একতা এক্সপ্রেস
একতা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৫/৭০৬) হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় জেলার সীমান্তবর্তী পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। এটি প্রথমে দিনাজপুর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করত, পরে পঞ্চগড় পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।[1] এটি বাংলাদেশের দ্রুত ও বিলাসবহুল ট্রেনগুলোর একটি। একতা এক্সপ্রেসের বগিসংখ্যা মোট ১২। ট্রেনটি প্রায় ১ হাজার ২০০ যাত্রী বহন করতে পারে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
প্রথম পরিষেবা | ২৪ জুন ১৯৮৬ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ১৯টি |
শেষ | পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ৫২৬ কিলোমিটার (৩২৭ মাইল) |
যাত্রার গড় সময় | ১০ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট |
পরিষেবার হার | দৈনিক |
রেল নং | ৭০৬ / ৭০৫ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | তাপানুকুল স্লিপার, তাপানুকুল চেয়ার, শোভন চেয়ার |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | আছে |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড রেক |
কারিগরি | |
ট্র্যাক গেজ | ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) |
পরিচালন গতি | ১০০ কিমি/ঘণ্টা |
ইতিহাস
১৯৮৬ সালে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত একতা এক্সপ্রেস নাম নিয়ে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়। সেই সময় যমুনা সেতু না থাকায় একতা এক্সপ্রেস দিনাজপুর থেকে ছেড়ে পার্বতীপুর, রংপুর, কাউনিয়া, গাইবান্ধা হয়ে বালাসী ঘাট এসে যাত্রী নামিয়ে দিত, তারপর যাত্রীগণ রেলওয়ের নিজস্ব ফেরী সেবার মাধ্যমে যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাটে পৌঁছাতো। সেখানে একতা এক্সপ্রেসের অপর রেক পুনরায় যাত্রা শুরু করে জামালপুর, ময়মনসিংহ, জয়দেবপুর হয়ে ঢাকায় পৌছাত, সংক্ষেপে তখন ট্রেনটি দিনাজপুর থেকে ছেড়ে রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর হয়ে ঢাকায় আসত। পরে যমুনা সেতু চালু হলে এই ট্রেনটি দিনাজপুর থেকে ছেড়ে জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর হয়ে ঢাকায় পৌছায়।
কোচসমূহ
এই ট্রেনে ১২টি বগি আছে। যার মধ্যে ১টি এসি চেয়ার, ১টি এসি স্লিপার, ১টি পাওয়ার কার, ২টি খাবার গাড়ী, ৭টি শোভন চেয়ার।
সময়সূচী
(বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর।)
ট্রেন
নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭০৫ | কমলাপুর | ১০:১০ | বী.মু.সি.ই. | ২১:০০ | নেই |
৭০৬ | বী.মু.সি.ই. | ২১:১০ | কমলাপুর | ০৮:১০ |
যাত্রাবিরতি
(অনেকসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি পরিবর্তিত হতে পারে। নিম্নোক্ত তালিকাটি ২০২০ সাল অব্দি কার্যকর।)
তথ্যসূত্র
- "পঞ্চগড়-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু"। প্রথম আলো। ১০ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৯।