এম. জে. কে. স্মিথ

মাইকেল জন নাইট স্মিথ, ওবিই (ইংরেজি: M. J. K. Smith; জন্ম: ২০ জুন, ১৯৩৩) লিচেস্টারের ওয়েস্টকোটস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো মিডিয়াম বোলিং করতেন এম. জে. কে. স্মিথ নামে পরিচিত মাইক স্মিথ

এম. জে. কে. স্মিথ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমাইকেল জন নাইট স্মিথ
জন্ম (1933-06-30) ৩০ জুন ১৯৩৩
ওয়েস্টকোটস, লিচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো-মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, প্রশাসক, ম্যাচ রেফারি
সম্পর্কএনএমকে স্মিথ (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৮৬)
৫ জুন ১৯৫৮ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৮ জুলাই ১৯৭২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৬–১৯৭৫ওয়ারউইকশায়ার
১৯৫১–১৯৫৫অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫০ ৬৩৭ ১৪০
রানের সংখ্যা ২,২৭৮ ৩৯,৮৩২ ৩,১০৬
ব্যাটিং গড় ৩১.৬৩ ৪১.৮৪ ২৭.৪৮
১০০/৫০ ৩/১১ ৬৯/২৪১ ০/১৫
সর্বোচ্চ রান ১২১ ২০৪ ৯৭*
বল করেছে ২১৪ ৪৮৭
উইকেট
বোলিং গড় ১২৮.০০ ৬১.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/১০ ১/০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫৩/– ৫৯৩/– ৪০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

১৯৫৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাব, ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব এবং ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ইংল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। রাগবি ইউনিয়নে তার অংশগ্রহণ ছিল। তিনিই ইংল্যান্ডের সর্বশেষ দ্বৈত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন।[1][2][3]

শৈশবকাল

লিচেস্টারের ওয়েস্টকোটস এলাকায় স্মিথের জন্ম।[4] স্ট্যামফোর্ড স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর অক্সফোর্ডের সেন্ট এডমন্ড হলের ভূগোল বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৬ সালে ভিনসেন্টস ক্লাবের সভাপতি হন। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে প্রত্যেক গ্রীষ্মকালে লিচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে খেলতেন। এই কাউন্টিতেই তার জন্ম হয়েছিল।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলা অবস্থাতেই স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজের বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় উপর্যুপরি তিনটি শতরান করেছিলেন। এছাড়াও, ১৯৫৬ সালে ওয়েলসের বিপক্ষে রাগবি ইউনিয়নে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৯৭২ সালে সর্বশেষ দ্বৈত আন্তর্জাতিকে বড় ধরনের ক্রীড়ায় ইংল্যান্ডের সর্বশেষ খেলোয়াড় ছিলেন। ফুটবল ও ক্রিকেটের ন্যায় দ্বৈত ক্রীড়ায় আর্থার মিল্টন পরবর্তীতে অংশ নিয়েছিলেন। তবে, স্মিথের ছয় সপ্তাহ পর তার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল।

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ

১৯৫৭ সালে ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে চলে যান ও দলের অধিনায়কের পদ লাভ করেন। চশমা পরিধান করা স্বত্ত্বেও স্মিথ কাউন্টি ক্রিকেটে বেশ রান তুলতে থাকেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক মৌসুমেই ২,০০০ রান তুলতে থাকেন। তন্মধ্যে, ১৯৫৯ সালে ৫৭.৯৪ গড়ে ৩,২৪৫ রান তুলেছিলেন। ফ্রেড ট্রুম্যানের মতে, সম্ভবতঃ বিশ্বের অন্য কোন খেলোয়াড় তার বিপক্ষে অফ স্পিন বোলিং করে সুবিধা লাভ করতে পারে।[5] কিন্তু, স্মিথের ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে দূর্বলতায় টেস্ট দলে নিয়মিত খেলোয়াড়ের স্থান লাভে বাঁধার প্রাচীর গড়ে তুলে।

