ইংরেজি সাহিত্য

ইংরেজি সাহিত্য বলতে বোঝায় ইংরেজি ভাষায় রচিত সাহিত্য।

বেওউল্ফ এর প্রথম পৃষ্ঠা

এই নিবন্ধটি সামগ্রিক ইংরেজি সাহিত্য-সম্পর্কিত। তাই ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, সমগ্র আয়ারল্যান্ডওয়েলসের সাহিত্য সমেত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পূর্বতন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলির সাহিত্যও এই নিবন্ধের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অবশ্য ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এই নিবন্ধের বিষয়বস্তু ব্রিটেনআয়ারল্যান্ডের সাহিত্য।

এই সাহিত্যধারার সূচনা ঘটেছিল খ্রিস্টীয় ৮ম থেকে ১১শ শতাব্দীর মধ্যে কোনো এক সময়ে রচিত মহাকাব্যবেওউল্‌ফ-এর মাধ্যমে।[1] এই কাব্যটি স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের পটভূমিতে রচিত হলেও ইংল্যান্ডের জাতীয় মহাকাব্যের স্বীকৃতি পায়। ইংরেজি সাহিত্যের পরবর্তী উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল কবি জিওফ্রে চসারের (১৩৪৩-১৪০০) রচনাবলী; বিশেষত দ্য ক্যান্টারবেরি টেলসরেনেসাঁর যুগে, বিশেষত ১৬শ শতাব্দীর শেষভাগে ও ১৭শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে, উইলিয়াম শেকসপিয়র, বেন জনসন, জন ডান সহ অন্যান্য কবি ও নাট্যকারেরা ছিলেন ওই সময়ের প্রধান কাব্য ও নাট্যসাহিত্যের রচয়িতা। ১৭শ শতাব্দীর শেষ ভাগে অপর এক বিখ্যাত কবি জন মিলটন (১৬০৮-৭৪) রচনা করেছিলেন মহাকাব্য প্যারাডাইস লস্ট (১৬৬৭)। ১৭শ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও ১৮শ শতাব্দীর প্রথম ভাগটি ছিল ব্যঙ্গসাহিত্যের যুগ। এই যুগেই জন ড্রাইডেনআলেকজান্ডার পোপের কাব্য ও জনাথন সুইফটের গদ্যরচনাগুলি রচিত হয়েছিল। ১৮শ শতাব্দীতেই ড্যানিয়েল ডিফো, স্যামুয়েল রিচার্ডসনহেনরি ফিল্ডিংয়ের রচনার মাধ্যমে ইংরেজি সাহিত্যে উপন্যাস সাহিত্যের সূচনা ঘটে। অন্যদিকে ১৮শ শতাব্দীর শেষভাগে ও ১৯শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে রোম্যান্টিক কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ, স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ, পার্সি বিশি শেলি, লর্ড বায়রনজন কিটসের উত্থান ঘটে।

ভিক্টোরীয় যুগে (১৮৩৭-১৯০১) উপন্যাস ইংরেজি সাহিত্যের প্রধান বিভাগ হয়ে ওঠে।[2] এই সময়কার প্রধান ঔপন্যাসিক ছিলেন চার্লস ডিকেন্স। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রন্টি ভগিনীগণ ও টমাস হার্ডি। ১৯শ শতাব্দীর শেষ ভাগে এঁরাই ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের প্রধান ব্যক্তিত্ব। ১৯শ শতাব্দীতেই আমেরিকান সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলি রচিত হতে শুরু করে। এই সময়কার আমেরিকান সাহিত্যিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মবি ডিক উপন্যাসের রচয়িতা ঔপন্যাসিক হারমান মেলভিল, কবি ওয়াল্ট হুইটম্যানএমিলি ডিকিনসন। ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে ও ২০শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে প্রধান আমেরিকান ঔপন্যাসিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হেনরি জেমস। অন্যদিকে ২০শ শতাব্দীর প্রথম দুই দশকের একজন বিশিষ্ট ব্রিটিশ সাহিত্যিক হলেন পোলিশ-বংশোদ্ভুত জোসেফ কনরাড

২০শ শতাব্দীতে আইরিশ লেখকরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আধুনিকতাবাদ আন্দোলনের দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র জেমস জয়েসস্যামুয়েল বেকেট। আমেরিকান আধুনিকতাবাদী সাহিত্যিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কবি টি. এস. এলিয়টএজরা পাউন্ড এবং ঔপন্যাসিক উইলিয়াম ফকনার। ২০শ শতাব্দীর মধ্যভাগে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনা শুরু হয়। এই সব দেশের অনেক সাহিত্যিক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও লাভ করেন। ২০শ ও ২১শ শতাব্দীর অনেক প্রধান সাহিত্যিকই যুক্তরাজ্যের বাইরের অধিবাসী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সাহিত্যের বিভিন্ন দিকগুলিকে উত্তর-আধুনিক সাহিত্য হিসেবে চিহ্নিত করা শুরু হয়।


প্রাচীন ইংরেজি সাহিত্য

প্রাচীন ইংরেজি সাহিত্যে, বা এংলো স্যাক্সন সাহিত্য, স্যাক্সন এবং ইংল্যান্ডে অন্যান্য জার্মানিক উপজাতিদের নিষ্পত্তির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এংলো স্যাক্সন ইংল্যান্ডে প্রাচীন ইংরেজিতে লেখা জীবিত সাহিত্য। এ সময় ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে ধীরে ধীরে খ্রীষ্টধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং কেল্টিক ড্রুইড পুরোহিতদের আধিপত্য শেষ হয়। প্রাচীন যুগের সাহিত্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিউলফ, কিনেউলফ, দি রুইন, দি ওয়ান্ডারার, দি সী ফেয়ারার প্রভৃতি। [3]

এলিজাবেথ যুগ (১৫৫৮-১৬০৩)

কবিতা

এডমন্ড স্পেনসার(১৫৫২-৯৯) ছিলেন এলিজাবেথ যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি।তিনি টুড্রো শাসন আমল ও এলিজাবেথ-১ কে নিয়ে ফেইরি কুইন (১৫৯০ এবং ১৫৯৬) নামে রূপকধর্মী মহাকাব্য রচনা করেন। আরও একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি হলেন স্যার ফিলিপ সিডনি (১৫৫৪-৮৬) যিনি অ্যাস্টফেল এন্ড স্টেলা, দি ডিফেন্স অব পোয়েট্রি এবং দি কাউন্সেট অব পেমব্রোক’স আর্কেডিয়া সহ বিভিন্ন কবিতা লেখেন।

তথ্যসূত্র

  1. Chase, Colin. (1997). The dating of 'Beowulf . pp. 9–22. University of Toronto Press
  2. Davies 1990, পৃ. 93।
  3. ইংরাজী সাহিত্যের ইতিহাস, ডঃ শীতল ঘোষ।

বইয়ের তালিকা

  • ডেভিস, ম্যারিয়ন ওয়েন, সম্পাদক (১৯৯০), দ্য ব্লুমসবারি গাইড টু ইংলিশ লিটারেচার, নিউ ইয়র্ক: প্রেন্টিস হল

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.