ইসরায়েল
ইসরায়েল (হিব্রু ভাষায়: מְדִינַת יִשְׂרָאֵל মেদিনাৎ য়িস্রা'এল্ ; আরবি: دَوْلَةْ إِسْرَائِيل দাউলাৎ ইস্রা'ঈল্) পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র। এটি ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব তীরে ও লোহিত সাগরের উত্তর তীরে অবস্থিত। দেশটির উত্তর স্থলসীমান্তে লেবানন, উত্তর-পূর্বে সিরিয়া, পূর্বে জর্দান ও ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত ভূখণ্ড পশ্চিম তীর, পশ্চিমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মিশর অবস্থিত।
ইসরায়েল | |
---|---|
১৯৪৯ এর আর্মিস্টাইস বর্ডার (গ্রিন লাইন) | |
রাজধানী | জেরুসালেম (সীমিত স্বীকৃতি)[fn 1] ৩১°৪৭′ উত্তর ৩৫°১৩′ পূর্ব |
বৃহত্তম নগরী | তেল আবিব[টীকা 1] |
সরকারি ভাষা | হিব্রু |
স্বীকৃত ভাষা | আরবি[fn 2] |
নৃগোষ্ঠী (২০১৯) | |
ধর্ম (২০১৯) |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | ইসরায়েলি |
সরকার | এককেন্দ্রিক সংসদীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র |
• রাষ্ট্রপতি | আইজাক হারজগ |
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু | |
• নেসেটের স্পিকার | ইয়ারিভ লেভিন |
• প্রধান বিচারপতি | এস্থার হায়ুত |
আইন-সভা | নেসেট |
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা | |
• ঘোষণা | ১৪ই মে ১৯৪৮[15] |
১১ই মে ১৯৪৯ | |
• প্রাথমিক আইন | ১৯৫৮–২০১৮ |
আয়তন | |
• মোট | ২০,৭৭০–২২,০৭২ কিমি২ (৮,০১৯–৮,৫২২ মা২)[a] (১৫০তম) |
• পানি/জল (%) | ২.৭১ (২০১৫ অনুযায়ী)[16] |
জনসংখ্যা | |
• ২০২১ আনুমানিক | ৯,৩৪৮,৮৫০[17][fn 3] (৯৯তম) |
• ২০০৮ আদমশুমারি | ৭,৪১২,২০০[18][fn 3] |
• ঘনত্ব | ৪২৪ /কিমি২ (১,০৯৮.২ /বর্গমাইল) (৩৫তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০২০[19] আনুমানিক |
• মোট | ৩৭ হাজার ২৩১ কোটি মার্কিন ডলার[fn 3] (৫১তম) |
• মাথাপিছু | $৪০,৩৩৬[fn 3] (৩৪তম) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০২০[19] আনুমানিক |
• মোট | $৪১ হাজার ৫০ কোটি[fn 3] (৩১তম) |
• মাথাপিছু | $৪৪,৪৭৪[fn 3] (১৯তম) |
জিনি (২০১৮) | ৩৪.৮[fn 3][22] মাধ্যম · ৪৮তম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯) | ০.৯১৯[fn 3][23] অতি উচ্চ · ১৯তম |
মুদ্রা | ইসরায়েলি শেকেল (₪) (ILS) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+২ (ইসরায়েলি মান সময়) |
ইউটিসি+৩ (ইসরায়েলি গ্রীষ্ম সময়) | |
তারিখ বিন্যাস | |
গাড়ী চালনার দিক | ডান |
কলিং কোড | +৯৭২ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IL |
ইন্টারনেট টিএলডি | .il .ישראל |
|
ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত তেল আবিব দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রাণকেন্দ্র এবং বৃহত্তম মহানগর এলাকা।[24] ইসরায়েল সমগ্র জেরুসালেম শহরকে তার রাজধানী হিসেবে দাবী করে আসছে, যদিও এই মর্যাদা সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রই স্বীকার করে না।[25] শহরের পশ্চিমভাগ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এখানে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি অবস্থিত।[টীকা 2] ইসরায়েলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গুয়াতেমালা ও ইতালি ব্যতীত অন্য ৮৭টি দেশের দূতাবাস তেল আবিব নগর বা জেলায় অবস্থিত (২০২১ সালের তথ্যানুযায়ী)।[26] এছাড়া হাইফা ও বে-এরশেভা আরও দুইটি বৃহৎ মহানগর এলাকা।
অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েল একটি অত্যন্ত উন্নত শিল্পপ্রধান রাষ্ট্র। স্থূল আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হিসেবে ইসরায়েল বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এটি এশিয়ার ৩টি উচ্চ-আয়ের রাষ্ট্রগুলির একটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে এটি বিশ্বের ৩৯টি অগ্রসর অর্থনীতিসমৃদ্ধ দেশগুলির একটি।
ইসরায়েলে প্রায় ৯৩ লক্ষ লোকের বাস। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪২৫ জন অধিবাসী বাস করে। এদের মধ্যে ৬৭ লক্ষ ইহুদী জাতি ও ধর্মাবলম্বী এবং ১৯ লক্ষ আরব জাতিভুক্ত (যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান)। এটিই বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে ইহুদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়। ইসরায়েলের জনগণ অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত; এখানকার প্রায় অর্ধেক জনগণের (২৫-৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে) বিশ্ববিদ্যালয় বা তার সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ।[27] দেশটির জীবনযাত্রার মান সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ, এশিয়াতে ৫ম এবং বিশ্বে ১৯তম।[23]
