ইয়াফেস ওসমান
ইয়াফেস ওসমান (জন্ম ১ মে, ১৯৪৬) হলেন একজন স্থপতি ও রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী।[1] এর পূর্বে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক।
ইয়াফেস ওসমান | |
---|---|
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১ মে ১৯৪৬
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
জীবিকা | স্থপতি |
প্রাথমিক জীবন
ওসমান ১৯৪৬ সালের ১ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান এবং মাতা সালেহা ওসমান। তার ভাই বুলবন ওসমান একজন সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী ও শিক্ষায়তনিক ব্যক্তি।[2] তিনি চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুল এ পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে তিনি সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার ডিগ্রি লাভ করেন।[3]
তিনি ১৯৭০ সালে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক হিসেবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ওসমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।[4]
কর্মজীবন
ওসমান তার কর্মজীবন শুরু করেন ফজলুর রহমান খানের অধীনে জুনিয়র স্থপতি হিসেবে। তিনি খানের অধীনে ১৯৭০ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৭২ সালে এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ সরকারের আবাসন বিভাগের স্থপতি হিসেবে ১৯৭২ সালের মে থেকে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক। তার কর্মজীবনে তিনি স্থাপনা ও প্রকৌশল বিষয়ক কনসালট্যান্সি ফার্ম প্রকল্প উপদেষ্টা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।[3]
মন্ত্রিত্ব
ইয়াফেস ওসমান ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি দ্বিতীয়বারের মত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[5] ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।[5] ৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানসহ চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলে ঐ দিনই তারা পদত্যাগ পত্র জমা দেয় এবং ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে তাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে গেজেট প্রকাশিত হয়।[6] তিনি ২০১৯ সালের ৭ই জানুয়ারি টানা ৩য় মেয়াদে পুনরায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
তথ্যসূত্র
- "বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে কাজ করছে সরকার : ইয়াফেস ওসমান"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৭।
- "কথাশিল্পী শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। জনকণ্ঠ। ১৩ মার্চ ২০১৯। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- "মাননীয় মন্ত্রী: স্থপতি ইয়াফেস ওসমান"। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৭।
- ইসলাম, শহীদুল (৪ জানুয়ারি ২০১৬)। "মন্ত্রিসভার বৈঠকে খালেদাকে নিয়ে কবিতা ইয়াফেস ওসমানের"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৭।
- "যারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী"। banglatribune.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৪।
- "টেকনোক্র্যাট ৪ মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ, গেজেট প্রকাশ"। unb.com.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৪।