উত্তরা ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ
উত্তরা ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠী বা পাহাড়ি ভাষা নামে পরিচিত এই ভাষাগোষ্ঠী ইন্দো-আর্য ভাষা পরিবারের অন্তর্গত এবং হিমালয়ের নিম্ন পার্বত্য অঞ্চলে পূর্ব দিকে নেপাল থেকে পশ্চিমে ভারতের উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্য হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু বিভাগ অবধি বিস্তৃত৷[2]
উত্তরা ইন্দো-আর্য | |
---|---|
পাহাড়ী | |
ভৌগোলিক বিস্তার | নেপাল এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত |
ভাষাগত শ্রেণীবিভাগ | ইন্দো-ইউরোপীয়
|
উপবিভাগ |
|
গ্লটোলগ | indo1310[1] |
শ্রেণীবিন্যাস
পাহাড়ী ভাষাগুলিকে তিনটি উপশ্রেণীতে ভাগ করা যায়৷
- পূর্বা পাহাড়ী
- জুমলি নেপালের কর্ণালী অঞ্চলের প্রায় ৪০,০০০ লোকের কথ্য ভাষা৷[3]
- নেপালি নেপালের প্রায় ১,১১,০০,০০০ জন, ভুটানের প্রায় ২,৬৫,০০০ জন ও ভারতের প্রায় ২৫,০০,০০০ জনের মাতৃভাষা৷ এটি নেপাল ও ভারত উভয় রাষ্ট্রেরই সরকারি ভাষা৷[4]
- কেন্দ্রীয় পাহাড়ী
- কুমায়ূনী ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ও নেপালের কিছু অংশের প্রায় ২৩,৬০,০০০ জনের মাতৃভাষা৷[5]
- গাড়োয়ালি ভারতের উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের কিছু অংশের প্রায় ২৯,০০,০০০ জনের মাতৃভাষা৷
- ডোটিয়ালী নেপালের সুদূর পশ্চিম প্রদেশের প্রায় দশ লক্ষ লোকের মাতৃ ভাষা৷ এটি নেপালি ভাষার উপভাষা হিসাবে মান্যতা পেলেও কুমায়ূনীর সাথে এর সাদৃশ্য লক্ষ্যনীয়৷
- পশ্চিমা পাহাড়ী
- পশ্চিমা পাহাড়ী ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের জৌনসার অঞ্চল থেকে পশ্চিম দিকে জম্মু অবধি বিস্তৃত একাধিক ভাষাগুচ্ছ, যার মধ্যে ডোগরি ও কাংড়ি ভাষা সর্বাধিক প্রচলিত৷
তুলনা
খশকুরা | কুমায়ূনী | কাশ্মীরি | ||||
---|---|---|---|---|---|---|
পুং | স্ত্রী | পুং | স্ত্রী | পুং | স্ত্রী | |
আছি | ছু | ছু | ছিক | ছু | ছুস | ছেস |
আছো | ছাস | ছেস | ছাই | ছি | ছুখ | ছেখ |
আছে | ছ | ছে | ছ | ছি | ছুহ্ | ছেহ্ |
পশ্চিমা পাহাড়ীর বিষয়ে জানার ঝোঁক কম৷ তারা তিব্বতি-বর্মা ভাষাগুলির সংস্পর্শে থাকার কোনো সূত্র পাওয়া যায় না৷ উত্তর পশ্চিম থেকে পূর্ব থেকে তিব্বতি ভাষার মিশ্রণ ক্ষীণ হয়ে আসে৷ শব্দ তালিকার ক্ষেত্রে পশ্চিমা পাহাড়ী ভাষাগুলির সাথে সহজেই উত্তর পশ্চিমের ইন্দো-আর্য দারদীয় ভাষা ও নূরিস্তানী ভাষার মিল পাওয়া যায়৷
তথ্যসূত্র
- হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "ইন্দো-আর্য উত্তরা ক্ষেত্র"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- Masica, Colin P. (১৯৯১)। The Indo-Aryan languages। Cambridge language surveys। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 439। আইএসবিএন 978-0-521-23420-7।
- "Jumli"। Ethnologue: Languages of the World। SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১২।
- "Nepali"। Ethnologue: Languages of the World। SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১২।
- "Kumaoni"। Ethnologue: Languages of the World। SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১২।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.