ইসরায়েল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নিরিখে বিশ্বের সেরা দেশগুলির একটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রকাশিত ব্লুমবার্গ নবীকরণ সূচকে ২০১৯,২০২০ ও ২০২১ সালে ইসরায়েল যথাক্রমে ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম সেরা নবীকারক হিসেবে স্থান পায় (দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের পরে এশিয়াতে তৃতীয়)। অন্যদিকে মার্কিন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও কিছু সহযোগী সংস্থার প্রকাশিত বৈশ্বিক নবীকরণ সূচকে দেশটি ২০২০ সালে ১৩তম স্থান লাভ করে। শেষোক্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলে প্রতি ১০ লক্ষ অধিবাসীর জন্য ৮৩৪১ জন বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রকৌশলী আছেন, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। ইসরায়েল তার বাৎসরিক বাজেটের প্রায় ৫% বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়নের পেছনে বরাদ্দ করে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতার নিরিখে এটি বিশ্বের ১ নম্বর দেশ। ইসরায়েলের বৈদেশিক বাণিজ্যের ১৩% তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা রপ্তানিতে নিয়োজিত, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। ইসরায়েল প্রতি একশত কোটি মার্কিন ডলার স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ করে থাকে। জ্ঞানের বিস্তারে দেশটি বিশ্বের ২য় সেরা দেশ; ১৫-৬৫ বছর বয়সী প্রতি ১০ লক্ষ ইসরায়েলির জন্য উইকিপিডিয়াতে সম্পাদনার সংখ্যা ৯৪, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ।[28]
ইসরায়েল নিজেকে একটি ইহুদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করে। এখানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। এর এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নাম ক্নেসেত। প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসরায়েলের জন্ম, ইতিহাস ও রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই ইসরায়েল প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। দেশটি ১৯৬৭ সাল থেকে অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা সামরিকভাবে দখল করে আছে। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আধুনিক ইতিহাসের দীর্ঘতম সামরিক দখলের ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হয়।[fn 4][32] ২০২১ সালে এসে জাতিসংঘের ১৯২টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৬৪টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ২৮টি রাষ্ট্র (মূলত মুসলমান অধ্যুষিত) এখনও ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়নি এবং দেশটির সাথে তাদের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।[33] তাদের অনেকের মতে ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের একটি অংশের অবৈধ দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড। তবে নিকটতম দুই আরব প্রতিবেশী মিশর ও জর্দানের সাথে ইসরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে ও দেশ দুইটির স্বীকৃতিও লাভ করেছে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে ঐতিহাসিক গবেষণা ও দালিলিক যুক্তিপ্রমাণসহ দাবী করা হয় যে ইসরায়েলি সরকার প্রণালীবদ্ধভাবে ইসরায়েলের ইহুদীদেরকে অগ্রাধিকার প্রদান করে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। সংস্থাটির মতে ইসরায়েলের আইন, নীতি ও ইসরায়েলের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের বিবৃতিতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে জনপরিসংখ্যান, রাজনৈতিক ক্ষমতা ও ভূমির উপরে ইহুদী ইসরায়েলিদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার মূল লক্ষ্যটি ইসরায়েলি সরকারের সমস্ত নীতিকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এই লক্ষ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন মাত্রায় তাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গণহারে ভূমি জবরদখল, অব্যাহতভাবে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ ও সুউচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করে ফিলিস্তিনিদেরকে ছিটমহলে অবরুদ্ধকরণ ও বলপূর্বক পৃথকীকরণ, তাদের বসবাসের অধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ ও তাদের উপরে দমন-নিপীড়নের মতো কাজগুলি সম্পাদন করে চলেছে। কিছু কিছু এলাকায় এই ধরনের বৈষম্য এতই প্রবল যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে ইসরায়েলি সরকারের আচরণগুলি একটি অলিখিত সীমা লংঘন করেছে এবং এগুলি জাতিবিদ্বেষভিত্তিক পৃথকাবাসন (আপার্টহাইট) ও নিপীড়নের মতো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবার যোগ্য।