এল ক্লাসিকো
এল ক্লাসিকো (স্পেনীয় উচ্চারণ: [el ˈklasiko]) রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব (রিয়াল মাদ্রিদ) এবং ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার (বার্সেলোনা) মধ্যে সংঘটিত যেকোন ফুটবল প্রতিযোগিতার নাম। শুরুতে শুধুমাত্র স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নশিপে অনুষ্ঠিত খেলাগুলোকেই এল ক্লাসিকো বলা হলেও বর্তমানে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল ব্যতীত রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মধ্যে অনুষ্ঠিত সকল খেলাকে এই নামে ডাকা হয়। এটি বিশ্বের সর্বাধিক অনুসৃত ফুটবল ম্যাচ, যা বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী উপভোগ করে থাকেন।[1]
অন্যান্য নাম | রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনা |
---|---|
শহর | স্পেন |
দলসমূহ | রিয়াল মাদ্রিদ বার্সেলোনা |
প্রথম সাক্ষাৎ | বার্সেলোনা ৩–১ রিয়াল মাদ্রিদ ১৯০২ কোপা দেল রে সেমিফাইনাল (১৩ মে ১৯০২) |
সর্বশেষ সাক্ষাৎ | বার্সেলোনা ২-১ রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা (১৯ মার্চ ২০২৩) |
পরবর্তী সাক্ষাৎ | বার্সেলোনা – রিয়াল মাদ্রিদ [[কোপা দেল রে সেমি-ফাইনাল ২য় লেগ]] (৬ এপ্রিল ২০২৩) |
মাঠ | কাম্প ন্যু (বার্সেলোনা) সান্তিয়াগো বার্নাব্যু (রিয়াল মাদ্রিদ) |
পরিসংখ্যান | |
মোট সাক্ষাৎ | অফিশিয়াল: ২৫০ প্রদর্শনী ম্যাচ: ৩৪ সর্বমোট: ২৮৪ |
সর্বাধিক জয় | অফিশিয়াল: রিয়াল মাদ্রিদ (১০১) প্রদর্শনী ম্যাচ: বার্সেলোনা (২০) সর্বমোট: বার্সেলোনা (১১৭) |
সর্বাধিক খেলোয়াড় উপস্থিতি | লিওনেল মেসি, সের্হিও রামোস (৪৫) |
সর্বোচ্চ গোলদাতা | লিওনেল মেসি (২৫) |
বৃহত্তম জয় | রিয়াল মাদ্রিদ ১১–১ বার্সেলোনা ১৯৪৩ কোপা দেল জেনেরালিসিমো সেমি-ফাইনাল ২য় লেগ (১৩ জুন ১৯৪৩) |
ইতিহাস
একটি জাতীয় লীগে দুইটি সবচেয়ে শক্তিশালী দলের মধ্যে প্রচন্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা সাধারনত থাকেই। লা লিগায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে, যা এল ক্ল্যাসিকো নামে পরিচিত। জাতীয় প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই দল দুইটি স্পেনের প্রতিদ্বন্দ্বি দুই রাজ্য কাতালুনিয়া এবং কাস্তিলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুই রাজ্যের মধ্যকার রাজনৈতিক এবং সংস্কৃতিক উত্তেজনাকেও প্রতিফলিত করে।
প্রিমো দে রিভেরা এবং ফ্রান্সিস্কো ফ্রাংকোর একনায়কতন্ত্রের সময় (১৯৩৯–১৯৭৫), স্পেনে সবধরনের আঞ্চলিক সংস্কৃতি দমিয়ে রাখা হয়েছিল। স্পেনীয় ভাষা ব্যতীত অন্য সকল ভাষা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ছিল।[2][3] কাতালান জনগনের স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছার প্রতীক বহন করার মাধ্যমে বার্সেলোনা কাতালানদের কাছে হয়ে ওঠে, ‘‘একটি ক্লাবের চেয়েও বেশি কিছু (Més que un club)’’। লেখক ম্যানুয়েল ভাজকুয়েজ মনতালবানের তথ্য অনুসারে, কাতালানদের পরিচয় প্রদর্শনের সবচেয়ে ভালো উপায় ছিল বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া। ফ্রাংকো বিরোধী গোপন কোন আন্দোলনের চেয়ে এটি ছিল কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটি তাদেরকে তাদের মতপার্থক্য প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি করে দিত।[4]
অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদকে দেখা যায়, সার্বভৌমত্ব কেন্দ্রীকরণ এবং ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রনয়নের প্রতিমূর্তিরূপে।[5][6] স্পেনীয় গৃহযুদ্ধের সময় ইয়োসেপ সানিওল এবং রাফায়েল স্যানচেজ গুয়েরার মত উভয় দলেরই কিছু সদস্য ফ্রাংকো সমর্থকদের কারণে ভুক্তভোগী হয়েছিল।
১৯৫০ এর দশকে, আলফ্রেদো দি স্তেফানোর ট্রান্সফার নিয়ে ওঠা বিতর্ক দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যিনি শেষপর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে তাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হয়ে ওঠেন।[7] ১৯৬০ এর দশকে, তাদের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইউরোপীয় পর্যায়ে পৌছায়, যখন তারা ইউরোপীয় কাপের নক-আউট পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়।[8]
সাম্প্রতিক বিষয়
গত তিন দশকে, এই দ্বন্দ্ব আরো উদ্দীপ্ত হয়েছে আধুনিক স্প্যানিশ ঐতিহ্য পাসিলো দ্বারা|
তথ্যসূত্র
- Stevenson, Johanthan (১২ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Barca & Real renew El Clasico rivalry"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১০।
- Kleiner-Liebau, Désirée. p. 70.
- Phil Ball (২১ এপ্রিল ২০০২)। "The ancient rivalry of Barcelona and Real Madrid"। The Guardian (London)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৩।
- Spaaij, Ramón. p. 251.
- Abend, Lisa (২০ ডিসেম্বর ২০০৭)। "Barcelona vs. Real Madrid: More Than a Game"। Time। ৯ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৩।
- Lowe, Sid (২৬ মার্চ ২০০১)। "Morbo: The Story of Spanish Football by Phil Ball (London: WSC Books, 2001)"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়রি ২০১৩। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - Burns, Jimmy. pp. 31–34.
- García, Javier (৩১ জানুয়ারি ২০০০)। "FC Barcelona vs Real Madrid CF since 1902"। Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৩।