ইসলামে লিঙ্গ পার্থক্যকরণ

ইসলামে লিঙ্গ পার্থক্যকরণ হল ইসলামী আইন, প্রথা ও ঐতিহ্য যার দ্বারা ইসলামী দেশ ও সম্প্রদায়গুলোতে সামাজিক ও অন্যান্য কাঠামোতে পুরুষ ও বালকদেরকে নারী ও বালিকাদের থেকে পৃথক রাখার চর্চা ও আবশ্যকতা বোঝানো হয়। কোরআনে ও হাদীসে লিঙ্গ পার্থক্যকরণ আছে কিনা এবিষয়ে পন্ডিতগণের মতে ভিন্নতা রয়েছে।[1][2][3][3][4][5] ইসলামী ধর্মতত্ত্বে লিঙ্গ পার্থক্যকরণ আছে কিনা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে ভিন্নমত রয়েছে।

মসজিদে নারী ও পুরুষদেরকে আলাদা রাখা হয়, তিউনিসিয়ার আল-জায়তুনা মসজিদে নারীদের স্থান

উৎস

কুরআনের যেসব আয়াত সামাজিক প্রসঙ্গে নারী পুরুষের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার বিষয়কে উল্লেখ করেছে সেগুলো হল:

হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয় ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্যে অনেক পবিত্রতা আছে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন। যে গৃহে কেউ বাস করে না, যাতে তোমাদের সামগ্রী আছে এমন গৃহে প্রবেশ করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই এবং আল্লাহ জানেন তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর। মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

কুরআন, সূরা ২৪ (আন-নূর), আয়াত ২৭-৩১[6]

হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্ত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।

কুরআন, সূরা ৩৩ (আল-আহজাব), আয়াত ৫৯[7]

ইসলামের নবী মুহাম্মাদ পুরুষদের আদেশ করেছিলেন তারাযেন তাদের স্ত্রীদেরকে মসজিদে যেতে বাধা না দেয়:

ইবনে উমর (আব্দুল্লাহ ইবনে উমর) বলেছেন যার অনুবাদ নিম্নরূপ:

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর বান্দীদেরকে আল্লাহর মসজিদে যেতে নিষেধ করবে না।

মুসলিম ৮৭৪ (হাদীস একাডেমী), বুখারী ৮৭৩ (তাওহীদ), ৮২৪ (আধুনিক)

তথ্যসূত্র

  1. Answered by Sheikh Sâmî al-Mâjid। "Woman sitting in the company of her husband in the presence of male guests | IslamToday - English"। Islam Today। ২০১৩-১১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৩
  2. "Segregation of the Sexes - Social Life - counsels"। OnIslam। ২০১২-০৫-৩১। ২০১৩-১১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৩
  3. "Fatawa - Co-ed vs. girls only school"Dar al-Ifta al Misriyyah। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬
  4. "Fatawa - Is it permissible for a woman or a man to eat at a restaurant where there is no gender segregation?"Dar al-Ifta al Misriyyah। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬
  5. "Ask The Scholar"। Ask The Scholar। ২০১৩-১১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৩
  6. কুরআন ২৪:৩০–৩১
  7. কুরআন ৩৩:৫৯

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Segregation by type

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.