[34] এর আগে ২০১৭ সালে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় যে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূমি জবরদখল, ছয় লক্ষ ইহুদীর জন্য ২৮০টির মতো (আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে) অবৈধ বসতি স্থাপন, ফিলিস্তিনিদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদের পাশাপাশি অবাধ বৈষম্যমূলক আচরণের দ্বারা প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদেরকে কর্মস্থলে গমন, বিদ্যালয়ে গমন, বিদেশে গমন, আত্মীয়দের সাক্ষাৎ, অর্থ উপার্জন, প্রতিবাদে অংশগ্রহণ, কৃষিভূমিতে কাজ করার ক্ষমতা, এমনকি বিদ্যুৎ ও সুপেয় জলের লভ্যতার মতো মৌলিক অধিকারগুলি প্রণালীবদ্ধভাবে লংঘন করে চলেছে।[35]
নামকরণের ইতিহাস
১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের সময় নাম রাখা হয় 'স্টেট অব ইসরায়েল', হিব্রু ভাষায় নাম রাখার কথা ভাবা হয়েছিলো যেমন: ইস্রায়েল দেশ, সিয়োন অথবা যিহূদিয়া। তবে ইসরায়েল নামটি হিব্রু এবং আরবি দুটো ভাষারই হওয়াতে এই নামই রাখারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।[36]
ইতিহাস
সপ্তম শতকে মুসলিমরা ইসরায়েল ভূখণ্ডটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়, ১০৯৯ সালে এটি খ্রিস্টানদের দখলে যায়, ১১৮৭ সালে এটি আবার আইয়ুবীয় রাজবংশ এর অধীনে চলে যায়, ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইসরায়েল মিশরের মামলুক সুলতান এর নিয়ন্ত্রণে আসে, ১৫১৭ সালে এটি উসমানীয় সাম্রাজ্যভুক্ত হয়; ইহুদীরা সপ্তম শতাব্দী থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছে এবং পরে তারা ইউরোপ মহাদেশে পাড়ি জমায়।[37]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর ইসরায়েল (যদিও তা ফিলিস্তিন নামে একটি দেশ ছিল তবে তারা অর্থাৎ ইহুদিরা দেশটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়) দেশটি ব্রিটিশরা তাদের অধীনে নিয়ে নেয় এবং নাম রাখে 'মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন'।[38] ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদী ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে।
১৯২৩ সালে স্বাধীন তুরস্কের জন্ম হলে এই অঞ্চলে ইহুদীরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হয়ে যান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নরওয়ে, পোল্যান্ড, গ্রীস এবং সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী ইহুদীদেরকে নেতারা আহ্বান জানান ইসরায়েলে বসতি গড়তে। তাছাড়া ব্রিটিশ সরকার ইহুদীদেরকে তাদের নিজস্ব ভূমি ছেড়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদী মানুষ ইসরায়েল ভূখণ্ডে পাড়ি জমায়।[39]
১৯২১ সালে ইহুদীরা 'হাগানাহ' নামের এক বাহিনী তৈরি করে।[40] এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা আধা-সামরিক বাহিনীতে পরিণত হয় এবং জোরপূর্বক ফিলিস্তিন দখলের পর এই বাহিনী ইসরায়েলের মূল সামরিক বাহিনী গঠন করে।[41]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপ থেকে আরো ইহুদী মানুষ ইসরায়েলে আসে এবং তাদের অনেককেই হাগানাহ সহ অন্যান্য বাহিনীতে নেওয়া হয় ভবিষ্যৎ যুদ্ধের মোকাবেলা করার জন্য।[42]
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[43] এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ড্যাভিড বেন গুরিয়ন ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[44]
১৯৪৮ সালের ১৭ মে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[45] ১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে তুরস্ক সরকার ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলিমসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ছিলো।[46][47]
রাজনীতি
