উইনস্টন প্লেস

উইনস্টন প্লেস (ইংরেজি: Winston Place; জন্ম: ৭ ডিসেম্বর, ১৯১৪ - মৃত্যু: ২৫ জানুয়ারি, ২০০২) ল্যাঙ্কাশায়ারের রটেনস্টল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৮ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

উইনস্টন প্লেস
১৯৪৭ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে উইনস্টন প্লেস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামউইনস্টন প্লেস
জন্ম(১৯১৪-১২-০৭)৭ ডিসেম্বর ১৯১৪
রটেনস্টল, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৫ জানুয়ারি ২০০২(2002-01-25) (বয়স ৮৭)
বার্নলি, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো
ভূমিকাউদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, আম্পায়ার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩২৯)
২১ জানুয়ারি ১৯৪৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট১ এপ্রিল ১৯৪৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৩৭ - ১৯৫৫ল্যাঙ্কাশায়ার
১৯৪৭/৪৮মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩২৪
রানের সংখ্যা ১৪৪ ১৫,৬০৯
ব্যাটিং গড় ২৮.৮০ ৩৫.৬২
১০০/৫০ ১/০ ৩৬/৭১
সর্বোচ্চ রান ১০৭ ২৬৬*
বল করেছে ৬০
উইকেট
বোলিং গড় ৪২.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ১৯১/–

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।

শৈশবকাল

রটেনস্টল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী উইনস্টন প্লেস ৫ বছর বয়সে অনাথ হন। এরপর তিনি কাকীর তত্ত্বাবধানে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে রটেনস্টল ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৫ বছর বয়সে ক্লাবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে শুরু করেন। ঐ ক্লাবের পেশাদার ক্রিকেটার সিডনি বার্নসের সুপারিশক্রমে তাকে ল্যাঙ্কাশায়ার ক্লাবের সদস্য করা হয়।

১৯৩৬ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারে প্রকৌশলী হিসেবে শিক্ষানবিশী ছিলেন।[1] ঐ সময়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্যাটিংয়ের মান বেশ শক্তিশালী ছিল। ফলে, প্রথম একাদশে খেলার জন্যে তাকে বেশ কম সুযোগ দেয়া হতো।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত উইনস্টন প্লেসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। সিরিল ওয়াশব্রুকের সাথে চমৎকার জুটি গড়েন। ১৯৫০ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী ল্যাঙ্কাশায়ার দলে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।

১৯৩৭ সালে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রথম মৌসুমেই সেঞ্চুরির সন্ধান পান উইনস্টন প্লেস।[1] ১৪ খেলায় অংশ নিয়ে ২৯.৬৩ গড়ে ৫৬৩ রান তুলে ঐ মৌসুম শেষ করেন।[2]

ল্যাঙ্কাশায়ারে বেশ আনন্দচিত্তে খেলতেন। প্রথম মৌসুমের শেষ দিন তাকে অন্যান্য ক্রিকেটার প্রশ্ন করলে তিনি এখানেই তার ছুটির দিন অতিবাহিত করতে চান বলে জানান।[3] ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে তিনি ল্যাঙ্কাশায়ার দলে নিজের স্থায়ী আসন গড়তে পারেননি। তিন মৌসুম মিলিয়ে ৩৩ খেলায় ২৯.০২ গড়ে ১,২৭৭ রান তুলতে পেরেছিলেন।[2] ১৯৩৯ সালে সিরিল ওয়াশব্রুকের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। এডি পেন্টারের আঘাত লাভের ফলে তিনি এ সুযোগ পান। সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে ১৬৪ রান তুলেন তিনি।[1] ১৯৩৯ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার কর্তৃপক্ষ তাকে ক্যাপ প্রদান করে।[4]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে ১৯৪৬ সালের পূর্ব-পর্যন্ত আর কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতে পারেননি তিনি।[5] দাতব্য খেলায় অংশ নিতেন ও বোল্টন ক্রিকেট লীগে হরউইচের পক্ষে খেলতেন। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন অ্যাক্রিংটনে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন।[1]

যুদ্ধের পর ৩১ বছর বয়সে প্রথম পছন্দের ব্যাটসম্যান হিসেবে সিরিল ওয়াশব্রুকের সাথে খেলেন।[6] এ জুটিটি ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে অন্যতম সেরা কার্যকর জুটি হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, ঐ সময়ে কাউন্টি ক্রিকেটে সেরা ছিল।[3]

