তাদিও মানে গ্যারিঞ্চায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[3]

২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ

মানে গ্যারিঞ্চা স্টেডিয়ামের পুণঃনির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। এরফলে নতুন স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ৭১,০০০-এ দাঁড়ায়। এছাড়াও, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক শহরের মর্যাদা নির্ধারণে ফিফা'র লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। ২০১০ সালের শুরুতে স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গ্যারিঞ্চা রাখা হয়।[1] একই বছরের এপ্রিল মাসে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধিতে মাঠের আয়তন কমিয়ে ফেলা হয় ও শুধুমাত্র ফুটবল খেলার উপযোগী করা হয়।

এছাড়াও, ২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের ফুটবল খেলাও স্টেডিয়ামটিতে অনুষ্ঠিত হবে।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "Governor confirms arena name: Estádio Nacional Mané Garrincha" (Portuguese ভাষায়)। copa2014.gov.br। ৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৭, ২০১২
  2. "CNEF - Cadastro Nacional de Estádios de Futebol" (পিডিএফ) (Portuguese ভাষায়)। Confederação Brasileira de Futebol। ১০ মে ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১২
  3. "Nos pênaltis, MS/Saad conquista primeiro título da competição"Gazeta Esportiva। ১ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৭
  4. Rio2016.org.br bid package. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ নভেম্বর ২০১০ তারিখে Volume 2. p. 23.

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.