ইসরায়েলের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা তার উপর ন্যস্ত।[48] আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেসেট নামের আইনসভার উপর ন্যস্ত।[49] বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন।[50]
পররাষ্ট্র নীতি
ইসরায়েলের সঙ্গে ১৭০টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে।[51] তবে ফিলিস্তিন বিবাদের জন্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে শীতল সম্পর্ক রয়েছে।[52]
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
ইসরায়েলে ছয়টি জেলা আছে, এগুলো হলোঃ জেরুসালেম জেলা, উত্তর জেলা, হায়ফা জেলা, মধ্য জেলা, তেল আবিব জেলা এবং দক্ষিণ জেলা এবং জুডিয়া এ্যান্ড সামারিয়া এলাকা।[53]
সামরিক বাহিনী
ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী (ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস, সংক্ষেপে আইডিএফ) তিনটি মিলিটারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত।[54] সংস্থাগুলো হচ্ছে স্থলবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী।[15] তিন বাহিনীকে এক বাহিনী ধরা হয়; এই বাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। অফিশিয়ালি ইসরায়েল সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালের ২৬ মে কেবিনেটের সিদ্ধান্তক্রমে। এ জন্য লিখিত আদেশ দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় বাধ্যতামূলকভাবে অনেক ইহুদিকে এই বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়। এ ছাড়াও ইহুদিদের তিনটি সংগঠন হাগানাহ, ইরগান ও লেহির সদস্যদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে এই বাহিনী গঠন করা হয়। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা আর নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেকগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয় এই বাহিনীকে।[15]
বিভিন্ন দেশের সাথে এই বাহিনীর অস্ত্র ও প্রযুক্তির বেশ পার্থক্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মারকাভা মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, উজি সাব মেশিনগান এবং গালিল ও টাভর অ্যাসল্ট রাইফেল। আইডিএফ’র উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে অর্থসহযোগিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাত হচ্ছে এফ-১৫১ জেট বিমান, টিএইচ।[15]
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- লকহিড মার্টিন এফ-৩৫ লাইটনিং দ্বিতীয়
- এফ-১৬ ফাইটনিং ফ্যালকন
- ম্যাকডনেল ডগলাস এফ-১৫ ই স্ট্রাইক ইগল
- এফ-১৫ ঈগল
ভূগোল
ইসরায়েল পশ্চিম এশিয়াতে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। এই ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল ধরে সমভূমি অবস্থিত। ইসরায়েলের দক্ষিণে রয়েছে বিশাল নেগেভ মরুভূমি আর উত্তরে আছে বরফাবৃত পর্বতমালা। দক্ষিণে লোহিত সাগরে এক চিলতে প্রবেশপথ আছে।[55][56]
অর্থনীতি
ইসরায়েলের অর্থনীতি আধুনিক পশ্চিমা অর্থনীতির সমপর্যায়ের। ইসরায়েলের নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ খুব কম। দেশটি ১৯৭০-এর দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান পেয়ে আসছে, তবে ১৯৯৮-এর পর এই অনুদানের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। ইসরায়েল ও.ই.সি.ডি. (অরগ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো - অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর সদস্য। দেশটির মানুষের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত এবং ২০১২ সাল অনুযায়ী দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৫,০০০ মার্কিন ডলার।[57][58] ইসরায়েলের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা এবং সরকারের ভালো সদিচ্ছা থাকার কারণে দেশটিতে বেকারত্ব খুবই কম।[59]
জনসংখ্যা
ইসরায়েলের জনসংখ্যা প্রায় ৯ মিলিয়ন।
ভাষা
ইসরায়েল ভাষাগত ও সংস্কৃতিগতভাবে বিচিত্র। এথনোলগের ১৫শ সংস্করণ অনুসারে ইসরায়েলে ৩৩টির মত ছোট-বড় ভাষা ও উপভাষা প্রচলিত[60]। ইসরায়েলি নাগরিকেরা নিজেদের মধ্যে ভাব আদান প্রদানের জন্য মূলত আধুনিক হিব্রু ভাষা ব্যবহার করেন। আধুনিক হিব্রু ভাষাটি ১৯শ শতকের শেষ দিকে প্রাচীন হিব্রু ভাষার বিভিন্ন উপভাষার উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়েছিল এবং এতে স্লাভীয় ও জার্মানিয় ভাষাসমূহের কিছু প্রভাব আছে। ভাষার সরকারি মর্যাদা ও ভাষা সংক্রান্ত নীতিমালার উপর ইসরায়েলে বেশ কিছু আইন আছে। বর্তমানে হিব্রু ও আরবি ইসরায়েলের সরকারি ভাষা।[61]
সংস্কৃতি
