ইংরেজ বাজার
ইংরেজ বাজার প্রধানত মালদা নামে অধিক পরিচিত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত একটি শহর, শহরটিকে আমের শহরও বলা হয়ে থাকে। মালদা জেলার সদরদপ্তর এখানেই অবস্থিত। শহরটি পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চম বৃহৎ।[3] ইংরেজ বাজার ও পুরনো মালদা পুরসভার সমন্বয়ে মালদা পৌর নিগম গঠিত। মালদা বিভাগের প্রধান কার্যালয় মালদায় অবস্থিত।
মালদা ইংরেজ বাজার | |
---|---|
মহানগরী/ বৃহত্তর নগরাঞ্চল | |
ডাকনাম: আমের শহর | |
মালদা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫.০১৬৫৬৪° উত্তর ৮৮.১৩২৭২৬° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | মালদা |
বিভাগ | মালদা |
রেলওয়ে স্টেশন | মালদা টাউন |
সরকার | |
• ধরন | পৌর প্রশাসন |
• শাসক | ইংরেজ বাজার পৌর নিগম |
• চেয়ারম্যান | শ্রী নিহার রঞ্জন ঘোষ |
উচ্চতা | ১৭ মিটার (৫৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মহানগরী/ বৃহত্তর নগরাঞ্চল | ২,১৬,০৮৩ |
• ক্রম | পশ্চিমবঙ্গে ৫ম |
• মহানগর[2] | ৩,২৫,০০০ |
বিশেষণ | মালদাবাসী |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভা,প্র,স (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৩২১** |
টেলিফোন কোড | ৯১-৩৫১২-২***** |
যানবাহন নিবন্ধন | পঃবঃ-৬৫/পঃবঃ-৬৬ |
লোকসভা নির্বাচনী এলাকা | মালদহ দক্ষিণ |
বিধানসভা নির্বাচনী এলাকা | ইংরেজ বাজার ওল্ড মালদা |
নদী | মহানন্দা নদী |
ওয়েবসাইট | www |
১এখানে উদ্ধৃত স্থানাঙ্ক মেট্রিক এবং মাইক্রোসফট এনকার্টা তথ্যসূত্র গ্রন্থাগার মানচিত্র কেন্দ্র ২০০৫-এর উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। |
২০১৩ সালে, মালদা ভারতের প্রথম নারী আদালত যুক্ত শহর।[4]
ভূগোল
ইংলিশ বাজারের অবস্থান হচ্ছে 25.00°N 88.15°E।[5] ভূমির গড় উচ্চতা ১৭ মিটার (৫৬ ফুট)। মহানন্দা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। সাধারনভাবে আবহাওয়া বাংলার অন্যান্য এলাকার মতোই, ক্রান্তীয় ও আর্দ্র। মে-জুনের গরমকালে ও শুষ্ক মৌসুমে তাপমাত্রা যেমন, ৪৬° ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে তেমনি ডিসেম্বর-জানুয়ারির শীতকালের রাত্রীতে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে আসে।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের ভারতীয় আদমশুমারী[6] অনুসারে ইংলিশ বাজারের জনসংখ্যা ৩,২৫,০০০ জন। ইংলিশ বাজারের গড় সাক্ষরতার হার ৭৫%। যা জাতীয় গড় ৫৯.৫% থেকে বেশি। এর শতকরা ৫১% জন পুরুষ এবং শতকরা ৪৯% জন মহিলা। পুরুষ সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং মহিলা সাক্ষরতার হার ৭১%। ইংলিশ বাজারের ১০% জনসংখ্যা ৬ বৎসর বয়সের নিচে।
ইতিহাস
ইংলিশ বাজার প্রাচীন ঐতিহাসিক শহর গৌড় ও পান্ডুয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। অবশ্য, ইংলিশ বাজার বহু পরে, আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে শহরের পত্তন হয়। প্রাথমিক ভাবে এই এলাকাকে ENGELZAVAD নামে অভিহিত করা হত। ১৮১৩ সালে ব্রিটিশ শাসকগন একজন জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর নিয়ে পত্তন করেছিলেন। ১৮৩২ সালে ট্রেজারী বা সরকারী খাজাঞ্চীখানা খোলা হয়।
মালদা, উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার, একসময় গৌড় বঙ্গের রাজধানী ছিল, বর্তমানে ৩৪৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বেষ্টিত এই এলাকার ভূমি তাল, দিয়ারা এবং বরিন্দ নামে বিন্যাসিত। মালদা তার বিপুল সম্ভাবনানয় প্রত্নত্বাত্বিক সম্পদ নিয়ে অপেক্ষা করছে টুরিষ্ট সমাগমের ও আগ্রহী প্রত্নতত্ববিদের।
গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলাহার,কালিন্দী দ্বারা বিধৌত এই মালদা কত শত রাজা ও রাজত্বের উত্থান, জয়জয়াকার অবস্থা ও পতন আবার তাদের ধ্বংসাবশেষের উপর নতুন রাজত্বের উত্থানের সাক্ষী। পুরোনো রাজত্বের ধংশাবশেষের উপর নতুন রাজত্বের সৃষ্টির শত শত উদাহরণ আছে এই গৌড়ে। পানিণি গৌড়পুরা নামে একটি নগরের উল্লেখ করে গেছেন, একথা মেনে নেয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে মালদার মঘ্যে অবস্থিত প্রাচীন গৌড়-ই সুপ্রাচীন গৌড়পুরা।
প্রাচীন গৌড় ও পান্ডুয়া (পূন্ড্রবর্ধন ?) এই জেলার মধ্যেই অবস্থিত। এই দুই প্রাচীন নগরী, যা মধ্য ও প্রাচীনযুগের বঙ্গের রাজধানী ছিল, ইংলিশ বাজারের উত্তর ও দক্ষিণে সমদুরত্বে অবস্থিত।
গৌড়ের রাজত্বের সীমানা খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ছিল। পুরানেও এর নাম পাওয়া যায়। পুন্ড্রনগর মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল।
গৌড় ও পূন্ড্রবর্ধন যে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল তা বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় মহাস্থানগড় ধ্বংশবশেষ হতে প্রাপ্ত সীলে ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ণ। বিখ্যাত পর্যটক হিউয়েন সাং পূন্ড্রবর্ধনে বহু অশোক স্তুপ দেখেছিলেন।
অবিভক্ত দিনাজপুরে ও উত্তর বঙ্গের অন্যান্য জায়গায় প্রাপ্ত লিপি এবং এলাহাবাদ পিলার লিপি বিশ্লেষন করে দেখা যায় সমগ্র উত্তর বঙ্গসহ পূর্বের কামরূপসহ বিস্তীর্ন এলাকা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গুপ্তদের পরে সপ্তম শতকের প্রারম্ভে শশাঙ্ক, কর্ণসুবর্ন ও গৌড়ের রাজা, ৩০ বৎসরের অধিক সময় গৌড় শাসন করেন। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে এগারো শতকের শেষ অবধি বৌদ্ধ ধর্মের অণুসারী পাল রাজাগণ বাংলা শাসন করেন। পালরাজাদের সময়ে জগদ্দল বিহার উত্থান ও বিকাশ লাভ করে। তার মর্যাদা সমসাময়িক নালন্দা, বিক্রমশীলা বা দেবকটের মতো ছিল।
সেন রাজাদের উত্থানের ফলে পাল রাজবংশ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ে। সেন রাজারা ছিলেন হিন্দু। তারা তাদের রাজধানী রাজত্বের মধ্যে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় স্থানান্তর করতেন। লক্ষণ সেনের সময়ে গৌড় লক্ষণাবতী নামেও পরিচিত ছিল। ১২০৪ খ্রীষ্টাব্দে বখতিয়ার খিলজী বাংলা জয় করার পূর্ব পর্যন্ত সেন রাজারা বাংলা শাসন করেছেন।
এরপর লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে পলাশীর যুদ্ধে ১৭৫৭ সালে পরাজিত করা পর্যন্ত প্রায় পাঁচশত বৎসর বাংলায় মুসলিম শাসন বলবৎ থাকে। প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন জাতী, গোষ্ঠী, ধর্ম, রাজবংশ এই জেলায় তাদের পদাংক রেখে গেছে। তাদের গড়ে তোলা জাঁকজমকপূর্ন বিশাল বিশাল ধ্বংশ প্রায় অট্টালিকা এখনো বিদ্যমান। যা প্রত্বতত্ববিদ ও পর্যটকদের খুবই আগ্রহের বিষয়।
মালদহ জেলা পূর্ণিয়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলার কিছু কিছু অংশ নিয়ে ১৮১৩ সালে গঠিত। ডঃ বি, হ্যামিল্টন এর সময়ে (১৮০৮-০৯) গাজোল, মালদা, বামনগোলা ও হাবিবপুরের কিয়দংশ দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর, খারবা, রতুয়া, মানিকচক এবং কালিয়াচক পূর্ণিয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কালিয়াচক ও সাহেবগঞ্জ থানায় এবং নদী অঞ্চলে অপরাধের মাত্রা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার ফলে কোম্পানী ১৮১৩ সালে একজন ডেপুটি ম্যাজিষ্টেট ও ডেপুটি কালেক্টর ইংলিশ বাজারে নিয়োগ করে। তার অধিক্ষেত্র হয় ইংলিশ বাজারকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত জেলাসমূহ থেকে নেয়া কয়েকটি থানা। মূলতঃ এইভাবেই মালদা জেলার সৃষ্টি। ১৮৩২ সালে এখানে পৃথক রাজকোষ প্রতিষ্ঠা এবং ১৮৫৯ সালে একজন পূর্নাঙ্গ ম্যাজিষ্ট্রট ও কালেক্টর নিয়োগ করা হয়।
