এমএক্স লিনাক্স

এমএক্স লিনাক্স (ইংরেজি: MX Linux) ডেবিয়ান স্টেবল ব্রাঞ্চ ভিত্তিক ও এন্টিক্স লিনাক্সের মূল উপাদানের সাথে এমএক্স সম্প্রদায়ের নিজস্ব কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করা একটি হালকা গ্নু লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন। এন্টিক্স ও পূর্বের এমইপিআইএস সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে একটি সমবায় উদ্যোগের ফল হিশেবে ডিস্ট্রিবিউশনটি উন্নয়ন করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো দুটো ডিস্ট্রিবিউশনেরই সেরা হাতিয়ার ও মেধার সমন্বয় করা। এমএক্স লিনাক্স এক্সএফসিই ডেস্কটপ পরিবেশ ব্যবহার করে, তবে কেডিই প্লাজমা ও অন্যান্য পরিবেশ যুক্ত করা যায়, অথবা "স্পিন-অফ" হিশেবে তাদের আইএসও ইমেজ রয়েছে।

এমএক্স লিনাক্স
এমএক্স-১৯ "পাতিতো ফেও"
ডেভলপারএমএক্স ডেভ টিম
ওএস পরিবারইউনিক্স-সদৃশ
কাজের অবস্থাসক্রিয়
সোর্স মডেলমুক্ত সোর্স
প্রাথমিক মুক্তি২৪ মার্চ ২০১৪ (2014-03-24)
সর্বশেষ মুক্তিএমএক্স-১৯.২[1] / ১ জুন ২০২০ (2020-06-01)
ভাষাসমূহবহুভাষিক
হালনাগাদের পদ্ধতিএলটিএস
প্যাকেজ ম্যানেজারএপিটে
প্ল্যাটফর্মএএমডি৬৪, আই৬৮৬
কার্নেলের ধরনমনোলিথিক (লিনাক্স)
ব্যবহারকারী ইন্টারফেসএক্সএফসিই
লাইসেন্সলিনাক্স ফাউন্ডেশন সাবলাইসেন্স নাম্বার ২০১৪০৬০৪-০৪৮৩
ওয়েবসাইটmxlinux.org

ইতিহাস

এমইপআইএসের ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা ভাবতে গিয়ে প্রথম এমএক্স লিনাক্সের কথা আসে। পরবর্তীতে এন্টিক্সের উন্নয়নকারীরা তাদের সাথে যোগ দেয়, এবং তারা লাইভ-ইউএসবি/ডিভিডি প্রযুক্তি ও আইএসও বিল্ড ব্যবস্থাও যুক্ত করে এ পরিকল্পনায়। ডিস্ট্রওয়াচে তালিকাভুক্ত হতে গিয়ে তারা এন্টিক্সেরই একটি সংস্করণ হিশেবে নিজেদের তালিকাভুক্ত করে। তবে ২ নভেম্বর ২০১৬ সালে প্রথম পাবলিক বেটা এমএক্স-১৬ প্রকাশ হলে তারা নিজেদের আলাদা ডিস্ট্রিবিউশন হিশেবে পরিচয় দেয়া শুরু করে[2]

এমএক্স-১৪ ধারাটি ডেবিয়ান স্টেবল "উইজি"-র উপর ভিত্তি করে উন্নয় করা হয়। এ সংস্করণে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিলো এক্সএফসিই ৪.১০। তবে ১৪.৪ সংস্করণ মুক্তি পেলে তারা এক্সএফসিই ৪.১২ সংস্করণে স্থানান্তরিত হয়। এমএক্স-১৪ সংস্করণগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিলো যাতে তারা একটি কমপ্যাক্ট ডিস্কে জায়গা করে নিতে পারে এবং এজন্য সংযুক্ত অ্যাপলিকেশনের সংখ্যাও কমানো হয়। এ ধারাটির সাথেই এমএক্স টুলের জন্ম হয়, কিছু সাধারণ জটিল ও অস্পষ্ট কাজকে ব্যবহারকারীর কাছে সহজ করাই এ হাতিয়ারগুলোর কাজ।

