ইস্পাহানি পরিবার
ইস্পাহানি পরিবার হচ্ছে বাংলাদেশের একটি ফার্সি-বাঙালি ব্যবসায়ী পরিবার। পরিবারটি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি গ্রুপের মালিক এবং পরিচালক। তাদের আদি নিবাস ইরানের ইসফাহান শহরে। তবে পরিবারটি এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলায় বসবাস করেছে। এই পরিবারের প্রতিষ্ঠিত এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড নামক প্রায় ২০০ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। [1]
ইস্পাহানি পরিবার | |
---|---|
বর্তমান অঞ্চল | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। |
পূর্ববর্তী বানান | ইস্পাহানী<ইসফাহানি (মূল ফার্সি) |
ব্যুৎপত্তি | ইসফাহান এর |
উৎপত্তির স্থান | ইসফাহান, ইরান |
সদস্য | হাজী মুহাম্মদ হাসেম মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি মির্জা মেহদী ইস্পাহানি মির্জা আলী বেহরুজ ইস্পাহানি মির্জা আবুল হাসান ইস্পাহানি ফারাহনাজ ইস্পাহানি |
পৈত্রিক সম্পত্তি | এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড |
জমিদারি | সিলেট: গাজীপুর, মির্জাপুর, জারীন; চট্টগ্রাম: নেপচুন। |
ইতিহাস
পারস্যের হাজী মুহাম্মদ হাশেম ইস্পাহানী (১৭৮৯-১৮৫০) হচ্ছেন ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৮২০ সালে পারস্যের এসফাহন শহর থেকে ব্রিটিশ ভারতের মুম্বই নগরীতে (তৎকালীন বোম্বে) এসে ইস্পাহানি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা শুরু করেন। ১৮৩০-এর দশকে, তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বাংলার কলকাতায় প্রসারিত করেছিল। মুহাম্মদ হাশিম ছিলেন আসাম চা কোম্পানির কলকাতা কমিটির প্রথম ও একমাত্র উল্লেখযোগ্য মুসলিম সদস্য। ক্রমান্বয়ে তাদের এই পারিবারিক ব্যবসা ব্রিটিশ ভারতের বিভিন্ন অংশে যেমন পশ্চিমে মুম্বই (তৎকালীন বোম্বে), দক্ষিণে চেন্নাই (তৎকালীন মাদ্রাজ) এবং পূর্বে বার্মা (তৎকালীন বার্মা) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। [2] তাদের বংশধরদের অনেকেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারী স্কুল এবং শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে লেখাপড়া করেছেন।
মুহাম্মদ হাশিমের নাতি মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি (১৮১৪-১৯১৩) প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর মুম্বাই (বোম্বে) থেকে চেন্নাইয়ে (মাদ্রাজ) স্থানান্তর করেন। তিনি প্রায় ১২ বছর মিসরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থান করেন। সেখানে তিনি চা, চামড়া, মসলা সহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্যদ্রব্যের বিরাট ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ১৮৮৮ সালে তিনি ঢাকায় তাদের প্রতিষ্ঠানের একটি শাখা অফিস স্থাপন করেন। [2]
১৮৭১ সালে মির্জা মেহেদী ইস্পাহানির পুত্র মির্জা মুহাম্মদ ইস্পাহানি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯০০ সালে এম.এম. ইস্পাহানি অ্যান্ড সন্স-এর কলকাতা অফিস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একই বছর লন্ডনেও একটি শাখা অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। [3] ১৯২৫ সালে তিনি মারা যান।
তাঁর বড় ছেলে মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি (১৮৯৮-১৯৮৬) ১৯১৮ সালে তাদের ব্যাবসার অংশীদারিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৩৪ সালে কলকাতায় তাঁর ছোট ভাই আবুল হাসান ইস্পাহানি এবং মির্জা মাহমুদ ইস্পাহানিকে নিয়ে এম.এম. ইস্পাহানি লিমিটেড নামক লিমিটেড সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আবুল হাসান ১৯৩৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের যুগ্ম-সচিব হওয়ার পর পারিবারিক ব্যবসা ছেড়ে দেন। পরের বছর, তিনি বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য হন। এরপরে তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র হন। ১৯৪৫ সালে তাঁকে কলকাতার মুসলিম চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি করা হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল মধ্য প্রাচ্যে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেওয়া। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের গণপরিষদের সদস্য হন। তিনি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত মুসলিম লীগের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৫২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হন। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। [2]
