আহম্মদ আলী
আহম্মদ আলী (১৪ এপ্রিল ১৯৩৫–১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯) বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত ছিলেন। তার পুত্র মাসুদ অরুণ মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ।[1] ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ১৯৮০ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
আহম্মদ আলী | |
---|---|
কুষ্টিয়া-১ আসন আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | আজিজুর রহমান আক্কাস |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ কোরবান আলী |
মেহেরপুর-১ আসন আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৬ – ১৯৯৯ | |
পূর্বসূরী | আব্দুল মান্নান |
উত্তরসূরী | আব্দুল মান্নান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৪ এপ্রিল ১৯৩৫ |
মৃত্যু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ |
আত্মীয়স্বজন | মাসুদ অরুণ (পুত্র) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | একুশে পদক |
জীবনী
আহম্মদ আলী ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হন। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ১৯৮০ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তিনি মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে তিনি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[2] পরবর্তীতে, তিনি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসন থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[3] তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[4]
আহম্মদ আলী ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[5]
তথ্যসূত্র
- "আয় রোজগার তেমন নেই, ঘরে 'স্বর্ণ খনি'"। কালের কণ্ঠ। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০।
- "List of 2nd Parliament Members" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "List of 6th Parliament Members" (PDF)। জাতীয় সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৫।
- "List of 7th Parliament Members" (PDF)। জাতীয় সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৮।
- "Country Reports on Human Rights Practices: Bangladesh:"। U. S. Department of State। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৮।