এজিয়ান সাগর
এজিয়ান সাগর (গ্রিক: Αιγαίο Πέλαγος; তুর্কি: Ege Denizi[2])হলো ভূমধ্যসাগরের সম্প্রসারিত উপসাগর যা গ্রিস ও আনাতোলীয় উপদ্বীপসমূহের মাঝে অবস্থিত। গ্রীস এবং তুরস্কের মাঝে এই সাগরের অবস্থান। এটি দার্দানেলাস ও বসফরাস প্রণালী দ্বারা মার্মারা উপসাগর ও কৃষ্ণ সাগরের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই সাগরে রয়েছে এজিয়ান দ্বীপসমূহের অবস্থান।এই সাগরের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩,৫৪৪ মিটার যা ক্রিট দ্বীপের অবস্থিত।
এজিয়ান সাগর | |
---|---|
অবস্থান | ভূমধ্যসাগর |
স্থানাঙ্ক | ৩৯° উত্তর ২৫° পূর্ব |
ধরন | সাগর |
ব্যুৎপত্তি | এজিয়াস থেকে |
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ | ইনাছস, ইলিসস, সপারসিওস, পিনিওস, হ্যালিয়াকমন, ভার্ডার, স্ট্রুমা, নেস্টস, ম্যারিটসা |
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহ | ভূমধ্যসাগর |
অববাহিকার দেশসমূহ | গ্রীস , তুরস্ক ; উত্তর মেসিডোনিয়া, সাইবেরিয়া , বুলগেরিয়া (অন্তঃপ্রবাহিত নদীগুলোর নিষ্কাশন অববাহিকা )[1] |
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ৭০০ কিমি (৪৩০ মা) |
সর্বাধিক প্রস্থ | ৪০০ কিমি (২৫০ মা) |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ২,১৪,০০০ কিমি২ (৮৩,০০০ মা২) |
সর্বাধিক গভীরতা | ৩,৫৪৪ মি (১১,৬২৭ ফু) |
দ্বীপপুঞ্জ | ১৫০+ |
জনবসতি | Alexandroupoliআলেকজান্দ্রোপলি, আয়ভালিক, বদরুম, স্যানাকেলে, Çeşme, Didim, হেরাক্লিওন, ইজমির, কাভালা, Kuşadası, Thessaloniki, Volos |
এজিয়ান দ্বীপসমূহকে নানা দ্বীপপুঞ্জে ভাগ করা যায়, যার মধ্যে আছে ডোডেক্যানিস দ্বীপপুঞ্জ , সাইক্ল্যাডিস দ্বীপপুঞ্জ , স্পোরাডস দ্বীপপুঞ্জ , স্যারনীয় দ্বীপপুঞ্জ, উত্তর এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ এবং ক্রিট ও এর চারপাশের দ্বীপসমূহ। ডোডেক্যানিস দ্বীপপুঞ্জ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত,যাতে আছে রোডস, কোস ও পাতমোস দ্বীপসমূহ।দেলোস ন্যাক্সস ইত্যাদি দ্বীপসমূহ সমুদ্রের দক্ষিণে সাইক্ল্যাডিস দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত।ইউবেয়া যা গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ এজিয়ান সাগরে অবস্থিত।
ভূগোল
এজিয়ান সাগরের আয়তন প্রায় ২১৪০০০ বর্গ কিলোমিটার। দ্রাঘিমাংশ বরাবর এই সাগরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬১০ কিলোমিটার বা ৩৮০ মাইল এবং অক্ষাংশ বরারবর দৈর্ঘ্য ৩০০ কিলোমিটার বা ১৯০ মাইল। এজিয়ান সাগরের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৫৪৩ মিটার। এই সাগরেই এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান। সাগরের দক্ষিণ দিকে কিথেরা, অ্যান্তিকিথেরা, ক্রিট, কাওস, কার্পাথোস ও রোডস দ্বীপগুলি সাগরটির সীমানা নির্দেশ করে।
ইতিহাস
বর্তমান এজিয়ান সাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলের ইতিহাস প্রায় ৪০০০ খৃষ্টুপূর্বে সূচনা হয়েছিল। এর আগে এজিয়ান সাগরের সর্বত্র পানি পৃষ্ঠ বর্তমানের চেয়ে প্রায় ১৩০ মিটার নিচু ছিল। বর্তমানে যে উপকূল দেখা যায়, তার অভ্যুত্থান প্রায় ৭০০০ খৃষ্টপূর্বের দিকে।[3] ব্রোঞ্জ যুগ পরবর্তীকালে গ্রীস ও এজিয়ান সাগর অঞ্চল একত্রে এজিয়ান সভ্যতা নামে পরিচিতি পায়। প্রাযীনকালে এই সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলেই বিশ্বের প্রাচীনতম দুইটি সভ্যতা মিনোয়ান ও মিসেনিয়ান গ্রিসের উত্থান হয়েছিল।[4]
এরপরে শহর কেন্দ্রিক রাজ্য এথেন্স এবং স্পার্টার উত্থান হয়। এগুলো এথেনিয়ান সাম্রাজ্য ও হেলেনিক সভ্যতার অন্তর্গত। প্লেটো গ্রীকদের এজিয়ান সাগরের তীরে অবস্থান সম্পর্কে বলেছিলেন যে, ব্যাঙ যেভাবে পুকুরে অবস্থান করে, তেমনি গ্রীকরা এজিয়ান সাগর-তীরে বাস করে।[5]
তথ্যসূত্র
- "Drainage Basin of the Mediterranean Sea"। Second Assessment of Transboundary Rivers, Lakes and Groundwaters (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। UNECE। আগস্ট ২০১১।
- "Ege Denizinin Orijinal Adı Nedir?, তুর্কী নৌবাহিনী ওয়েবসাইট"। ২৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪।
- Tjeerd H. van Andel and Judith C. Shackleton (Winter ১৯৮২)। Late Paleolithic and Mesolithic Coastlines of Greece and the Aegean]। 9,। Journal of Field Archaeology। পৃষ্ঠা 445–454।
- Tracey Cullen, Aegean Prehistory: A Review (American Journal of Archaeology. Supplement, 1); Oliver Dickinson, The Aegean Bronze Age (Cambridge World Archaeology).
- John F. Cherry, Despina Margomenou, and Lauren E. Talalay। The familiar phrase giving rise to the title Prehistorians Round the Pond: Reflections on Aegean Prehistory as a Discipline।
বহিঃসংযোগ
- "Cultural Portal of the Aegean Archipelago"। Foundation of the Hellenic World। ১০ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১২।