ইহরামের পোশাক
ইহরামের পোশাক (আহরামের পোশাক) হচ্ছে, ইসলামী তীর্থযাত্রা হজ্জ বা উমরাহ এর ইহরামের পর্যায়ে মুসলিম নারী ও পুরুষদের পরিহিত পোশাক। এ পোশাক পড়ার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মনোযোগ আকর্ষণ এড়ানো। পুরুষদের পোশাক দুটি সাদা আনহেমড শীট (সাধারণত তোয়ালে তৈরির কাপড়) নিয়ে গঠিত এবং দেখতে একই রকম বা সার্বজনীন হয়। [1] উপরভাগ (রিদা আরবি: رِدَاء)) কাধের উপর আবৃত থাকে, এবং নীচের (ইজার إِزَار)) একটি বেল্ট দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। পায়ে থাকে একজোড়া স্যান্ডেল। তবে নারীদের পোশাক উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয় এবং আঞ্চলিক এবং ধর্মীয় প্রভাব প্রতিফলিত হয়, কিন্তু তারা প্রায়ই বিশেষ পোশাক পরে না বা তাদের মুখ ঢেকে রাখে না।[2]
ফিকহ (ইসলামি আইনশাস্ত্র) |
---|
এর একটি ধারাবাহিক অংশ |
ইসলামিক স্টাডিজ |
সাদা ইহরাম পোশাক সবাইকে একই রকম দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়। এটা নির্দেশ করে যে সৃষ্টিকর্তার সামনে রাজকুমার কিংবা একজন বালকের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ইহরাম মক্কা শহরে থাকাকালীন তীর্থযাত্রীদের এরকম একটি ঐক্যের অনুভূতি জাগ্রত করে যেন তারা সবাই ভাই-বোন যারা শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে যোগ দিয়েছে। যদিও এটি শুধুমাত্র তীর্থযাত্রার সময় পোশাক পরিধান করা হয়, ইহরাম সঠিকভাবে পরিধান সম্পর্কে কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে। উদাহরণস্বরূপ, একজন তীর্থযাত্রীর জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনে ইহরামের প্রয়োজন হয়, যে ধরনের তীর্থযাত্রা করছেন সেই অনুযায়ী। ইহরাম সাধারণত ইসলামিক ক্যালেন্ডারের শেষ মাস জ্বিলহজ্জ মাসে পরিধান করা হয়।
ইহরাম হচ্ছে হজ্ব তীর্থযাত্রার একটি অবস্থা। ইহরামে প্রবেশের আগে স্নান করে, নখ ও চুল কেটে ফেলে, ওজু তৈরি করে এবং হজ্ব করার আনুষ্ঠানিক অভিপ্রায় (নিয়ত) উচ্চারণ করতে হয়। যখন তারা ইহরাম অবস্থায় থাকে, তীর্থযাত্রীদের কোন জীবন্ত বস্তু শিকার বা হত্যা, যৌন মিলন, চুল বা নখ কাটা, অথবা মেকআপ বা পারফিউম পরার অনুমতি দেওয়া হয় না।.[2]
আরও দেখুন
- ইসলামি পোশাক
- আরাফাতের দিন
- ইহরাম
তথ্যসূত্র
- Cornell, Vincent J. (২০০৭)। Voices of Islam: Voices of tradition। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 29। আইএসবিএন 978-0-275-98733-6। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১২।
- Glassé, Cyril; Smith, Huston (১ ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। The New Encyclopedia of Islam। Rowman Altamira। পৃষ্ঠা 207। আইএসবিএন 978-0-7591-0190-6। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১২।