১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর নতুন সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত ডোমিনিয়নে কর্পোরেট সদর দপ্তর কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। যা এখনো সেখানেই আছে। [1][4]
ভারত সরকার কর্তৃক ভারতে এর পরিচালনার ভার নিজের কর্তৃত্বে নেওয়ার আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই সংস্থাটি কলকাতায় একটি বিদেশী সংস্থা হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে সংস্থাটি দ্রুত তার ব্যবসায় প্রসারিত করেছিল। ১৯৪৭ সালের মধ্যে এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড শাল্যাক (গালার পাত) কেইপক (জাজিম ও লাইফবেল্ট), হোসিয়ান (চটের সুতা এবং কাপড়), পাটের ব্যাগ, চা এবং রাসায়নিক পদার্থের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৪৮ সালে, মির্জা আহমেদদ ইস্পাহানি পাকিস্তানে (স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে) জনসেবা করার জন্য পারিবারিক ব্যবসা ছেড়ে দেন।
পরবর্তীতে মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির পুত্র সাদরি ইস্পাহানি (মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি) (১৯২৩-২০০৪) ১৯৪৯ সালে এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হন এবং তিনি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।[5] তারপর তাঁর পুত্র মির্জা আলী বেহরোজ ইস্পাহানি ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। [2]
এই সংস্থাটির চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং খুলনায় কর্পোরেট অফিস রয়েছে যেখানে এটি চা, টেক্সটাইল, রিয়েল এস্টেট, ক্রিস্পস, পোল্ট্রি, শিপিং এবং ইন্টারনেট পরিষেবাদির মতো অনেক সেক্টরে ২০,০০০ এরও বেশি লোককে নিয়োগ দিয়েছে। [4]
ব্যবসার খাত
চা শিল্প
বাংলাদেশের চা শিল্পে ইস্পাহানি গ্রুপ সবসময়ই শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে সেচ্ছা অব্যাহতি নেওয়ার পর মির্জা মেহদী ইস্পাহানি এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেডের প্রধান হয়ে কোম্পানির মালিকানাধীন সিলেটের চা বাগান গুলোতে ব্যাপক বিনিয়োগ করা শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে চা শিল্পে ইস্পাহানি গ্রুপ ঈর্ষনীয় সফলতা অর্জন করে। বৃহত্তর সিলেটে তাদের রয়েছে মির্জাপুর, গাজীপুর ও জেরিন নামক তিনটি বৃহৎ বাগান এবং চট্টগ্রামে আছে নেপচুন নামক অন্য একটি বাগান। তাদের মালিকানাধীন মির্জাপুর, জেরিন ও গাজীপুর চা বাগান বাংলাদেশের ১০টি শীর্ষস্থানীয় চা বাগানের অন্তর্ভুক্ত। এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম চা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। [6]
পাট শিল্প
১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড ছিল ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ পাট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন সময়ে পূর্ববঙ্গের পাট শিল্পে তারা ব্যাপক বিনিয়োগ করেছিল। এই কোম্পানি কলকাতায় ভিক্টরী জুট প্রোডাক্টস লিমিটেড নামক একটি পাটকল প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে পাকিস্তান সৃষ্টির পর তা চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫০-এর দশকের শুরুতে ইস্পাহানি গ্রুপ চট্টগ্রামে চিটাগাং জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিজেএমসিএল) নামে আরেকটি পাটকল প্রতিষ্ঠা করে। তৎকালীন সময়ে এটি ছিল বেসরকারি খাতে দেশের সর্ববৃহৎ পাটকল। [2]
বেসরকারি বিমান
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পূর্ব ফ্রন্টে জাপানিদের মোকাবেলা করতে ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় বিমান বাহিনী ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি রানওয়ে তৈরি করে। যুদ্ধ শেষ হলে শেষ হলে সরকার এটিকে বেসামরিক বিমান পরিবহনের কাজে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর ইস্পাহানি গ্রুপের তৎকালীন প্রধান মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি কলকাতায় ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল পূর্বর প্রথম ও একমাত্র ১১বেসামরিক বিমান পরিবহন কোম্পানি। এই এয়ারওয়েজ মাত্র দু ধরনের অর্থাৎ সি-৩ (ড্যাকোটা) ও ডিএইচসি-৬ (টুইন ওটার) বিমান ব্যবহার করে শুধুমাত্র ঢাকা ও করাচির মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করত।পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) গঠনের মাধ্যমে বিমান পরিবহন খাত সম্পূর্ণভাবে সরকারি মালিকানাধীন করার ফলে তা পিআইএ-র সাথে একীভূত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। [2]
