উপাত্তগতভাবে অপ্রতুল
উপাত্তগতভাবে অপ্রতুল আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের লাল তালিকায় কোন একটি প্রজাতি বা উপপ্রজাতির একটি সংরক্ষণ অবস্থা। সেসব প্রজাতি ও উপপ্রজাতিকে উপাত্তগতভাবে অপ্রতুল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয় যাদের বর্তমান অবস্থা বা বিলুপ্তির ঝুঁকি সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোনরকম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অনুমান করা সম্ভব হয় না। এ ধরনের জীবদের শারীরতত্ত্ব, জীবনচক্র, স্বভাবচরিত্র ইত্যাদি সম্পর্কে প্রচুর তথ্য এবং বেশ ভাল গবেষণা করা থাকলেও তাদের প্রাচুর্য বা বিস্তৃতি সম্পর্কে কোন সঠিক তথ্য থাকে না। উপাত্তগতভাবে অপ্রতুল শ্রেণীটি প্রকৃতপক্ষে বিপদগ্রস্ততার কোন সূচক নয়। কোন জীবকে এই শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করা এটাই ইঙ্গিত করে যে ওই জীবটি সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন যাতে করে মূল তালিকায় সেটার অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।[1]
সংরক্ষণ অবস্থা | |
---|---|
বিলুপ্ত | |
| |
সংকট জনক | |
| |
কম সংকট জনক | |
|
|
অন্যান্য শ্রেণী | |
| |
সম্পর্কিত বিষয়
| |
উপরে রেড লিস্ট ক্লাসের তুলনা | |
উপাত্তগতভাবে অপ্রতুল শ্রেণীর জীবদের খুব সতর্কতার বাছাই করা হয়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের মতে, তালিকায় কোন একটি জীবের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করার জন্য বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকলে তাদের এই শ্রেণীতে ফেলা উচিত। পূর্বে কোন একটি প্রজাতিকে অন্য কোন শ্রেণীতে রাখা হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে তাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে; এমন প্রজাতিগুলো সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে আসার পূর্বে তাদের উপাত্তগতভাবে অপ্রতুল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[2]
কয়েকটি উপাত্তগতভাবে অপ্রতুল শ্রেণীভুক্ত প্রজাতি
- রিবন সীল
- নবগ্রীষ্মমণ্ডলীয় ভোঁদর
- নিরল খেঁকশিয়াল
- নীলপিঠ মাছরাঙা
- পান্না শালিক
- জাভার মূষিক-মৃগ
তথ্যসূত্র
- "শ্রেণী ও মানদণ্ড (সংস্করণ ৩.১), আই ইউ সি এন লাল তালিকা"। ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৯।
- Oldfield, S., Lusty, C. and MacKinven, A. 1998. The World List of Threatened Trees. World Conservation Press, Cambridge.