এম এ জব্বার
এম এ জব্বার (৩০ নভেম্বর ১৯৩২-১৮ আগস্ট ২০২০)[1] জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ এবং পিরোজপুর-৩ ও পিরোজপুর-৪ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য।[2][3] তাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।[1][4]
আবদুল জব্বার | |
---|---|
পিরোজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | আনোয়ার হোসেন মঞ্জু |
উত্তরসূরী | মহিউদ্দিন আহমেদ |
পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৩ মার্চ ১৯৮৮ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের এমপিএ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৪ – ১৯৭০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পিরোজপুর জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ৩০ নভেম্বর ১৯৩২
মৃত্যু | ১৮ আগস্ট ২০২০ ৮৭) ফ্লোরিডা, আমেরিকা | (বয়স
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (১৯৮৬ সালের পূর্বে) |
ডাকনাম | এম এ জব্বার |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
এম এ জব্বার ৩০ নভেম্বর ১৯৩২ সালে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[1] তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বার মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। [1] তিনি ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের এমপিএ নির্বাচিত হয়েছিলেন।[1] এরশাদ সরকার গঠন করলে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদিয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।[5]
তিনি পিরোজপুর-৪ আসন থেকে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও পিরোজপুর-৩ ও আসন থেকে ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[2][3]
যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য অভিযোগ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন অনুসারে, জব্বার মঠবাড়িয়া শান্তি (পিস) কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে রাজাকার বাহিনী গঠনে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধ করেছিলেন। [6] ১৯৭১ সালে পিরোজপুরে হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের জন্য তারা তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনে:[7]
- মুক্তিযুদ্ধের সময় মঠবাড়িয়ার ফুলঝুরিতে দুজন মুক্তিযোদ্ধা হত্যা। পিরোজপুরের নাথপাড়া ও কুলুপড়ায় ১০০ টিরও বেশি বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া ও মুক্তিপণ। [8]
- ফুলঝুরিতে একজনকে হত্যা করা, লুটপাটের আগে ৩৬০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া।
- পিরোজপুরের নোলি গ্রামে ১১ জনকে হত্যা, সেখানে 6০ টি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া।
- ফুলঝুরিতে ২০০ হিন্দুকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা। [9]
- আঙ্গুলকাটা ও মঠবাড়িয়া থেকে ৩৭ জনকে আটক করে, তাদের মধ্যে ২২ জন নিহত এবং গুরুতর আহত হয়। [10]
মে ২০১৪ সালে জব্বারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। [11] তদন্তকারীদের মতে, তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।[10]
মৃত্যু
এম এ জব্বার ১৮ আগস্ট ২০২০ আমেরিকার ফ্লোরিডায় মৃত্যুবরণ করেন।[12]
তথ্যসূত্র
- "Jabbar gets jail until death"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০২-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- "JAIL until death"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০২-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- "মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল জব্বারের ইন্তেকাল"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১৯।
- "Arrest warrant issued against ex-MP Jabbar"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৫-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- "Witness: Jabbar targeted Hindus in Pirojpur"। Dhaka Tribune। ২০১৪-০৯-০৭। ২০২০-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- "Decision on charges against ex-JP lawmaker August 14"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৭-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- "War crimes verdict on ex-JP leader Abdul Jabbar any day now"। bdnews24.com। ২০১৪-১২-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- "ICT to announce verdict on ex-Jatiya Party MP Abdul Jabbar on Tuesday"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- "Arrest warrant for ex-JP MP Jabbar"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৫-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট (১৮ আগস্ট ২০২০)। "আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত পলাতক যুদ্ধাপরাধী আব্দুল জব্বারের মৃত্যু"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২০।