কাছাকাছি এলাকায় ফিল্ডিং করতেন তিনি। ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে রেকর্ডসংখ্যক ৫৯৩ ক্যাচ হাতের মুঠোয় পুড়েন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৫০ টেস্টে অংশ নিয়ে ৫৩ ক্যাচ নেন। অধিনায়কের দায়িত্ব পালনকালেও নান্দনিকতার ছাঁপ তুলে ধরে ওয়ারউইকশায়ারকে ভিত্তি এনে দেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সময়কালে দলকে তৃতীয়, চতুর্থ ও দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে আসেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

১৯৫৮ সালে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিকল্প উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার জন্য মাইক স্মিথকে মনোনীত করা হয়। এজবাস্টনের নিজ মাঠে অভিষেক ঘটা সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি ও ৭ রান তুলেন। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে ২৩০ মিনিটে ৪৭ রান তুলেন। ইংল্যান্ডের ২৬৯ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড ৪৭ ও ৭৪ রান তুলে ব্যাটিং অনুপযোগী পিচে ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়। হেডিংলির তৃতীয় টেস্টে ৩ রান করলে দল থেকে বাদ পড়েন।

১৯৫৯ সালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে আবির্ভূত হন। ওল্ড ট্রাফোর্ডের চতুর্থ টেস্টে তিনি ঠিক ১০০ রান করে নিজস্ব প্রথম সেঞ্চুরির সন্ধান পান। এরপর ওভালের পঞ্চম টেস্টে ৯৮ রান তুলেন।

১৯৫৯-৬০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। এ সিরিজের সবকটি টেস্টেই তার অংশগ্রহণ ছিল। প্রথম টেস্টে ৩৯ রান সংগ্রহ করার পর দ্বিতীয় টেস্টে ৩৫০ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে ১০৮ রান তুলে ইংল্যান্ডকে ২৫৬ রানের জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে কেন ব্যারিংটন তার গড়া দীর্ঘ সময়ে তিন অঙ্কের রানের রেকর্ডকে ম্লান করে দেন। তবে, ওয়েস হলচেস্টার ওয়াটসনের ন্যায় গুণমানসম্পন্ন ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে তিনি তেমন লড়তে পারেননি। ১২, ০, ১০, ০, ২৩ ও ২০ রান করতে পেরেছেন। পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬ রান তুলে এ দূর্বলতা ঘোঁচান। সপ্তম উইকেট জুটিতে উইকেট-রক্ষক জিম পার্কসকে সাথে নিয়ে ১৯৭ রান তুলেন।

১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৫৪ ও ২৮ রান করে শুভ সূচনা করেন। দ্বিতীয় টেস্টে ৯৯ রান করে দলের শীর্ষ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। দূর্বলমানের উইকেটে ইংল্যান্ড ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। এরপর তিনি ০, ০ ও ১১ রান করেন। পরবর্তী বছরে এজবাস্টনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আবারও শূন্য রানের সন্ধান পান। অনিয়মিত বোলার কেন ম্যাককে চার বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট লাভের অন্যতম হিসেবে তিনিও তার শিকারে পরিণত হন। ফলশ্রুতিতে গ্রীষ্মকালের বাদ-বাকী সময় তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়।

১৯৬১-৬২ মৌসুমে এমসিসি দলের সাথে ভারত ও পাকিস্তান ভ্রমণ করেন তিনি। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রান করেন। দলের সংগ্রহ ২১/২ থাকাবস্থায় কেন ব্যারিংটনের সাথে ১৯২ রানের জুটি গড়েন। এরপর আবারও ভারত সফরে উপর্যুপরি তিনটি শূন্য রানের সংগ্রহশালা গড়ে উঠে তার। দল থেকে বাদ যাবার পর পঞ্চম টেস্টে ৭৩ রান করে ব্যক্তিগত সংগ্রহশালাকে স্ফীত করেন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে রানের ফুলঝুড়ি ছড়ালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে এর ব্যতিক্রম ছিল। ফলশ্রুতিতে পরবর্তী তিন বছর ইংল্যান্ড দলের বাইরে থাকতে হয় তাকে।