ইসরায়েলের সংস্কৃতি পশ্চিমা ঘরানার।[62]
পর্যটন
ইসরায়েলের পর্যটন মূলত ইহুদী, ইসলাম ধর্মের পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। দেশটির সর্বত্র ইহুদী ধর্মের ও সভ্যতার স্মৃতিবিজড়িত নানা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ইহুদীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় শহর এবং মুসলিম ও খ্রিস্টানদেরও গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হল জেরুজালেম শহর। জেরুজালেমের ইহুদী মন্দির ও পশ্চিম দেওয়াল বিখ্যাত। এছাড়া আছে যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান বেথেলহেম, বাসস্থান নাজারেথ।এখানে হারাম আল শরীফ তথা আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত।ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ যা মুসলিমদের প্রথম কিবলা হিসাবে পরিচিত। ভূমধ্যসাগরের তীর জুড়ে রয়েছে অনেক অবকাশ যাপন কেন্দ্র। আরও আছে লবণাক্ত মৃত সাগর, যার পানিতে ভেসে থাকা যায়। লোহিত সাগরের উপকূল এবং গ্যালিলির সাগরের উপকূলেও অনেক অবকাশ কেন্দ্র আছে।[63]
গ্যালারি
- রাতে পুরাতন জেরুসালেম শহর
- ড্যাভিডের মিনার জাদুঘর
- শ্রাইন অফ দ্য বুক
- তিবেরিয়াস হ্রদ
- মৃত সাগরের পানিতে ভাসমানতা
টীকা
- পূর্ব জেরুসালেম আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃত নয়, বরং ইসরায়েল-অধিকৃত ফিলিস্তিনি এলাকা হিসেবে পরিগণিত হয় (২০২১)। পূর্ব জেরুসালেমকে গণনায় না ধরলে তেল আবিব ইসরায়েলের বৃহত্তম নগরী।
- The Jerusalem Law states that "Jerusalem, complete and united, is the capital of Israel" and the city serves as the seat of the government, home to the President's residence, government offices, supreme court, and parliament. The United Nations and most countries do not accept the Jerusalem Law (see Kellerman 1993, পৃ. 140) and maintain their embassies in other cities such as Tel Aviv, Ramat-Gan, and Herzliya(see the CIA Factbook ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে and Map of Israel) The Palestinian Authority sees East Jerusalem as the capital of a future Palestinian State and the city's final status awaits future negotiations between Israel and the Palestinian Authority (see "Negotiating Jerusalem", University of Maryland ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ মে ২০০৬ তারিখে). See Positions on Jerusalem for more information.
- জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য দেশগুলির স্বীকৃতি: অস্ট্রেলিয়া (পশ্চিম জেরুজালেম),[1] রাশিয়া (পশ্চিম জেরুজালেম),[2] চেক প্রজাতন্ত্র (পশ্চিম জেরুজালেম),[3] হন্ডুরাস,[4] গুয়াতেমালা,[5] নাউরু,[6] এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র.[7] ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের খবর অনুযায়ী, সার্বিয়া তাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তরিত করবে.[8][9]
- আরবি পূর্বে ইসরায়েলের সরকারী ভাষা ছিল।[10] ২০১৮ সালে আরবি ভাষাকে রাষ্ট্রে বিশেষ মর্যাদায় দেওয়া হয়েছিল।[11][12][13]
- Israeli population and economic data covers the economic territory of Israel, including the Golan Heights, East Jerusalem and Israeli settlements in the West Bank.[20][21]
- The majority of the international community (including the UN General Assembly, the United Nations Security Council, the European Union, the International Criminal Court, and the vast majority of human rights organizations) considers Israel to be occupying Gaza, the West Bank and East Jerusalem. Gaza is still considered to be "occupied" by the United Nations, international human rights organisations, and the majority of governments and legal commentators, despite the 2005 Israeli disengagement from Gaza, due to various forms of ongoing military and economic control.[29][30][31]
The government of Israel and some supporters have, at times, disputed this position of the international community. For more details of this terminology dispute, including with respect to the current status of the Gaza Strip, see International views on the Israeli-occupied territories and Status of territories captured by Israel.