অন্যান্য
- টেক্সটাইল
১৯৫৪ সালে ইস্পাহানি গ্রুপ চট্টগ্রামে পাহাড়তলী হোসিয়ারি মিলস (পিটিএইচএম) প্রতিষ্ঠা করে। এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি পূর্ববঙ্গের টেক্সটাইল শিল্পের একটি পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। [2]
- শিপিং শিল্প
বাংলাদেশের শিপিং শিল্পের অন্যতম পুরনো প্রতিষ্ঠান হলো ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠিত এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই ইস্পাহানি গ্রুপ এদেশে বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত শিপিং কোম্পানির পক্ষে কাজ করে আসছে। এছাড়াও তারা বাংলাদেশে নন ভেসেল অপারেটিং কমন ক্যারিয়ার্স-এর স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে শিপিং খাতে ভূমিকা রাখছে। [2]
সমাজ সেবা
চিকিৎসা খাত
ইস্পাহানি পরিবার বাংলাদেশে অসংখ্য দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল গড়ে তুলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হাসপাতালগুলো হচ্ছে ঢাকার ফার্মগেটে অবস্থিত ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ও এম.এ ইস্পাহানি ইন্সটিটিউট অব অফ্থ্যালমোলজি। ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতালটি এখন সাইট সেইবার্স ইন্টারন্যাশনাল এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের মতো বিশ্বখ্যাত চক্ষু প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে যাচ্ছে। এছাড়াও এই হাসপাতালটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক নামক বহুজাতিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বাংলাদেশে অন্ধত্ব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলছে। একইভাবে ইস্পাহানি ইন্সটিটিউট অব অফ্থ্যালমোলজি হাসপাতালটি চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সাথে যৌথভাবে সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। [2]
শিক্ষাবিস্তার
বাংলাদেশে শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে ইস্পাহানি পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ পর্যন্ত এই পরিবার মোট ৯টি স্কুল এবং কলেজ স্থাপন করেছে। যথা:[2]
- ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস [7]
- ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম
- মির্জা আহমেদ স্মৃতি বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
- সিজেএম হাই স্কুল
- ওয়াইসিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসা
- মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি উচ্চ বিদ্যালয়
- ভিক্টরী হাই স্কুল
- ইস্পাহানী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা
- সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
তথ্যসূত্র
- "ইস্পাহানি গ্রুপ"। ittefaq.com.bd। দৈনিক ইত্তেফাক। ২০১৯-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৪।
- হোসাইন, আশফাক। "ইস্পাহানি পরিবার"। bn.banglapedia.org। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৪।
- চ্যাটার্জী, জয়া (১৯৯৪)। বাংলা ভাগ হল: হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা এবং দেশভাগ, ১৯৩২-১৯৪৭ (Bengal Divided: Hindu Communalism and Partition, 1932-1947)। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৮০। আইএসবিএন 0-521-52328-1।
- "The four winners of Bangladesh Business Awards 2003"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৪-০৩-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১০।
- "Mirza Mehdy Ispahani passes away"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৪-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১০।
- Rob, GMF Abdur। "Remembering MA Ispahani"। archive.thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।
- "History of IPSC"। ipse.edu.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, কুমিল্লা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৪।