স্বর্ণালী সময়

১৯৪৬ ও ১৯৪৭ সালে উইনস্টন প্লেস সর্বাপেক্ষা সফলতম মৌসুম অতিবাহিত করেন। উভয় মৌসুমে যথাক্রমে ৪১.৫১ গড়ে ১,৮৬৮ ও ৬২.৫২ গড়ে ২,৫০১ রান তুলেন। এগুলোই তার সেরা মৌসুম ছিল। তন্মধ্যে, ১৯৪৭ সালে ১০টি সেঞ্চুরি করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ২৬৬ রান তুলেন। মৌসুমে সেঞ্চুরির দিক দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারটি করেন।[2]

১৯৪৮ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। চারটি শতরান করেন। তন্মধ্যে, টানটনে ২০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এ সংগ্রহটি দলের অর্ধেকের চেয়েও অধিক ছিল। ১৯৪৯ সালে হাত ভেঙ্গে গেলে সাত খেলায় অনুপস্থিত থাকতে হয় তাকে। এরপূর্বেই অবশ্য ট্রেন্ট ব্রিজে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ২২৬ রান তুলেছিলেন। ১৯৫০ সালেও একই গড়ে রান তুলতে থাকেন। এ মৌসুমে যৌথভাবে ল্যাঙ্কাশায়ার দল চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপাধারী হয়। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক মৌসুমেই তিনি সহস্রাধিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। ১৯৫২ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন ও ব্যাটিং উদ্বোধনে না নেমে মাঝারিসারিতে নেমেছিলেন তিনি।

ল্যাঙ্কাশায়ার থেকে চলে আসার সময় ৩৬.৬৯ গড়ে ১৪,৬০৫ রান তুলেন। এ সংখ্যাটি ল্যাঙ্কাশায়ারের সর্বকালের তালিকায় ত্রয়োদশ স্থানে অবস্থান করছিল। ১৯৫৫ সালে তার বয়স চল্লিশের কোটা স্পর্শ করেন। জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে একদিনের বড় ওয়াশব্রুক পঞ্চদশবারের মতো সহস্র রান তুললেও তিনি মাত্র ১৭৯ রান তুলতে সক্ষম হন। ৩২৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৬টি খেলা বাদে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে ৩৫.৬৩ গড়ে ১৫,৬০৯ রান তুলেছিলেন। পাশাপাশি, ১৯০টি ক্যাচ তালুবন্দী করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন উইনস্টন প্লেস। সবগুলো টেস্টই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২১ জানুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে কিংস্টনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

লিডসের হেডিংলি টেস্টে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ড দলে তিনি দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[1] স্বর্ণালী গ্রীষ্মকাল অতিবাহনের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে ইংল্যান্ড দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ পর্যায়ে, ডেনিস কম্পটন, বিল এডরিচ, লেন হাটন ও ল্যাঙ্কাশায়ারীয় দলীয় সঙ্গী সিরিল ওয়াশব্রুক - নিজেদেরকে এ সফরের বাইরে রাখেন।[3] শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে গাবি অ্যালেনের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে শীতকালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করেছিলেন। তবে, এ অভিজ্ঞতাটি সুখকর ছিল না। জাহাজে অবস্থানকালেই ৪৫ বছর বয়সী গাবি অ্যালেন আঘাতের কবলে পড়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটকে অবজ্ঞা করে এমসিসি দল এ সফরে যায় ও প্রথমবারের মতো জয়বিহীন অবস্থায় ফিরে আসে।

১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। ২১ জানুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে ব্রিজটাউনে সিরিজের প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে উইনস্টন প্লেসের টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। জ্যাক রবার্টসনের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। তবে, সফলতার পরিচয় দেননি।[3] প্রথম ইনিংসে ১২ রান সংগ্রহ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় নম্বরে নেমে অপরাজিত ১ রান তুলতে সক্ষম হন।[7]

দ্বিতীয় টেস্টের পূর্বে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে অপরাজিত ১২০ রান তুলে মাংসপেশীর কুঁচকিতে টান পড়লে মাঠের বাইরে থাকেন। ত্রিনিদাদের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় মাংসপেশীর টান নিয়েও খেলেন। ঐ টেস্টে এমসিসি দল চারজন খেলোয়াড়কে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামাতে বাধ্য হয়। সহকারী ব্যবস্থাপক ও সংরক্ষিত উইকেট-রক্ষক বিলি গ্রিফিথকে টেস্টের উদ্বোধনে নামায় ও অভিষেকে তিনি নিজস্ব প্রথম ১৪০ রানের শতরান তুলেন।

