ইবনে মুফলিহ

ইবনে মুফলিহ আল-মাকদিসি, পুরো নাম "শামসুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে মুফলিহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মুফাররায আল-রামিনী আল-মাকদিসী" (৭১০-৭৬৩ হিজরি/ ১৩১০-১৩৬২ ঈসায়ী), হাম্বলি আইনশাস্ত্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব তার সময়কার হাম্বলি ফিকহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্বান লেখক ছিলেন। তিনি ছিলেন আইনজ্ঞ এবং আইনজ্ঞদের মধ্যে প্রধানতম ব্যক্তি। তিনি তার শাস্ত্রের অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ হাম্বলী স্কলার এবং মুজাদ্দিদ ইবনে তাইমিয়াহ রহঃ-কে।

ইবনে মুফলিহ বিয়ে করেন হাম্বলী আইনশাস্ত্রবিদ কাযীউল কুযাত জামালুদ্দীন মারদাউঈ (৭০০-৭৬৯/ ১৩০০-১৩৬৭) এর কন্যাকে। তাদের ছিল সাত সন্তান; ৫ ছেলে, ২ মেয়ে।

তিনি তার জীবন অতিবাহিত করেন লেখালেখি এবং শিক্ষকতা মধ্য দিয়ে। দামেস্কের তিনটি হাম্বলী মাদ্রাসায় অধ্যাপনা করেন যেগুলো ছিল আল-জাওযীয়্যা, আল-সাহিবিয়্যাহ এবং আল-'উমারিয়্যাহ। ৭৬৩ হিজরিতে মৃত্যু বরণ করেন।

কর্ম

তিনি বিশেষ নজর দিয়েছিলেন ইবনে তাইমিয়াহ কর্তৃক রচিত আইনবিজ্ঞানে। তিনি তার সময়কার ইমামুল হানাবিলা ছিলেন। ইবনুল কায়্যিম তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, “এই গ্রহে ইমাম আহমাদের মাযহাবের ব্যাপারে ইবনু মুফলিহ এর চেয়ে অধিক জ্ঞানী আর কেউ নেই"। তার কিছু গ্রন্থ হাম্বলী ফিকহের প্রাথমিক যুগের হারিয়ে যাওয়া কাজগুলোর কিছু অংশ ধরে রেখেছে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—

  • আল-আদাব আশ-শারয়্যিয়াহ— (৩ খণ্ডে, ১৯৩০ সালে কায়রো থেকে প্রকাশিত), ইবনে আকিলের কিতাবুল ফুনুনের কিছু সংগ্রহ এখানে বিদ্যমান।
  • উসুলুল ফিকহ

উপরোক্ত দুইটি গ্রন্থই হাম্বালিদের নিকট উসুল ও আদবের ক্ষেত্রে মু‘তামাদ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচ্য।

  • আল-ফুরু— মাযহাবে তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটি পরবর্তীদের কাছে মাযহাবের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উৎস [মু‘তামাদ গ্রন্থ] হয়ে উঠে। এতে তিনি মাযহাবের অগণিত শাখাগত মাসআলা একত্র করেছেন, মাযহাবের আভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য কিংবা অন্য মাযহাবের সাথে মতপার্থক্য বিষয়ে আলোচনা এনেছেন, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার ইখতিয়ারাত উল্লেখ করেছেন।
  • আল-মুক্বনি‘র ব্যাখ্যাগ্রন্থ [1]

তথ্যসূত্র

  1. হেলাল, ইমরান (২০২১)। হাম্বলি মাযহাবের ক্রমবিকাশ। হাম্বলী ফিকহ্। পৃষ্ঠা ১৪।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.