অধিনায়কত্ব লাভ

স্মিথ ইংল্যান্ডের পক্ষে ৫০ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে, ২৫ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময়ে ব্যাটিং প্রতিভা থাকলেও খুব কম সময়ই দলে অবস্থান করতে পেরেছেন। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি সিরিজে নিম্নমূখী রান সংগ্রহ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে তাকে গণমাধ্যমের কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে, তিনি ভ্রমণ করতে বেশ ভালোবাসতেন।

১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ভারত সফরে টেড ডেক্সটারকলিন কাউড্রের অনুপস্থিতির কারণে তাকে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ সফরে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় বোলার ব্রায়ান স্ট্যাদাম ও ফ্রেড ট্রুম্যানেরও অনুপস্থিতি ছিল। ধারাবাহিকভাবে পাঁচ টেস্টে টসে পরাজিত হন ও আঘাতে এবং অসুস্থতা জর্জরিত দলকে নিয়ে মাদ্রাজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নামতে বাধ্য হন। এ টেস্টে কেবলমাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান, দুইজন উইকেট-রক্ষক ও ছয়জন বোলারকে খেলান তিনি।

প্রথম দিন শেষে মিকি স্টুয়ার্ট গুরুতরভাবে আমাশয়ে আক্রান্ত হলে একপর্যায়ে ক্রিকেট সংবাদদাতা হেনরি ব্লোফিল্ডকে ডাকার কথা ভাবছিলেন। তবে, মাত্র ১০জন খেলোয়াড়কে নিয়েই দল পরিচালনা করতে সক্ষমতা দেখান।[6] প্রথম ইংরেজ অধিনায়ক হিসেবে সিরিজের পাঁচ টেস্টেই ড্র করান যা ভারতের মাটিতে তৃতীয় ঘটনা ছিল। পরাজয়বরণের চেয়ে ড্র করাতেই তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন। ৫১.০০ গড়ে এ সিরিজে ব্যক্তিগত সেরা ৩০৬ রান তুলেন। ১৯৬৪ সালে ববি সিম্পসনের স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হারার পর টেড ডেক্সটারের অবসর নিলে স্মিথ দলনেতা হিসেবে দায়িত্বভার বহন করেন। বাসিল ডি’অলিভেইরা কেলেঙ্কারীর পূর্ব-পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

প্রতিভাবান স্বাগতিক স্প্রিংবকদেরকে ১-০ ব্যবধানে জয়ের পর ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত সর্বশেষ অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ব্যক্তিগতভাব বেশ সফল ছিলেন। প্রথম টেস্টে চার ক্যাচ নেয়ার পর সিরিজে ১০টি ক্যাচ নেন মাইক স্মিথ। এছাড়াও সিরিজের তৃতীয় টেস্টে নিজস্ব তৃতীয় ও সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২১ রান করলে তার দল ৪৪২ রান তুলে। এর বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০১/৭ করে। ৪২.৮৩ গড়ে ২৫৭ রান করেন।

১৯৬৫ সালে নিজদেশে সফরকারী দূর্বলতম দল নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে বসে স্মিথের দল। তাস্বত্ত্বেও, ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে এমসিসি দলের অধিনায়করূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। লর্ডসে কেন্ট দলের অধিনায়ককে সমর্থন জানানো স্বত্ত্বেও কাউড্রেকে দলের সহঃ অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়। তবে, গণমাধ্যমে ইংল্যান্ড দলকে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দূর্বলতম দলরূপে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।[7] কিন্তু, দর্শকমহলের কাছে তাদের প্রাণবন্তময় ক্রীড়াশৈলী মন জয় করে ও সবিশেষ প্রশংসা কুড়ায়। যুদ্ধের পর অন্য যে-কোন ইংল্যান্ড দলের চেয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলে এবং একবার অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ইংল্যান্ড দ্রুততার সাথে রান সংগ্রহ করে যা ঐ যুগের অ্যাশেজ সিরিজের পরিচ্ছন্ন বিপরীতচিত্র তুলে ধরে।[8]

