এশীয় কোকিল
এশীয় কোকিল (বৈজ্ঞানিক নাম: Eudynamys scolopaceus), (সাধারনত কোকিল বা কুলি নামে পরিচিত) Cuculidae (কুকুলিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Eudynamys (ইউডিনামিস) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির বড় আকারের বাসা পরজীবী পাখি।[3][4] এশীয় কোকিলের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ বলবান বনচ্যাগা (গ্রিক: eudynamos = বলবান, scolopax = বনচ্যাগা, aceus = সদৃশ)।[4] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ৯৭ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[5] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা স্থির রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[1] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[4]
এশীয় কোকিল Eudynamys scolopaceus | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Cuculiformes |
পরিবার: | Cuculidae |
গণ: | Eudynamys |
প্রজাতি: | E. scolopaceus |
দ্বিপদী নাম | |
Eudynamys scolopaceus (Linnaeus, 1758) | |
এশীয় কোকিলের বিস্তৃতি, মানচিত্রে কালো অংশ[2] | |
প্রতিশব্দ | |
Cuculus scolopaceus |
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Eudynamys scolopaceus"। The IUCN Red List of Threatened Species। ২০১২-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১০।
- Johnsgard, PA (১৯৯৭)। The avian brood parasites: deception at the nest। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 259। আইএসবিএন 0-19-511042-0।
- রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১৩৮। আইএসবিএন 9840746901।
- জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৯৬–৭।
- "Asian Koel Eudynamys scolopaceus"। BirdLife International। ২০১৫-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১২।