For an explanation of the differences between an annexed but disputed territory (e.g., Tibet) and a militarily occupied territory, please see the article Military occupation.
তথ্যসূত্র
- "Australia recognises West Jerusalem as Israeli capital"। BBC News। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২০।
- "Foreign Ministry statement regarding Palestinian-Israeli settlement"। www.mid.ru। ৬ এপ্রিল ২০১৭।
- "Czech Republic announces it recognizes West Jerusalem as Israel's capital"। Jerusalem Post। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
The Czech Republic currently, before the peace between Israel and Palestine is signed, recognizes Jerusalem to be in fact the capital of Israel in the borders of the demarcation line from 1967." The Ministry also said that it would only consider relocating its embassy based on "results of negotiations.
- "Honduras recognizes Jerusalem as Israel's capital"। The Times of Israel। ২৯ আগস্ট ২০১৯।
- "Guatemala se suma a EEUU y también trasladará su embajada en Israel a Jerusalén" [Guatemala joins US, will also move embassy to Jerusalem]। Infobae (স্পেনীয় ভাষায়)। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭। Guatemala's embassy was located in Jerusalem until the 1980s, when it was moved to Tel Aviv.
- "Nauru recognizes J'lem as capital of Israel"। Israel National News (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ আগস্ট ২০১৯।
- "Trump Recognizes Jerusalem as Israel's Capital and Orders U.S. Embassy to Move"। The New York Times। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
- Frot, Mathilde (৪ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Kosovo to normalise relations with Israel"। The Jewish Chronicle। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "Kosovo and Serbia hand Israel diplomatic boon after US-brokered deal"। The Guardian। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "Arabic in Israel: an official language and a cultural bridge"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮।
- "Israel Passes 'National Home' Law, Drawing Ire of Arabs"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ জুলাই ২০১৮।
- Lubell, Maayan (১৯ জুলাই ২০১৮)। "Israel adopts divisive Jewish nation-state law"। Reuters।
- "Press Releases from the Knesset"। Knesset website। ১৯ জুলাই ২০১৮।
The Arabic language has a special status in the state; Regulating the use of Arabic in state institutions or by them will be set in law.
- Israel's Independence Day 2019 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Israel Central Bureau of Statistics। ৬ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯।
- Qposter-লেখকঃ মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। "ইসরাইলের সমরশক্তি"। www.qposter.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "Surface water and surface water change"। Organisation for Economic Co-operation and Development (OECD)। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০।
- "Home page"। Israel Central Bureau of Statistics। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- Population Census 2008 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Israel Central Bureau of Statistics। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬।
- "World Economic Outlook Database, October 2019"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- OECD 2011।
- Quarterly Economic and Social Monitor ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে, Volume 26, October 2011, p. 57: "When Israel bid in March 2010 for membership in the 'Organization for Economic Co-operation and Development'... some members questioned the accuracy of Israeli statistics, as the Israeli figures (relating to gross domestic product, spending and number of the population) cover geographical areas that the Organization does not recognize as part of the Israeli territory. These areas include East Jerusalem, Israeli settlements in the West Bank and the Golan Heights."
- "Income inequality"। data.oecd.org। OECD। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২০।
- Human Development Report 2020 The Next Frontier: Human Development and the Anthropocene (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ১৫ ডিসেম্বর ২০২০। পৃষ্ঠা 343–346। আইএসবিএন 978-92-1-126442-5। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- https://www.algemeiner.com/2015/09/30/tel-aviv-ranked-among-worlds-top-financial-centers/
- Kate Samuelson (ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬), Why Jerusalem Isn't Recognized as Israel's Capital, Time Magazine
- "Embassies and Consulates in Israel"। সংগ্রহের তারিখ 29 april 2021। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "OECD.Stat Education and Training > Education at a Glance > Educational attainment and labor-force status > Educational attainment of 25-64 year-olds"। OECD।
- "Global Innovation Index 2020 : Israel" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০।
- Sanger, Andrew (২০১১)। "The Contemporary Law of Blockade and the Gaza Freedom Flotilla"। M.N. Schmitt; Louise Arimatsu; Tim McCormack। Yearbook of International Humanitarian Law 2010। Yearbook of International Humanitarian Law। 13। পৃষ্ঠা 429। আইএসবিএন 978-90-6704-811-8। ডিওআই:10.1007/978-90-6704-811-8_14।
Israel claims it no longer occupies the Gaza Strip, maintaining that it is neither a Stale nor a territory occupied or controlled by Israel, but rather it has 'sui generis' status. Pursuant to the Disengagement Plan, Israel dismantled all military institutions and settlements in Gaza and there is no longer a permanent Israeli military or civilian presence in the territory. However the Plan also provided that Israel will guard and monitor the external land perimeter of the Gaza Strip, will continue to maintain exclusive authority in Gaza air space, and will continue to exercise security activity in the sea off the coast of the Gaza Strip as well as maintaining an Israeli military presence on the Egyptian-Gaza border. and reserving the right to reenter Gaza at will.
