এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম

এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম (কন্নড়: ಎಂ ಚಿನ್ನಸ್ವಾಮಿ ಕ್ರೀಡಾಂಗಣ) কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু এলাকায় অবস্থিত ভারতের অন্যতম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। পূর্বে কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) নামে এটি পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে কেএসসিএতে চার দশকেরও অধিক সময়ে জড়িত ও ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ মেয়াদে বিসিসিআইয়ের সভাপতি এম. চিন্নাস্বামী’র প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক বর্তমান নামে পরিচিতি ঘটানো হয়েছে।

এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম
এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি
অবস্থানবেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ভারত
দেশভারত
প্রতিষ্ঠা১৯৬৯
ধারণক্ষমতা৪০,০০০[1]
স্বত্ত্বাধিকারীকর্ণাটক সরকার
পরিচালককর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা
ভাড়াটেকর্ণাটক ক্রিকেট দল
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
প্রান্তসমূহ
প্যাভিলিয়ন এন্ড
বিইএমএল এন্ড
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য
প্রথম পুরুষ টেস্ট২২–২৭ নভেম্বর ১৯৭৪:
ভারত  বনাম  ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট১৪–১৮ জুন ২০১৮:
ভারত  বনাম  আফগানিস্তান
প্রথম পুরুষ ওডিআই২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২:
ভারত  বনাম  শ্রীলঙ্কা
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই১৯ জানুয়ারি ২০২০:
ভারত  বনাম  অস্ট্রেলিয়া
প্রথম পুরুষ টি২০আই২৫ ডিসেম্বর ২০১২:
ভারত  বনাম  পাকিস্তান
সর্বশেষ পুরুষ টি২০আই২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯:
ভারত  বনাম  দক্ষিণ আফ্রিকা
একমাত্র নারী টেস্ট31 October – 2 November ১৯৭৬:
ভারত  বনাম  ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম নারী ওডিআই12 December ১৯৯৭:
অস্ট্রেলিয়া  বনাম  দক্ষিণ আফ্রিকা
সর্বশেষ নারী ওডিআই8 July ২০১৫:
ভারত  বনাম  নিউজিল্যান্ড
প্রথম নারী টি২০আই30 November 2014:
ভারত  বনাম  দক্ষিণ আফ্রিকা
সর্বশেষ নারী টি২০আই28 March 2016:
শ্রীলঙ্কা  বনাম  দক্ষিণ আফ্রিকা
19 January 2020 অনুযায়ী
উৎস: M. Chinnaswamy Stadium, Cricinfo

স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ সক্ষমতা ৩৬,০০০। টেস্ট, ওডিআই, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটসহ সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে এখানে অনুষ্ঠিত হয়। কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট দলইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের প্রধান অনুশীলনী মাঠ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়।

ক্রিকেট ইতিহাস

কর্ণাটক সরকারের অর্থায়ণে ১৯৬৯ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৭০ সালে এর নির্মাণকার্য শুরু হয়। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ভারত সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মধ্যকার খেলায় এটি টেস্ট মর্যাদার অধিকারী হয়।

২২-২৯ নভেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে অনুষ্ঠিত টেস্টে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ব্যাটিং প্রতিভা ভিভ রিচার্ডসগর্ডন গ্রীনিজের অভিষেক হয়েছিল। দলটি পতৌদি'র ভারত দলকে ২৫৬ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে টনি গ্রেগের ইংরেজ দলের বিপক্ষে ভারত এ মাঠে প্রথম জয়ী হয়। ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ তারিখে মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম ওডিআইয়ে শ্রীলঙ্কা দল ৬ উইকেটে হারে।

এই মাঠে ২০০৮ সালে ইংলিশ ক্রিকেট দলের সফরে চতুর্থ একদিবসীয়র মাধ্যমে ভারত তাদের ৭০০তম ম্যাচটি খেলে।

১৯৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচ ই এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সেটা ভারত বনাম নিউজিলান্ডের ম্যাচ।

১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচ-ই একমাত্র মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সেটা ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ। ১৯৯৬ সালের উইলস বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়ামে প্রথম ফ্লাডলাইট প্রতিস্থাপন করা হয়। ৯ মার্চ, ১৯৯৬ তারিখে ফ্লাডলাইটের আলোয় কোয়ার্টার-ফাইনালে চীর-প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারত নাটকীয়ভাবে ৩৮ রানে জয়ী হয়।

২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের মোট ৫টি গ্রুপ ম্যাচ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ । ম্যাচটি টাই হয়ে যায়।

২০১৩ আইপিএল

এই মাঠে ক্রিস গেইল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি এবং ক্রিকেটের যে-কোন ফরম্যাটের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি। ম্যাচে তিনি অপরাজিত ১৭৫* (৬৬ বল) রান করেন।

২০১৪ আইপিএল

টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ভালো ব্যাটিং পিচে এই খেলায় কলকাতা যেতে ও দ্বিতীয়বারের মতো আইপিএল শিরোপা পায়।

২০১৬ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০

টুর্নামেন্টের মোট ৩টি গ্রুপ ম্যাচ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে বাংলাদেশ - অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ । দুটো ম্যাচ ই অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হয়।

২০১৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ

টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ভালো ব্যাটিং পিচে এই খেলায় হায়দরাবাদ জয় লাভ করে ও প্রথমবারের মতো আইপিএল শিরোপা পায়।

টি২০ আন্তর্জাতিক কীর্তি

এখনো অব্দি ১টি অএশীয় দেশ ভারতের বিরুদ্ধে এই মাঠে খেলেছে (ইংল্যান্ড) । তারা জয় পায়নি।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.