ইমামবাড়া
ইমামবাড়া (উর্দু: امام باڑہ), ইমামবারগাহ (ফার্সি: امام بارگاہ), আশুরখানা (উর্দু: عاشور خانہ) বা হোসেনিয়া (ফার্সি: حسینیه; আরবি: حسينية) হল আশুরার শোকপালনের উদ্দেশ্যে নির্মিত শিয়া মুসলিম সম্মেলন ভবন।[1]
ইমামবাড়া | |
---|---|
তানজানিয়ার দারুস সালামে একটি ইমামবাড়া | |
Arabic | حسينية (ḥusayniyya) مأتم (ma'tam) |
Hindi | इमामबाड़ा (imāmbāṛā) आशुरख़ाना (āshurkhānā) |
Bengali | ইমামবাড়া (imambaṛa) |
Persian | حسینیه (ḥoseyniye) |
Urdu | امام باڑہ (imāmbāṛā) امام بارگاہ (imāmbārgāh) عاشور خانہ (āshurxānā) حسينيہ (huseyniya) |
অর্থ
ইমামবাড়া শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ইমামের বাড়ি। কিন্তু স্থাপত্য কলায় ইমামবাড়া হলো শিয়া মিলনায়তন।
ব্যবহার
এটি কোনো উপানসালয় (মসজিদ) নয়, তবে এখানে নামাজ আদায়, মিলাদ মাহফিলের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে থাকে।
সাজ-সজ্জা
ইমামবাড়ার প্রধান কক্ষে তাজিয়া স্থাপন করা হয়। এতে সাধারণতঃ দু'টি তাজিয়া থাকে, যার একটি ইমাম হাসান (রা.)-এর এবং অপরটি ইমাম হোসেন (রা.)-এর; ক্ষেত্রবিশেষে একাধিক তাজিয়াও রাখা হয়। এই তাজিয়াগুলোর ওপর শামিয়ানা টানিয়ে দামি গিলাফ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। নিয়মানুসারে, ইমাম হাসান (রা.)-এর তাজিয়া সবুজ ও ইমাম হোসেন (রা.)-এর তাজিয়ায় লাল গিলাফ ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ইমামবাড়ার বিভিন্ন কক্ষের দেয়ালে কারবালা ময়দানের মানচিত্র, যুদ্ধক্ষেত্রের কাল্পনিক দৃশ্য, ঢাল-তলোয়ার, জিঞ্জির—এসব নানা সরঞ্জাম টানিয়ে রাখা হয়।[2]
হোসেনী দালান ইমামবাড়ার চিত্র
- হোসেনী দালান ইমামবাড়ার উত্তরভাগ
- হোসেনী দালান ইমামবাড়ার দক্ষিণভাগ
- হোসেনী দালান ইমামবাড়ার উত্তরাংশের ইসলামী ক্যালিগ্রাফি
তথ্যসূত্র
- Juan Eduardo Campo (১ জানুয়ারি ২০০৯)। Encyclopedia of Islam। Infobase Publishing। পৃষ্ঠা 318–। আইএসবিএন 978-1-4381-2696-8।
- http://www.prothomalo.com/print/news/26919%5B%5D