Israel continues to control six of Gaza's seven land crossings, its maritime borders and airspace and the movement of goods and persons in and out of the territory. Egypt controls one of Gaza's land crossings. Troops from the Israeli Defence Force regularly enter pans of the territory and/or deploy missile attacks, drones and sonic bombs into Gaza. Israel has declared a no-go buffer zone that stretches deep into Gaza: if Gazans enter this zone they are shot on sight. Gaza is also dependent on israel for inter alia electricity, currency, telephone networks, issuing IDs, and permits to enter and leave the territory. Israel also has sole control of the Palestinian Population Registry through which the Israeli Army regulates who is classified as a Palestinian and who is a Gazan or West Banker. Since 2000 aside from a limited number of exceptions Israel has refused to add people to the Palestinian Population Registry.
It is this direct external control over Gaza and indirect control over life within Gaza that has led the United Nations, the UN General Assembly, the UN Fact Finding Mission to Gaza, International human rights organisations, US Government websites, the UK Foreign and Commonwealth Office and a significant number of legal commentators, to reject the argument that Gaza is no longer occupied. - Scobbie, Iain (২০১২)। Elizabeth Wilmshurst, সম্পাদক। International Law and the Classification of Conflicts। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 295। আইএসবিএন 978-0-19-965775-9।
Even after the accession to power of Hamas, Israel's claim that it no longer occupies Gaza has not been accepted by UN bodies, most States, nor the majority of academic commentators because of its exclusive control of its border with Gaza and crossing points including the effective control it exerted over the Rafah crossing until at least May 2011, its control of Gaza's maritime zones and airspace which constitute what Aronson terms the 'security envelope' around Gaza, as well as its ability to intervene forcibly at will in Gaza.
- Gawerc, Michelle (২০১২)। Prefiguring Peace: Israeli-Palestinian Peacebuilding Partnerships। Lexington Books। পৃষ্ঠা 44। আইএসবিএন 978-0-7391-6610-9।
While Israel withdrew from the immediate territory, Israel still controlled all access to and from Gaza through the border crossings, as well as through the coastline and the airspace. ln addition, Gaza was dependent upon Israel for water electricity sewage communication networks and for its trade (Gisha 2007. Dowty 2008). ln other words, while Israel maintained that its occupation of Gaza ended with its unilateral disengagement Palestinians – as well as many human right organizations and international bodies – argued that Gaza was by all intents and purposes still occupied.
- See for example:
* Hajjar, Lisa (২০০৫)। Courting Conflict: The Israeli Military Court System in the West Bank and Gaza। University of California Press। পৃষ্ঠা 96। আইএসবিএন 978-0-520-24194-7।The Israeli occupation of the West Bank and Gaza is the longest military occupation in modern times.
* Anderson, Perry (জুলাই–আগস্ট ২০০১)। "Editorial: Scurrying Towards Bethlehem"। New Left Review। 10। ১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২১।longest official military occupation of modern history—currently entering its thirty-fifth year
* Makdisi, Saree (২০১০)। Palestine Inside Out: An Everyday Occupation। W.W. Norton & Company। আইএসবিএন 978-0-393-33844-7।longest-lasting military occupation of the modern age
* Kretzmer, David (Spring ২০১২)। "The law of belligerent occupation in the Supreme Court of Israel" (পিডিএফ)। International Review of the Red Cross। 94 (885): 207–236। ডিওআই:10.1017/S1816383112000446।This is probably the longest occupation in modern international relations, and it holds a central place in all literature on the law of belligerent occupation since the early 1970s
* Alexandrowicz, Ra'anan (২৪ জানুয়ারি ২০১২), "The Justice of Occupation", The New York Times,Israel is the only modern state that has held territories under military occupation for over four decades
* Weill, Sharon (২০১৪)। The Role of National Courts in Applying International Humanitarian Law। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 22। আইএসবিএন 978-0-19-968542-4।Although the basic philosophy behind the law of military occupation is that it is a temporary situation modem occupations have well demonstrated that rien ne dure comme le provisoire A significant number of post-1945 occupations have lasted more than two decades such as the occupations of Namibia by South Africa and of East Timor by Indonesia as well as the ongoing occupations of Northern Cyprus by Turkey and of Western Sahara by Morocco. The Israeli occupation of the Palestinian territories, which is the longest in all occupation's history has already entered its fifth decade.
