ইকবাল হোসাইন চৌধুরী

ইকবাল হোসাইন চৌধুরী (২১ অক্টোবর ১৯৪৪ - ২০ জুন ২০০১) বাংলাদেশের সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ যিনি মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য ছিলেন।[1][2][3]

মেজর (অব.)

ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬  ১৯৯০
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৭৯  ১৯৯১
পূর্বসূরীআবুল হাসনাত মোঃ আব্দুল হাই
উত্তরসূরীবেগম মমতাজ ইকবাল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২১ অক্টোবর ১৯৪৪
সুনামগঞ্জ, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২০ জুন ২০০১
সুনামগঞ্জ
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (১৯৮৬ সালের পূর্বে)
জাতীয় পার্টি (এরশাদ)
দাম্পত্য সঙ্গীবেগম মমতাজ ইকবাল
সন্তানইনান ইসমাম চৌধুরী

ইমিতা চৌধুরী

ইপশিতা চৌধুরী
পিতামাতাআবুল হোসেন চৌধুরী (মুক্তার)
করিমুন নেছা খাতুন চৌধুরী
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য পাকিস্তান
 বাংলাদেশ
শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কাজের মেয়াদ১৯৬৫-১৯৭৫
পদ মেজর

প্রাথমিক জীবন

ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ২১ অক্টোবর ১৯৪৪ সালে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত আবুল হোসেন চৌধুরী (মুক্তার) ও মাতা মৃত করিমুন নেছা খাতুন চৌধুরী।

কর্মজীবন

সামরিক জীবন ও মুক্তিযুদ্ধ

মেজর (অব.) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমিতে কমিশন প্রাপ্ত হয়ে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে তিনি প্রথমে ভারতে ও পরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে সকল অফিসার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। খন্দকার মোশতাকের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে ষ্টেনগান নিয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় তাকে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেয় সরকার।

রাজনৈতিক

১৯৭৭ সালে সুনামগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করলে তিনিও যোগদেন। আমৃত্যু তিনি সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সংগঠক এবং জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ (বিশ্বম্ভরপুর-সদর) আসনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[4][5] এই সময়ে আলাদা মেয়াদে তিনি খাদ্যমন্ত্রী , জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী এবং ডাক, তার ও টেলিযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপালন করেন।[5][6]

পারিবারিক জীবন

ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক বেগম মমতাজ ইকবাল। তিনিও (স্ত্রী) সুনামগঞ্জ-৪ (বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সদর) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ১৭ জুন ২০০৯ সালে তিনিও (বেগম মমতাজ ইকবাল) মৃত্যুবরণ করেন। তাদের তিন সন্তান। একমাত্র ছেলে ইনান ইসমাম চৌধুরী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ব্যারিষ্টার ইমিতা চৌধুরী,কানাডা প্রবাসী। ইপশিতা চৌধুরী চ্যাটার্ড একাউন্টেন্ড।

মৃত্যু

ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ২০ জুন ২০০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[6]

তথ্যসূত্র

  1. "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
  2. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
  3. "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯
  4. "সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুর্গে হানা দিতে চায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। ২০১৯-১১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০২
  5. "নারী মনোনয়নপ্রত্যাশী বেশি"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০২
  6. "মেজর (অব:) ইকবাল হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ"দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর। ২০ জুন ২০১৯। ২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.