এন সোয়াসা কাট্রে
এন সোয়াসা কাট্রে (তামিল: என் சுவாசக் காற்றே; বাংলা: আমার জীবনের নিঃশ্বাস) হচ্ছে ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল চলচ্চিত্র। রোমান্টিক এই চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন কে এস রবি; যিনি চলচ্চিত্রটির কাহিনীও লিখেছিলেন। অরবিন্দ স্বামী এবং ঈশা কোপিকর চলচ্চিত্রটির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন; প্রকাশ রাজ, রঘুবরণ এবং তালাইবিসাল বিজয়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ছিলেন তামিল চলচ্চিত্রে শিল্পে একদম নতুন প্রযোজক আর এম শেঠ এবং জে আনসার আলী যারা সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান এর পরিচিত ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিলো এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং মোটামুটি ব্যবসাসফলের অধিকারী হয়েছিলো।
এন সোয়াসা কাট্রে | |
---|---|
পরিচালক | কে এস রবি |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | ভাগ্যরাজ |
চিত্রনাট্যকার | ভাগ্যরাজ |
কাহিনিকার | ভাগ্যরাজ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | এ আর রহমান |
চিত্রগ্রাহক | আর্থার এ উইলসন |
সম্পাদক | বাবু-রঘু |
প্রযোজনা কোম্পানি | নেকাব ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল |
পরিবেশক | ভাগ্যরাজ |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল |
আয় | ₹ ২৩ কোটি |
প্লট
আপাতদৃষ্টিতে অপরাধ জগৎ থেকে আসা একটি ছেলে অরুণ কম্পিউটার হ্যাকার এবং দিনের বেলা চোরের জীবনযাপন করে। তিনি যখন মধু এর সাথে তার কল্পিত সাক্ষাৎ করেছেন, তখন তিনি একটি নতুন পাতায় ফিরে যেতে চান কিন্তু অরুণের দুর্বৃত্ত ভাই, যিনি ছোট থেকেই তার নোংরা কাজগুলি করার জন্য তাকে ব্ল্যাকমেল করে আসছিলেন, সেভাবে ভাবেন না। তাদের মধ্যে গভীর প্রেম-ঘৃণার সম্পর্ক যা তাদের শৈশবকালে অরুণকে অপরাধের জীবনে আটকে দেয় অরুণ কীভাবে তার পরিবার এবং প্রেমের মধ্যে চয়ন করে গল্পের সূত্রপাত করে।
অভিনয়ে
- অরবিন্দ স্বামী - অরুণ রাজ
- ঈশা কোপিকর - মধু
- প্রকাশ রাজ - গুরু
- রঘুবরণ - পনীর
- তালাইবিসাল বিজয়
- ভাদিভেলু
প্রযোজনা
১৯৯৬ সালের শেষের দিকে এ আর রহমান তিনটি তামিল চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার জন্য স্বাক্ষরিত হন; তার বন্ধুদ্বয় আর এম শেঠ এবং আনসার আলী লাভ লেটার নামের একটি চলচ্চিত্র বানাতে যাচ্ছিলেন এবং এ আর রহমান চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনার জন্য স্বাক্ষরিত হতে যেয়েও হননি। এ আর রহমান তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক কে এস রবিকে বলেন একটি ভালো তামিল চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য, রবি আগে মিঃ রোমিও (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে এ আর রহমানকে দিয়ে সঙ্গীত পরিচালনা করিয়েছিলেন। লাভ লেটার আলোর মুখ দেখতে পায়িনি; চলচ্চিত্রটি প্রযোজনার সমস্যায় পড়ছিলো এবং অরবিন্দ স্বামী অভিনীত আরো তিনটি চলচ্চিত্র প্রযোজনার সমস্যায় পড়েছিলো। লাভ লেটার চলচ্চিত্রটির শিরোনাম পরিবর্তন করে পরে এন সোয়াসা কাট্রে রাখা হয়েছিলো।[1] ঈশা কোপিকর এর প্রথম চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছিলো এটি কিন্তু মুক্তি প্রযোজনার বিলম্বের কারণে ঈশা অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র আগেই মুক্তি পেয়ে যায়।[2] তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক কাদির যিনি কাদালার দিনাম (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের জন্য স্মরণীয় হন তিনি কে এস রবিকে তার এন সোয়াসা কাট্রেতে ঈশাকে নেওয়ার জন্য বলেছিলেন।[3]
এই চলচ্চিত্রটির আরো একটি সমস্যা হলো অরবিন্দ স্বামীকে প্রযোজকরা বেশি পারিশ্রমিক দিতে চাননি তাই অরবিন্দ এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাচ্ছিলেননা।[4]
তথ্যসূত্র
- "Rediff On The NeT, Movies: Gossip from the southern film industry"। Rediff। ১৯৯৯-০১-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৯।
- "Rediff On The NeT, Movies: Madras calling"। Rediff। ১৯৯৮-১০-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৯।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "Rediff On The NeT, Movies: Gossip from the southern film industry"। Rediff। ১৯৯৯-১২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৯।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে এন সোয়াসা কাট্রে (ইংরেজি)