ইসলামে উদারতাবাদ

ইসলামের উদারতাবাদ ও অগ্রগতিবাদে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা ইসলামী জ্ঞানের সংস্কার ও সংস্কারের বিষয়ে উদার চিন্তাধারার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তৈরি করেছে।তাদের কাজকে কখনো কখনো "প্রগতিশীল ইসলাম" হিসেবে অভিহিত করা হয়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রগতিশীল ইসলাম ও উদার ইসলামকে দুটি আলাদা বিষয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। ইসলামে উদারতাবাদ নির্ভর করে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয়গ্রন্থ (কুরআন) অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থ (যেমনঃ হাদীস) এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের উপর, যে প্রক্রিয়াকে ইজতিহাদ বলা হয়। এটি ছোট উদারতাবাদ থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে সর্বোচ্চ উদারতাবাদ এ পরিবর্তিত হতে পারে, যেখানে কুরআনের অর্থকে কেবল একটি দ্বৈববাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং কুরআনের শাব্দিক অভিব্যক্তি হিসেবে বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নবী মুহাম্মদ এর কাজ কে দেখা যায়। এর ফলস্বরূপ, উদারপন্থী / প্রগতিশীল মুসলমানরা তখন কুরআনের আয়াতগুলোকে অনুকরণীয়ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে বা এমনকি তাদের সরিয়ে দিতে পারে।কিছু উদার মুসলিম মনে করে যে তারা প্রথম উম্মাহর মূলনীতির দিকে ফিরে যাচ্ছে এবং কুরআনের একটি নৈতিক ও বহুত্ববাদী তাত্ত্বিক নীতির প্রতিষ্ঠা তারা করতে চায়। তারা নিজেদেরকে ইসলামী আইনের কিছু ঐতিহ্যগত ও কম উদারনৈতিক ব্যাখ্যা থেকে দূরে রাখে যেগুলোকে তারা সাম্প্রদায়িক মনে করে ও সর্বজনবিদিত বলে মনে করে না। এই সংস্কারমূলক আন্দোলন একেশ্বরবাদ (তাওহীদ) কে মানব সমাজের সংগঠনের মূলনীতি হিসেবে এবং পাশাপাশি ধর্মীয় জ্ঞান,ইতিহাস,আধ্যাত্মিকতা,নন্দনতত্ত্ব,নীতিশাস্ত্র,সামাজিক ব্যবস্থা,অর্থনীতি ও বিশ্বায়নের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.