১৮৭৬ সাল পর্যন্ত মালদা জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৭৬ থেকে ১৯০৫ পর্যন্ত ভাগলপুর বিভাগের অধীন ছিল। ১৯০৫ সালে পুনরায় রাজশাহী বিভাগের অধীনে আসে এবং ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত তা রাজশাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলে আবার এই জেলা ভাগাভাগি হয় । ১৯৪৭ সালের আগস্ট ১২ থেকে ১৫ই তারিখ পর্যন্ত র্যাডক্লিফ লাইন এটা পরিষ্কার করতে পারে নাই যে মালদা জেলা পাকিস্তান না ভারতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। র্যডক্লিফ রোয়েদাদ পূর্নাঙ্গ প্রকাশিত হবার পূর্ব পর্যন্ত এই স্বল্প কয়েকদিন মালদা জেলা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এর একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের অধীনে ছিল। এরপর ১৭ই আগস্ট ১৯৪৭ তা পশ্চিম বঙ্গের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
রেল ও রাস্তা
ইংলিশ বাজারের সঙ্গে রেল ও রাস্তার যোগাযোগ অন্যান্য এলাকার সঙ্গে বেশ ভালো। এখানে পূর্ব রেলওয়ের মালদা বিভাগীয় কার্যালয় অবস্থিত। উত্তর বঙ্গের ও ভারতের উত্তর পুর্বাঞ্চলের দিকে চলাচলকারি প্রায় সকল ট্রেনই মালদা শহরের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করে। (মালদা স্টেশন কোড- MLDT) ইংলিশ বাজার পশ্চিম বঙ্গের উত্তর-দক্ষিণ সংযোগকারী জাতীয় প্রধান সড়ক-৩৪ উপর অবস্থিত। শহরটি কলকাতার প্রায় ৩৪৭ কিলোমিটার উত্তরে ও শিলিগুড়ির প্রায় ২৫৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
- গৌড়কন্যা বাস টার্মিনাস
- মালদা টাউন রেলওয়ে স্টেশন
শিক্ষা
বিদ্যালয়
যদিও মালদা জেলার অধিবাসীগণ পশ্চিম বঙ্গের অন্যান্য জেলা থেকে কম শিক্ষিত, তবে এখানে বেশ কয়েকটি প্রদেশ খ্যাত স্কুল আছে।
১৮৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত, বর্তমানে যেটি পুলিশ সুপারের বাসভবন সেখানেই ছিল স্কুলের প্রথম দালান , স্কুল শুরু হয় দুই তিনটা পাকাঘর ও কয়েকটি খড়ের ঘর দিয়ে। এর উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ঘেরা দেয়া ছিল। ১৮৯৭ সালে স্কুল বর্তমান জায়গায় উঠে আসে। তখন এগারটি ঘর ও মাঠ সংলগ্ন একটি হল ঘর ছিল। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এই দালানটি "মেইন বিল্ডিং" নামে পরিচিত ছিল। পরে স্কুলের বিখ্যাত ছাত্র প্রফেসর বিনয় সরকারের নামে নামকরণ করা হয়- বিনয় সরকার ভবন। বর্তমানে এটি প্রশাসনিক কাজকর্মে ব্যবহৃত হয়। জগদিশচন্দ্র ভবন, রামমোহন ভবন, বিদ্যাসাগার ভবন ও নজরুল ভবন মিলিয়ে মোট ২৪টি ক্লাশরুম আছে। স্কুলের প্রভাতী শাখা হচ্ছে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী, দিবা শাখা ষষ্ঠ শ্রেনী হতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে প্রচলিত তিন প্রকার বিভাগেই শিক্ষাদান করা হয়- বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ। ১৮৯৭ সাল থেকেই স্কুলে আলাদাভাবে হিন্দু ও মুসলিম হোষ্টেল ছিল, তবে বর্তমানে তা একত্রিকরণ করে মালদা জিলা স্কুল হোষ্টেল নামে অভিহিত করা হচ্ছে। হোষ্টেলে চল্লিশ জন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রের আর কয়েকজন নিম্ন শ্রেণীর ছাত্রের থাকার বন্দোবস্ত আছে। হোষ্টেল ইউনিট ১ ও ইউনিট ২ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
