ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল
ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সংক্ষেপে যেটি 'ঈশ্বরদী ইপিজেড', বা, 'পাবনা ইপিজেড' নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের শহর পাবনার অদূরে ঈশ্বরদী এলাকায় অবস্থিত।[1] এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ৩০৯ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা।
অবস্থান
এই ইপিজেডটি ঢাকা শহর থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে পাবনা জেলার পাকশী এলাকার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত। এটি ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ১০.৬০ কিলোমিটার ও রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮৪ কিলোমিটার ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।[1]
প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা
এটি একটি শুল্কমুক্ত এলাকা যেখানে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে কাঁচামাল আমদানী করতঃ উৎপাদিত পণ্য সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে বিদেশে রপ্তানী করা যায়।[2] শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরবরাহের জন্য এখানে 'বেপজা' কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও বিদ্যুতের জন্য ১১ কেভির একটি সাব স্টেশন রয়েছে; এছাড়াও এখানে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জ্বালানী হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ করা হয়।।[1]
শিল্প প্রতিষ্ঠান
এখানে কলকারখানাগুলোতে তিন ধরনের বিনিয়োগ আছে:
- শতভাগ বিদেশী পুজিঁ
- বিদেশী ও দেশী পুজিঁর যৌথ বিনিয়োগ এবং
- শতভাগ দেশীয় পুজিঁ।
এই ইপিজেডে সর্বমোট শিল্প-প্লটের সংখ্যা ২৯০ টি।[1]
উৎপাদিত পণ্য
এখানে উৎপাদিত পণ্যগুলো[1] হচ্ছে:
- তৈরি পোশাক
- সোয়েটার
- খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি।
রপ্তানি
২০১২-১৩ অর্থবছরের ইপিজেডগুলো থেকে মোট ৪,৮৫৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের[3] পণ্য রপ্তানী করা হয় যা মোট জাতীয় রপ্তানীতে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং এসময় ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে মোট ৫৫.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে।[4] ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট ৫,৫২৫.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[3] মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে ইপিজেডগুলো এবং ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে রপ্তানি হয়েছে ৯৩.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।[5]
বিগত ৬ বছরে বেপজা বিনিয়োগে ১২৯.৫৫%, রপ্তানিতে ১৫৫.৯৫% এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ১১২.৩০% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।[6]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল"। ২৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৫।
- জেলায় জেলায় ইপিজেড হবে গর্বের আধার
- ইপিজেডগুলোতে রপ্তানি আয় বেড়েছে।
- "লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেপজার ৪ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার আয়"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৫।
- ইপিজেডের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
- হাসিনা সরকারে ইপিজেডে ১২৯%বিনিয়োগ ১৫৫% রপ্তানি ১১২%কর্মসংস্থান বেড়েছে।
বহি:সংযোগ
- বেপজা - বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।