এমএক্স-১৫ ডেবিয়ান স্টেবল "জেসি"-তে স্থানান্তরিত হয়। এ সংস্করণটি সিস্টেমডি-শিম ব্যবহার শুরু করে, যার মানে সিস্টেমডি ইন্সটল থাকলেও পূর্বনির্ধারিত ইনিট ব্যবস্থা হচ্ছে সিসভিইনিট। [3] আয়তনের সীমাবদ্ধতা এ সংস্করণে কাটিয়ে উঠা হয়। এমএক্স টুলের আকারও বাড়ানো হয়।

এমএক্স-১৯ এ ডেবিয়ান ১০ "বাস্টার"-এ এর ভীত স্থানান্তর করা হয়। আর পূর্বনির্ধারিত ডেস্কটপ হিশেবে আসে এক্সএফসিই ৪.১৪। নতুন হাতিয়ার, শিল্পকর্ম, নথি ও প্রযুক্তিক সুবিধা এ সংস্করণের অন্যতম বৈশিষ্ট।

সংস্করণসমূহ

সংস্করনমুক্তিকার্নেল[4]
এমএক্স-১৯.২১ জুন ২০২০৪.১৯.৬
এমএক্স-১৯.১১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০৪.১৯.৬
এমএক্স-১৯২১ অক্টোবর ২০১৯৪.১৯.৯
এমএক্স-১৮.৩২৬ মে ২০১৯৪.১৯.৫
এমএক্স-১৮.২৭ এপ্রিল ২০১৯৪.১৯.৫
এমএক্স-১৮.১৯ ফেব্রুয়ার ২০১৯৪.১৯.৫
এমএক্স-১৮২০ ডিসেম্বর ২০১৮৪.১৯.৫
এমএক্স-১৭.১১৪ মার্চ ২০১৮৪.১৫.৪
এমএক্স-১৭১৫ ডিসেম্বর ২০১৭৪.১৫.৪
এমএক্স-১৬.১৮ জুন ২০১৭৪.৮.৮
এমএক্স-১৬১৩ ডিসেম্বর ২০১৬
এমএক্স-১৫২৪ ডিসেম্বর ২০১৫
এমএক্স-১৪.৪২২ মার্চ ২০১৫
এমএক্স-১৪.৩৩ ডিসেম্বর ২০১৪
এমএক্স-১৪.২৩০ জুন ২০১৪
এমএক্স-১৪.১.১১৮ জুন ২০১৪
এমএক্স-১৪২৭ মার্চ ২০১৪
এমএক্স-১৪২৪ মার্চ ২০১৪

বৈশিষ্ট্য

এমএক্স লিনাক্সের কিছু প্রাথমিক হাতিয়ার, যেমন ইউএফইআই কম্পিউটারের জন্য ইন্সটলার, লিনাক্স কার্নেল ও মূল এন্টিক্স প্রোগ্রাম পরিবর্তনের জন্য গুই-ভিত্তিক পদ্ধতি ইত্যাদি। কিন্তু এমএক্স হাতিয়ার নামে ব্যবহারকারীকে গুরুত্ব দেয়া কিছু হাতিয়ারের একটি স্যুটের জন্য এমএক্স নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। অধিকাংশ হাতিয়ারই শুধুমাত্র এমএক্সকে মাথায় রেখে তৈরী করা হয়েছে, যখন কিছু এন্টিক্সের অ্যাপলিকেশন বা তাদের থেকে ফোর্ক করা, আর কিছু বাইরে থেকে এসেছে।

উদাহরণস্বরূপ, এমএক্স স্ন্যাপশট নামে গুই টুলটির কথাই ধরা যাক। এ হাতিয়ারটির কাজ হচ্ছে একটি লাইভ ইন্সটলেশনকে একটি আইএসও ফাইলে পরিণত করা। সমস্ত সেটিংস এক রেখে এ ক্লোনকৃত ইমেজটি ডিস্ক বা ইউএসবি ডিভাইস থেকে বুট করা যায়। যার ফলে একটি ইন্সটলেশন একইরকম রেখে একইরকম ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন কম্পিউটারে বণ্টন করা সহজ হয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.