আহমদ বিন হাম্বল

ইমাম আবু আবদিল্লাহ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হানবাল আশ-শাইবানি (৭৮০-৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ/ ১৬৪-২৪১ হিজরী) (আরবি: أحمد بن محمد بن حنبل أبو عبد الله الشيباني) ছিলেন একজন বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ইসলামি আইন এবং হাদিস বিশারদ। ইসলামের প্রচলিত চার মাযহাবের একটি হাম্বলী মাযহাব তারই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গঠিত। মুসলিম বিশ্বে ইমাম আহমদ শাইখুল ইসলাম উপাধিতে পরিচিত।[6] ইমাম আহমদের সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদকে তার মহতী কীর্তি গণ্য করা হয়।

আবু আব্দিল্লাহ আহমাদ বিন মুহাম্মদ বিন হাম্বল আল শাইবানী
উপাধিশাইখুল ইসলাম, ইমামু আহলুস সুন্নাহ
জন্ম৭৮০খ্রিষ্টাব্দ/১৬৪ হিজরী[1]
বাগদাদ, ইরাক
মৃত্যু৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দ/২৪১ হিজরী (৭৫ বছর)[1]
বাগদাদ, ইরাক[2]
জাতিভুক্তআরব
অঞ্চলইরাক
মাজহাবইজতিহাদ
শাখাআছারি[3]
মূল আগ্রহফিকহ, হাদিস, আকীদা, [2]
উল্লেখযোগ্য ধারণাহাম্বলি মাযহাব
লক্ষণীয় কাজমুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন

জীবনী

আহমদ বিন হাম্বল বাগদাদে আবু হানিফার ছাত্র আবু ইউসুফ ও মালিক বিন আনাসের ছাত্র ইমাম শাফির কাছে পড়াশুনা করেন। আহমদ ইবনে হাম্বল তার সমস্ত জীবন ব্যাপী মুতাজিলা যুক্তিবাদী মতবাদের বিরোধিতা করেছেন। তৎকালীন সময়ে খলিফা হারুনুর রশীদের পুত্র মামুন ও তৎপরবর্তী খলিফা মুতাসিম ও মুতাসিকের খিলাফতের সময়ে খলীফার অনুকুলে থাকা মুতাজিলাদের বিরোধিতা করায় তিনি একটি দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে কারাবাস ও কঠোর সাজাপ্রাপ্ত হন এবং এ সময় তার উপর কঠোর নির্যাতন ও অত্যাচার চালানো হয়। মুতাজিলাগণ (খালক্বে কুরআন) কুরআনকে আল্লাহর অন্যান্য সৃষ্টির অনুরূপ ও সংশোধনযোগ্য মনে করতো, আহমদ বিন হাম্বল বিরোধিতায় বলেন কুরআন আল্লাহর অন্যান্য সৃষ্টির মত কোন সৃষ্টি নয় বরং তা সরাসরি আল্লাহর বাণী ও আল্লাহরই নিজস্ব বিশুদ্ধ বক্তব্য, তাই তা সম্পূর্ণ নির্ভূল ও তথা তা সংশোধনের সামান্যতম প্রয়োজন নেই, এবং তার মানবীয় যৌক্তিক পৃথক কোন ব্যাখ্যারও দরকার নেই। পরিশেষে খলিফা মুতাওয়াক্কিলের আমলে তিনি মুক্তি পান ও বাগদাদে ফিরে আসেন।

রচনাবলি

  1. মুসনাদ আহমাদ (হাদিস সংখ্যা সাতাশ হাজারের বেশি)
  2. উসুলুস সুন্নাহ
  3. কিতাবুল ঈমান
  4. কিতাবুল মাসা‘ইল
  5. কিতাবুল মানসুখ
  6. রিসালাতুস সানিয়া
  7. কিতাবুয যুহুদ (বইটি বাংলায় রাসূলের চোখে দুনিয়া, সাহাবিদের চোখে দুনিয়া এবং তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া নামে তিন খণ্ডে প্রকাশিত)
  8. আহকামুন নিসা
  9. কিতাবুস সালাত
  10. ফাযায়্যিলুস সাহাবা
  11. আল ওয়ারা
  12. আর-রাদ্দ আলাল জাহমিয়্যাহ (জাহমিয়া মতবাদের খণ্ডন)

[7]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

উদ্ধৃতি

  1. "مناهج أئمة الجرح والتعديل"। Ibnamin.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২১
  2. A Literary History of Persia from the Earliest Times Until Firdawsh by Edward Granville Browne – Page 295
  3. Lapidus, Ira M. (২০১৪)। A History of Islamic Societies। Cambridge University Press (Kindle edition)। পৃষ্ঠা 130। আইএসবিএন 978-0-521-51430-9।
  4. "CLASSICAL BOOKS / Hadeeth / Saheeh al-Bukhaaree (al-Jaami' as-Saheeh)"। Fatwa-online.com। ২০১০-০১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২১
  5. Al-Bastawī, ʻAbd al-ʻAlīm ʻAbd al-ʻAẓīm (১৯৯০)। Al-Imām al-Jūzajānī wa-manhajuhu fi al-jarḥ wa-al-taʻdīl। Maktabat Dār al-Ṭaḥāwī। পৃষ্ঠা 9।
  6. Foundations of the Sunnah, by Ahmad ibn Hanbal, pg 51-173
  7. সিয়ারু আলামীন নুবালা

গ্রন্থপঞ্জি

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.