ইন্টারফেরন

ইন্টারফেরন হলো প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন। কোন দেহকোষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এটি নিঃসৃত হয়। বহিরাগত ভাইরাস,ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক,বিষ ও অন্য কোনো বস্তু ইত্যাদির আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি দেহে একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে,এটি দেহের প্রতিরক্ষা তন্ত্র( Immune system)। ইন্টারফেরনস হল প্রোটিন জাতীয় রাসায়নিক প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র যা দেহের প্রতিরক্ষা তন্ত্রের অন্তর্গত। ভাইরাস দ্বারা আক্রমণের পর যখন ইন্টারফেরন নিঃসৃত হয় তখন তা আক্রমণকারী ভাইরাস এর প্রোটিন সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বন্ধ করে, ফলে ভাইরাসটি আর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেনা। তাই সে পরবর্তী কোষগুলোকে আর আক্রমণ করতে পারেনা।কাজেই সংক্রমিত কোষের চারপাশের কোষগুলো ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা অয়ায়,অধিকন্তু এরা ভাইরাস-প্রতিরোধক্ষম হয়ে ওঠে। কাজেই ইন্টারফেরন এর কাজ হলো আক্রমণকারী ভাইরাসের সংখ্যাবৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়া এবং সুস্থ কোষগুলোকে ভাইরাস প্রতিরোধক্ষম করে তোলা ও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। AIJ Lindenmann ১৯৫৭ সালে ইন্টারফেরন আবিষ্কার করেন।

মানবদেহের আলফা ইন্টারফেরনের গঠন

ইন্টারফেরন এর ব্যবহার

ইন্টারফেরন একটি প্রজাতি নির্দিষ্ট হরমোন,এমনকি একই দেহের বিভিন্ন টিস্যু থেকে বিভিন্ন প্রকার ইন্টারফেরন তৈরি হয়। ভাইরাস আক্রান্ত লিউকোসাইট থেকে এক ধরনের ইন্টারফেরন,ফাইব্রোব্লাস্ট কোষ থেকে অন্য ধরনের ইন্টারফেরন নিঃসরণ হয়। ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কোষ কর্তৃক ইন্টারফেরন নিঃসৃত হলেও বর্তমানে রিকম্বিনেট ডিএনএ কৌশল প্রয়োগ করে অধিক পরিমাণে ইন্টারফেরন উৎপন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। ইন্টারফেরন প্রয়োগ করে জটিল হেপাটাইটিস বি, হার্পিস সংক্রমণ, বিভিন্ন ধরনের প্যাপিলোমা চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসায়ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে। গবেষকগণ ধারণা করছেন যে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রহিত করতেও ইন্টারফেরন সফলভাবে ব্যবহার করা যাবে।

তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.