-
- স্কুলের বিখ্যাত ছাত্র
- বিনয় সরকার
- অসীম দাসগুপ্ত
- সুভাষ ভৌমিক
- রমেশ চন্দ্র ঘোষ, এম,এ,বি,এল। আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের সহযোদ্ধা
- রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির
- বার্লো গার্লস স্কুল,
- অক্রূরমণি করোনেশন ইনষ্টিটিউশন,
- ললিতমোহন মালদা টাউন স্কুল,
- সি,সি, গার্লস হাই স্কুল,
- সেন্ট জেভিয়ার (ইরেজি মাধ্যম),
- সেন্ট মেরী স্কুল(ইংরেজি মাধ্যম),
- ড্যাফডিল ইংলিশ একাডেমী,
- মালদা হাই মাদ্রাসা এবং
- উষা মার্টিন স্কুল(সিবিএসই) জেলার কয়েকটি নামকরা স্কুল।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের মধ্যে মালদা কলেজ একটি প্রথম সারির কলেজ ছিল। বর্তমানে এই জেলায় গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত, যার অধিভুক্ত কলেজগুলো জেলা ও জেলার বাইরে দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুরে অবস্থিত। মালদা শহরে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও কয়েকটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউশন আছে, যেগুলো বেশির ভাগই কম্পিউটার সংক্রান্ত। দীর্ঘ দিন ধরে একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা সরকারের বিবেচনায় আছে।
মালদা কলেজ গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিখ্যাত কলেজ। ২০০৭ সালে পশ্চিম বঙ্গ সরকার মালদা জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। সুরম্য দালানকোঠা নিয়ে মালদা আই, এম, পি, এস, কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজী ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
মালদার বিখ্যাত কয়েকটি কলেজ়ের মধ্যে মালদা উইমেন্স কলেজ, গৌড় কলেজ, শামসী কলেজ, চাঁচোল কলেজ, দক্ষিণ মালদা কলেজ, সুলতানগঞ্জ কলেজ এবং পাকুয়া কলেজ উল্লেখযোগ্য। মালদা পলিটেকনিক নামে সরকারী একটি পলিটেকনিক কলেজ ও মালদায় আছে। শামসীতে গত ২৯।০১।২০১১ তারিখে একটি নতুন পলিটেকনিক কলেজের শিলান্যাস হয়েছে, নাম দেয়া হয়েছে 'রতুয়া সত্যেন্দ্রনাথ বোস সরকারি পলিটেকনিক কলেজ'।
মালদা জিলা স্কুলের বিখ্যাত ছাত্র রমেশ চন্দ্র ঘোষ যিনি বিনয় সরকারের সমসাময়িক ছিলেন। তিনি একজন আইনজীবী, এম,এ, বি এল। . তৎকালীন মালদা জেলার চাঁপাই নবাবগঞ্জে ওকালতি করতেন। তিনি একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং "ভারত ছাড় আন্দোলন"- এর সময় কারাবরণ করেন। তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র ঘোষের সহকর্মী ছিলেন। তিনি ১০ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ সালে মালদা শহরে মারা যান।
পৌর প্রশাসন
ইংলিশ বাজার একটি পৌরসভা। এর ২৯টি ওয়ার্ড আছে। বর্তমানে তৃৃৃৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ।
আরও দেখুন
- ইংলিশ বাজার (সমাজ উন্নয়ন ব্লক)
তথ্যসূত্র
- http://censusindia.gov.in/2011-prov-results/paper2/data_files/India2/Table_2_PR_Cities_1Lakh_and_Above.pdf
- "Urban Agglomerations/Cities having population 1 lakh and above" (পিডিএফ)। Provisional Population Totals, Census of India 2011। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- "Malda gets India's first women's court"। The Times of India।
- বৃষ্টিপাতের ধরন- ইংলিশ বাজার
- "Census of India 2001: Data from the 2001 Census, including cities, villages and towns (Provisional)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১।