ইয়েমেন জাতীয় ফুটবল দল

ইয়েমেন জাতীয় ফুটবল দল (আরবি: منتخب اليمن الوطني لكرة القدم, ইংরেজি: Yemen national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইয়েমেনের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ইয়েমেনের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইয়েমেন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৮০ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৯০ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে, ইয়েমেন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ইয়েমেন মালয়েশিয়াকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

ইয়েমেন
ডাকনামকাহতানিয়া আরব
অ্যাসোসিয়েশনইয়েমেন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
প্রধান কোচসামি হাসান আল নাশ
অধিনায়কআলা আল-সাসি
সর্বাধিক ম্যাচআলা আল-সাসি (৮৭)
শীর্ষ গোলদাতাআলি আল-নুনু (২৯)
মাঠআল-সাওয়ারাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম
ফিফা কোডYEM
ওয়েবসাইটwww.yemenfa.com/ar/
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৫১ (৩১ মার্চ ২০২২)[1]
সর্বোচ্চ৯০ (আগস্ট–সেপ্টেম্বর ১৯৯৩, নভেম্বর ১৯৯৩)
সর্বনিম্ন১৮৬ (ফেব্রুয়ারি ২০১৪)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৬৬ ৮ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[2]
সর্বোচ্চ১১৭ (নভেম্বর ২০১০)
সর্বনিম্ন১৬৯ (সেপ্টেম্বর ২০১৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 মালয়েশিয়া ০–১ ইয়েমেন 
(কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া; ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯০)
বৃহত্তম জয়
 ইয়েমেন ১১–২ ভুটান 
(কুয়েত সিটি, কুয়েত; ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০০)
বৃহত্তম পরাজয়
 সৌদি আরব ৭–০ ইয়েমেন 
(জেদ্দা, সৌদি আরব; ৬ অক্টোবর ২০০৩)
এএফসি এশিয়ান কাপ
অংশগ্রহণ১ (২০১৯-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব ২০১৯
ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ৩ (২০১০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যসেমি-ফাইনাল (২০১০)

৩০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট আল-সাওয়ারাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে কাহতানিয়া আরব নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন সামি হাসান আল নাশ এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আলা আল-সাসি

ইয়েমেন এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে ইয়েমেন এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও, ইয়েমেন ২০১০ ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল, যেখানে পূর্ব সময় শেষে তারা কুয়তের সাথে ১–১ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টি শুট-আউটে ৪–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

আলা আল-সাসি, মুহাম্মদ বুকশান, আহমেদ আল-হাইফি, আব্দুলওয়াসিয়া আল-মাতারি এবং আলি আল-নুনুর মতো খেলোয়াড়গণ ইয়েমেনের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে ইয়েমেন তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (৯০তম) অর্জন করে এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৮৬তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ইয়েমেনের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১১৭তম (যা তারা ২০১০ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৬৯। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
৩১ মার্চ ২০২২ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[1]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৪৯  লাইবেরিয়া১০৫০.৫
১৫০  আফগানিস্তান১০৪৯.৭৭
১৫১  ইয়েমেন১০৪৬.২৬
১৫২  মিয়ানমার১০৪৪.৫৬
১৫৩  অ্যান্ডোরা১০৪০.১৩
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
৩০ এপ্রিল ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[2]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৬৪  পাপুয়া নিউগিনি১১৭৮
১৬৫  ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র১১৭২
১৬৬  ইয়েমেন১১৬৯
১৬৭  অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা১১৬৫
১৬৮  হংকং১১৬০

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

ফিফা বিশ্বকাপবাছাইপর্ব
সালপর্বঅবস্থানম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগোম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগো
১৯৩০অংশগ্রহণ করেনিঅংশগ্রহণ করেনি
১৯৩৪
১৯৩৮
১৯৫০
১৯৫৪
১৯৫৮
১৯৬২
১৯৬৬
১৯৭০
১৯৭৪
১৯৭৮
১৯৮২
১৯৮৬
১৯৯০
১৯৯৪উত্তীর্ণ হয়নি১২১৩
১৯৯৮১০
২০০২
২০০৬১১
২০১০
২০১৪
২০১৮১০১৮
২০২২অনির্ধারিতঅনির্ধারিত
মোট০/২১৪২১২১১১৯৪৫৬১

তথ্যসূত্র

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.