* Azarova, Valentina. 2017, Israel's Unlawfully Prolonged Occupation: Consequences under an Integrated Legal Framework, European Council on Foreign Affairs Policy Brief: "June 2017 marks 50 years of Israel's belligerent occupation of Palestinian territory, making it the longest occupation in modern history." - United States Congress (৫ জুন ২০০৮)। "H. RES. 1249" (পিডিএফ)। Since the publication of this document, Mauritania and Venezuela severed relations with Israel, and Bahrain, Chad, Guinea, the United Arab Emirates, Sudan, and Morocco resumed or established relations.
- "A Threshold Crossed: Israeli Authorities and the Crimes of Apartheid and Persecution"। ১৭ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২১।
- "Israel's occupation: 50 years of dispossession"। ২০১৭।
- "Popular Opinion"। The Palestine Post। Jerusalem। ৭ ডিসেম্বর ১৯৪৭। পৃষ্ঠা 1। ১৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ""Aliyah": The Word and Its Meaning"। ২০০৫-০৫-১৫। ২০০৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৯।
- "League of Nations decision confirming the Principal Allied Powers' agreement on the territory of Palestine"। ২০১৩-১১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Transfer Agreement"। Transfer Agreement। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৯।
- "The Role of Jewish Defense Organizations in Palestine (1903–1948)"। Jewish Virtual Library।
- Ilan Pappé (2000), p.79
- Hakohen, Devorah (২০০৩), Immigrants in Turmoil: Mass Immigration to Israel and Its Repercussions in the 1950s and After, Syracuse University Press, পৃষ্ঠা 267, আইএসবিএন 9780815629696
- "A/RES/181(II) of 29 November 1947"। United Nations। ১৯৪৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১২।
- Brenner, Michael; Frisch, Shelley (এপ্রিল ২০০৩)। Zionism: A Brief History। Markus Wiener Publishers। পৃষ্ঠা 184। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১১।
- Hashim S. H. Behbehani (১৯৮৬)। The Soviet Union and Arab nationalism, 1917-1966। Routledge। পৃষ্ঠা 69। আইএসবিএন 978-0-7103-0213-7।
- "Timeline of Turkish-Israeli Relations, 1949–2006" (পিডিএফ)। ১৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- "Turkey and Israel"। SMI। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১০।
- "Field Listing — Executive Branch"। The World Factbook। Central Intelligence Agency। ১৯ জুন ২০০৭। ২২ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০০৭।
- "The Electoral System in Israel"। The Knesset। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০০৭।
- "The Judiciary: The Court System"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ১ আগস্ট ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০০৭।
- "Israel's Diplomatic Missions Abroad: Status of relations"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬।
- "Exclusive: Israel to Open First Diplomatic Mission in Abu Dhabi - Israel News - Israel News - Haaretz Israeli News Source"। Haaretz.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৮।
- "Introduction to the Tables: Geophysical Characteristics" (doc)। Central Bureau of Statistics। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- "The State: Israel Defense Forces (IDF)"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ১৩ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৭।
- Skolnik 2007, পৃ. 132–232
- Chua, Amy (২০০৩)। World On Fire। Knopf Doubleday Publishing। পৃষ্ঠা 219–220। আইএসবিএন 978-0385721868।
- "Northern and Western Asia"।
- David Adler (১০ মার্চ ২০১৪)। "Ambitious Israeli students look to top institutions abroad"। ICEF। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৫।
- Spolsky, Bernard (১৯৯৯)। Round Table on Language and Linguistics। Washington, D.C.: Georgetown University Press। পৃষ্ঠা 169–70। আইএসবিএন 0-87840-132-6।
In 1948, the newly independent state of Israel took over the old British regulations that had set English, Arabic, and Hebrew as official languages for Mandatory Palestine but, as mentioned, dropped English from the list. In spite of this, official language use has maintained a de facto role for English, after Hebrew but before Arabic.
- "Asian Studies: Israel as a 'Melting Pot'"। National Research University Higher School of Economics। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১২।
- Burstein, Nathan (১৪ আগস্ট ২০০৭)। "Tourist visits above pre-war level"। The Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২।