এমিল নিউম্যান

এমিল নিউম্যান (২০ জানুয়ারি ১৯১১ - ৩০ আগস্ট ১৯৮৪) একজন মার্কিন সঙ্গীত পরিচালক ও নির্দেশক ছিলেন। তিনি দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও টিভি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। তিনি ধ্রুপদী চলচ্চিত্র সান ভ্যালি সেরেনেড (১৯৪১)-এর সঙ্গীত পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি অ্যালফ্রেড নিউম্যানলাইওনেল নিউম্যানের ভাই, র‍্যান্ডি নিউম্যান, ডেভিড নিউম্যান, টমাস নিউম্যানমারিয়া নিউম্যানের চাচা।

এমিল নিউম্যান
Emil Newman
জন্ম(১৯১১-০১-২০)২০ জানুয়ারি ১৯১১
নিউ হেভেন, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যুআগস্ট ৩০, ১৯৮৪(1984-08-30) (বয়স ৭৩)
লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশাসুরকার, সঙ্গীত পরিচালক
কার্যকাল১৯৪০-১৯৮০

নিউম্যান ১৯৪০ সালে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আগমন করেন। তার সুরারোপিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল সর্ব-কৃষাঙ্গ সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র স্টর্মি ওয়েদার, টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র চেটনিকস! দ্য ফাইটিং গেরিলাস, দ্য বেস্ট ইয়ার্স অব আওয়ার লাইভসহন্ডো। এছাড়া তিনি ১৯৫০-এর দশকে একাধিক টেলিভিশন ধারাবাহিকের সঙ্গীত পরিচালনা করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

নিউম্যান ১৯১১ সালের ২০শে জানুয়ারি কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ হেভেনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাইকেল নিউম্যান (জ. নেমরফ্‌স্কি) একজন ডিলার ছিলেন এবং তার মাতা লুবা (বিবাহপূর্ব কস্কফ) গৃহিণী ছিলেন। তারা দুজনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রুশ ইহুদি অভিবাসী ছিলেন।[1] তিনি তার পিতামাতার দশ সন্তানের একজন। তার বড় ভাই অ্যালফ্রেড নিউম্যান (১৯০১-১৯৭০) একজন বিখ্যাত সুরকার। অ্যালফ্রেডের সন্তান ডেভিড, টমাসমারিয়া নিউম্যানও সুরকার। তার ছোট ভাই লাইওনেল নিউম্যান (১৯১৬-১৯৮৯) আরেকজন বিখ্যাত সুরকার। তার নাতী জোয়ি নিউম্যান একজন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সুরকার।[2] তার আরেক ভাই আরভিং নিউম্যান গীতিকার ও সুরকার র‍্যান্ডি নিউম্যানের পিতা। তার ভাই মার্ক নিউম্যান হলিউডের প্রখ্যাত সুরকার জন উইলিয়ামস, জেরি গোল্ডস্মিথ, ডেভ গ্রুসিন, ও মারভিন হ্যামলিশের প্রতিনিধি ছিলেন। তার আরেক ভাই রবার্ট ভি. নিউম্যান জন ওয়েনের ব্যাটজ্যাক প্রডাকশন্সের স্টুডিও নির্বাহী ও সাবেক সভাপতি ছিলেন।

কর্মজীবন

এমিল নিউম্যান ১৯৪০ সালে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ১৩টি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি ১৯৪১ সালে ২৫টি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। এই বছর তিনি ধ্রুপদী সঙ্গীতধর্মী সান ভ্যালি সেরেনেড (১৯৪১)-এর সঙ্গীত পরিচালনার জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[3] এছাড়া এই চলচ্চিত্রটি ২০০৬ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের এএফআইয়ের সঙ্গীতের ১০০ বছর তালিকার জন্য মনোনীত হয়।[4] ১৯৪২ সালে ২৮টি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন, তন্মধ্যে হুইসপারিং গোস্টস চলচ্চিত্রের সুরারোপ করেন, তবে পর্দায় তার নামের কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি। ১৯৪৩ সালে তিনি ১৫টি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সর্ব-কৃষাঙ্গ সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র স্টর্মি ওয়েদার এবং টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র চেটনিকস! দ্য ফাইটিং গেরিলাস। ১৯৪৪ সালে তিনি ১৯টি এবং ১৯৪৫ সালে ১৬টি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তিনি দ্য বেস্ট ইয়ার্স অব আওয়ার লাইভস (১৯৪৬)-এর সঙ্গীত পরিচালনা ও ঐকতান বাদকদলের নির্দেশনা প্রদান করেন, এই চলচ্চিত্রের জন্য হ্যুগো ফ্রিডহফার শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।[5]

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু

নিউম্যান ছোট চরিত্রে অভিনেত্রী ইভা মে হফম্যান ওরফে ইভ ফ্যারেলকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান, কন্যা আর্লিন (জ. ১৯৩৯) এবং পুত্র উইলিয়াম রবার্ট (জ. ১৯৩৭)। আর্লিন বিং ক্রসবির পুত্র ডেনিস ক্রসবিকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে, তারা হলেন এরিন কলিন ও কেলি লি ক্রসবি। এছাড়া ডেনিস আর্লিনের প্রথম স্বামী মাইক বুয়েলের ঔরসের কন্যা ক্যাথরিন ডেনিস বুয়েলকে দত্তক নেন। অন্যদিকে উইলিয়াম রবার্ট নিউম্যানের চার সন্তান রয়েছে, তারা হলেন জিল নিউম্যান, সারা ডেভ্রিস, উইলিয়াম মার্কাস ও জেইসি নিউম্যান।

এমিল নিউম্যান ১৯৮৪ সালের ৩০শে আগস্ট লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী উডল্যান্ড হিলসে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেলের ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্কে সমাহিত করা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. ম্যাকডোনাল্ড, লরেন্স ই. (২০১৩)। The Invisible Art of Film Music: A Comprehensive History। স্কেয়ারক্রো প্রেস।
  2. "How the Newman family conquered the Oscars"দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
  3. গ্রিজার, পি জে (২০ জানুয়ারি ২০২০)। "This Jewish family was nominated for more Oscars than any other"দ্য ফরওয়ার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
  4. "AFI's 100 YEARS OF MUSICALS"এএফআই (ইংরেজি ভাষায়)। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
  5. "The 19th Academy Awards | 1947"অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.