ইরানের রাজনীতি

ইরানের শীর্ষ নেতা[2] হলেন ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ (রাষ্ট্রপতিরও উপরে)। সশস্ত্র বাহিনী, আইন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাসমূহ শীর্ষ নেতার অধীনস্থ। ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দুজন শীর্ষ নেতা হয়েছেন। বর্তমান নেতা আলি খামেনেই ১৯৮৯ সালে থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। তার ক্ষমতা ইরানে ডিক্রি ইস্যু করা থেকে শুরু করে অর্থনীতি, পরিবেশ, বৈদেশিক নীতি, শিক্ষা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জাতীয় পরিকল্পনা,[3][4][5][6][7][8][9][10] নির্বাচনে স্বচ্ছতা পর্যন্ত বিস্তৃত।[11] রাষ্ট্রপতি-শাসিত মন্ত্রিসভা শীর্ষ নেতাকে বরখাস্ত ও পুনঃপদায়ন করতে পারে।[12][13]

অভিজ্ঞদের পরিষদ শীর্ষ নেতাকে নিয়োগ প্রদান করে এবং তদারকি করে। অভিজ্ঞদের পরিষদ, রাষ্ট্রপতি, ও মজলিসের সকল প্রার্থীদের নির্বাচন করে একটি অভিভাবক পরিষদ, যার অর্ধেক সদস্যদের নির্বাচন করেন ইরানের শীর্ষ নেতা।[14] অভিভাবক পরিষদ কর্তৃক সকল সরাসরি নির্বাচিত সদস্যদেরও যাচাই-বাছাইয়ের পরও শীর্ষ নেতার অনুমোদন প্রয়োজন।[15][16][17]

অভিভাবক পরিষদ সাংবিধানিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য ক্ষমতাসম্পন্ন ১২ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদ। তারা ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশের আইনি বিলগুলো অনুমোদন ও এতে ভেটো দিয়ে থাকে এবং অভিজ্ঞদের পরিষদ, রাষ্ট্রপতি ও সংসদ প্রার্থীদের অনুমোদন বা নিষিদ্ধ করে থাকে।[18] ১২ জনের মধ্যে ছয়জনকে নির্বাচন করেন ইরানের শীর্ষ নেতা, তারা ইসলামি ফাকিহ (ইসলামি আইনে অভিজ্ঞ)। বাকি ছয়জনকে মনোনয়ন প্রদান করে শীর্ষ নেতা কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত আইনি ব্যবস্থার প্রধান[19] এবং ইরানি সংসদ তাদের অনুমোদন প্রদান করে।[20]