যুদ্ধের পর থেকে সফরকারীরা যে-কোন এমসিসি দলের চেয়ে সর্বোচ্চ রান তুলে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসকে হারায়। জয়ের জন্য আরও দুই উইকেট প্রয়োজন থাকা অবস্থায় কুইন্সল্যান্ডের সাথে ড্র করে ও বিশাল রান সংখ্যা অতিক্রমের চেষ্টাকালে ৩২ রানে ভিক্টোরিয়ার কাছে পরাজিত হয়। ফলশ্রুতিতে বাজীকরেরা অ্যাশেজ জয়ের বিষয়ে ৭-২ রাখতে বাধ্য হয়।[9] প্রথম টেস্টে ফলো-অনে থেকে উদ্ধার হয় ও দ্বিতীয় টেস্টে ৫৫৮ রান তুলে। উভয় ক্ষেত্রেই ড্র হয়। সিডনির তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড ৪৮৮ রান সংগ্রহ করে। ইনিংস ও ৯৩ রানে জয় পেয়ে সিরিজে তারা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। গত ৫০ বছরের মধ্যে এটি নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়া দলের সর্ববৃহৎ পরাজয় ছিল। তবে, চতুর্থ টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়ে অ্যাশেজ নিজেদের কাছে করায়ত্ত্ব রাখে।

নিউজিল্যান্ডে বৃষ্টির কবলে তিন টেস্টের সিরিজ ০-০ ব্যবধানে ড্র হয়। তবে, স্বাগতিক দল ইংরেজ বোলারদের আক্রমণে সামাল দিতে আঘাতের কবলে পড়ে। দেশে ফিরে ১৯৬৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়। প্রথম টেস্টে ইনিংসের ব্যবধানে স্বাগতিক দল পরাজিত হলে কাউড্রেকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। পরের মৌসুম শেষে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

অবসর

১৯৭০ সালে ওয়ারউইকশায়ারে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার পূর্বে বেশ ভালো করেন। এরপর ১৯৭৫ সালে চূড়ান্তভাবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর নেয়ার পর ১৯৯১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি মনোনীত হন ও ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আইসিসি ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মাইক স্মিথ।

ব্যক্তিগত জীবন

পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সন্তান নীল স্মিথ ওয়ারউইকশায়ারের অধিনায়কত্ব করেন ও ইংল্যান্ডের পক্ষে একমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করে। স্বীয় কন্যা ক্যারল সেবাস্টিয়ান কো’র পত্নী।[10]

তথ্যসূত্র

  1. p23, Kelly
  2. p230, Colin Cowdrey, SMITH, Michael John Knight, OBE, E.W. Swanton (ed), Barclays World of Cricket, Collins Willow, 1986
  3. pp461-462 A.C. Smith, Warwickshire, E.W. Swanton (ed), Barclays World of Cricket, Collins Willow, 1986
  4. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 150–151। আইএসবিএন 1-869833-21-X।
  5. p52, Freddie Trueman, Cricket, Pelham Books, 1963
  6. p145, Titmus
  7. p138, Swanton
  8. p132, Swanton
  9. p134, Swanton
  10. "Sebastian Coe: Lord of the rings" The Independent 21 July 2012

আরও দেখুন

গ্রন্থপঞ্জী

  • Ken Kelly and David Lemmon, Cricket Reflections: Five Decades of Cricket Photographs, Heinemann, 1985
  • John Snow, Cricket Rebel: An Autobiography, Littlehampton Book Services Ltd, 1976
  • E.W. Swanton, Swanton in Australia with MCC 1946–1975, Fontana, 1977
  • Fred Titmus, My Life in Cricket, Blake Publishing, 2005

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
টেড ডেক্সটার
টেড ডেক্সটার
ইংরেজ ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৬৩–১৯৬৪
১৯৬৪–১৯৬৬
উত্তরসূরী
টেড ডেক্সটার
কলিন কাউড্রে
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.