উরসুলা অ্যান্ড্রেস

উরসুলা অ্যান্ড্রেস (ইংরেজি: Ursula Andress) (জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৯৩৬) একজন সুইজারল্যান্ডীয় (সুইস) অভিনেত্রী। ১৯৬০-এর দশকের অন্যতম প্রধান সেক্স সিম্বল হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়।[1] তিনি মূলত পরিচিত জেমস বন্ড ধারাবাহিকের প্রথম চলচ্চিত্র ড. নো-তে বন্ড গার্ল, হানি রাইডার চরিত্রে অভিনয় করার মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে বন্ড ধারাবাহিকের অপর একটি ছবি ক্যাসিনো র‌য়্যাল-এ তাকে ভেসপার লিন্ড চরিত্রে দেখা যায়।

উরসুলা অ্যান্ড্রেস
২০০৪ সালে সামারসেট হাউসে উরসুলা অ্যান্ড্রেস
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৫৪ – ২০০৫
দাম্পত্য সঙ্গীজন ডেরেক (১৯৫৭ – ১৯৬৬)
সঙ্গীহ্যারি হ্যামলিন
(১৯৭৮ – ১৯৮২)
লরেঞ্জো রিসপোলি
(১৯৮৩ – বর্তমান)

প্রাথমিক জীবন

অ্যান্ড্রেসের জন্ম হয় সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরের ওস্টার্মুন্ডিজেন শহরে। তার মায়ের নাম ছিলো অ্যানা, এবং তিনি জাতিতে ছিলেন সুইজারল্যান্ডীয়। অ্যান্ড্রেসের বাবা রোল্‌ফ অ্যান্ড্রেস ছিলেন একজন জার্মান কুটনৈতিক। তাকে রাজনৈতিক কারণে সুইজার‌ল্যান্ড থেকে বহিস্কার করা হয়। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা।[2] অ্যান্ড্রেসের চার বোন ও এক ভাই আছে। তিনি অনর্গলভাবে ইংরেজি, ফরাসি, ইতালীয়, ও আঞ্চলিক জার্মান (সুইস জার্মান) ভাষায় কথা বলতে পারেন। প্রাথমিক জীবনে একজন আর্ট মডেল হিসেবে রোমে অ্যান্ড্রেসের পেশাজীবন শুরু হয়। এর মাধ্যমেই তিনি ইতালীয় চলচ্চিত্র শিল্পে অভিনয় করা শুরু করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৫৭ সালে উরসুলা অ্যান্ড্রেস অভিনেতা ও পরিচালক জন ডেরেকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬৬ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। অ্যান্ড্রেস বিভিন্ন স্বনামধন্য হলিউড অভিনেতার প্রেম করেছেন। এর মধ্যে আছে মার্লোন ব্রান্ডোজেমস ডন। ১৯৮০ সালে তিনি অভিনেতা হ্যারি হ্যামলিনের সাথে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। হ্যামলিন ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটানস (১৯৮১) চলচ্চিত্রে অ্যান্ড্রেসের সহশিল্পী ছিলেন। ২০০৬ সালের ১৮ মে রয়্যাল ইয়াট ব্রিটানিয়াতে তিনি তার ৭০তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন। এডিনবরাতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অনেক জনপ্রিয় চিত্রব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. Lisanti, Tom; Paul, Louis। Film Fatales: Women in Espionage Films and Television, 1962-1973। McFarland। পৃষ্ঠা 38। আইএসবিএন 0786411945।
  2. Mark Anstead (December 7, 2002). Bond girl who made a killing. The Guardian. Accessed 2008-06-30.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.