সিরিজের বাদ-বাকী শেষ দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। আঘাতে জর্জরিত দলকে সহায়তাকল্পে জর্জ টাউন টেস্টে দলের শক্তি বৃদ্ধির জন্যে লেন হাটনকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়। জ্যাক রবার্টসনের সাথে লেন হাটন উদ্বোধনী জুটিতে নামেন। এরফলে, উইনস্টন প্লেসকে তৃতীয় স্থানে নিয়ে আসা হয়। বার্বাডোস টেস্টে ১২ ও অপরাজিত ১ রানের পর তৃতীয় টেস্টে ১ ও ১৫ রান তুলেন।[1] সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে তিনি তার উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলতে সমর্থ হন। তবে, কিংস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে মনোরম ১০৭ রান তুলেন। এ সেঞ্চুরিটি তার খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথম ও একমাত্র ছিল।[6] তবে, তার এ সেঞ্চুরি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে যায়। শেষ ছয় উইকেট মাত্র ২০ রানে পতন হয়। পরবর্তী বছরগুলোয় এ বিষয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, ‘আমি সেঞ্চুরি পেয়েছিলাম। তাসত্ত্বেও, আমরা হেরে যাই।’

দলে প্রত্যাখ্যান

ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করে দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টির বাইরে অবস্থান করেন। এমনকি, ১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশগ্রহণের জন্যেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।[3]

জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে উপেক্ষিত হবার পরও তিনি ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্যাটিং মেরুদণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক মৌসুমে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।[2] ১৯৪৯ সালে হাত ভেঙ্গে গেলে সাত খেলায় তিনি অংশ নিতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ২২৬ রান তুলেছিলেন। ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে কমনওয়েলথ একাদশের সদস্যরূপে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা গমন করেন।[3] ১২ খেলায় অংশ নিয়ে ২০.৩১ গড়ে ৩৮৬ রান তুলেছিলেন তিনি।[2]

১৯৫২ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে বিবেচিত হন ও £৬,২৯৭ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন। ঐ সময়ে এ সংখ্যাটি কেবলমাত্র সিরিল ওয়াশব্রুক ও ডিক পোলার্ডের চেয়ে কম ছিল। এর মাধ্যমে ল্যাঙ্কাশায়ারীয় সমর্থকদের কাছে তার জনপ্রিয়তার পরিচয় পাওয়া যায়।[3] ১৯৫৩ সালে সর্বশেষবারের মতো মৌসুমে সহস্র রান তুলতে পেরেছিলেন।[2] ১৯৫৪ সালে মাত্র এক সেঞ্চুরি সহযোগে ২১.৬৪ গড়ে রান সংগ্রহ করেন। কিন্তু, ১৯৯৫ সালে আরও নিচেরদিকে নেমে যায়। ১০ খেলায় মাত্র ১৭৯ রান তুলেন।[2] ৪০ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ার দল থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয় ও ল্যাঙ্কাশায়ারের সাথে তার খেলোয়াড়ী জীবনের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।[1]

অবসর

১৯৫৫ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। তবে, শেষ বছরে তার চুক্তির মেয়াদ নবায়ণ করা হয়নি। এরপর, তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট আম্পায়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এক মৌসুমে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পরিবারকে সময় দিতে চূড়ান্তভাবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর নেয়ার পর নিজ শহর রটেনস্টলে সংবাদ প্রতিনিধির ভূমিকা পালন করেন। এমনকি, নিজ শহরের ক্রিকেট দলে খেলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৯৪০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[3] ২৫ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে ৮৭ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলি এলাকায় উইনস্টন প্লেসের দেহাবসান ঘটে। ৮৭তম জন্মদিন উদযাপনের সাত সপ্তাহ পূর্বে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী ও দুই কন্যাকে রেখে যান।[3] এ সময়ে তিনি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. Winston Place Wisden obituary, Cricinfo.com Retrieved on 17 December 2008.
  2. First-class batting and fielding in each season by Winston Place, CricketArchive.com Retrieved on 17 December 2008.
  3. Winston Place, The Daily Telegraph, ২ ফেব্রুয়ারি ২০০২ Retrieved on 18 December 2008.
  4. Winston Place, CricketArchive.com Retrieved on 18 December 2008.
  5. First-class matches played by Winston Place (324), CricketArchive.com Retrieved on 18 December 2008.
  6. Derek Hodgson (৯ ফেব্রুয়ারি ২০০২), Winston Place, The Independent Retrieved on 18 December 2008.
  7. f17575, t293: West Indies v England Marylebone Cricket Club in West Indies 1947/48 (1st Test), CricketArchive.com Retrieved on 18 December 2008.

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.