আসাম লোকসেবা আয়োগ

আসাম লোকসেবা আয়োগ সংক্ষেপে এপিএসসি আসাম সরকার-এর অধীনস্থ রাজ্যিক লোকসেবা আয়োগ। আসাম সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন পদ সমূহের বাছাই পরীক্ষা আসাম লোকসেবা আয়োগ আয়োজন করে। আসাম অসামরিক সেবার কর্মচারীর নিযুক্তির জন্য আসাম লোকসেবা আয়োগ সংযুক্ত প্রবেশ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করে। এর মুখ্য কার্যালয় আসামের গুয়াহাটি মহানগরীর খানাপারার জওহর শহরের আসাম লোকসেবা আয়োগ ভবনে অবস্থিত। বর্তমান এর অধ্যক্ষ অবসর প্রাপ্ত ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার কর্মচারী দীপক কুমার শর্মা।[1]

আসাম লোকসেবা আয়োগ
আয়োগ রূপরেখা
গঠিত এপ্রিল ১৯৩৭ (1937-04-01)
পূর্ব সংস্থা
  • রাজ্যিক লোকসেবা আয়োগ
  • লোকসেবা আয়োগ
অধিক্ষেত্রআসাম
সদর দপ্তরআসাম লোকসেবা আয়োগ ভবন, জওহরনগর, খানাপারা, আসাম
আয়োগ নির্বাহীগণ
  • দীপক কুমার শর্মা, অধ্যক্ষ
  • প্রকাশ রঞ্জন ঘরফলীয়া, সচিব
  • মুক্তি গগৈ, প্রফুল্ল কুমার হুজুরী, সজলেন্দু দাস লস্কর, অজন্তা নাথ, সদস্য
  • পুবালী গোহাঁই, মুখ্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
ওয়েবসাইটapsc.nic.in

১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল তারিখে ভারত সরকার বিধেয়ক, ১৯৩৫র অনুযায়ী আসাম লোকসেবা আয়োগের স্থাপন করা হয়েছিল।

ইতিহাস

১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল তারিখে ভারত সরকার বিধেয়ক, ১৯৩৫র অনুযায়ী আসাম লোকসেবা আয়োগের স্থাপন করা হয়েছিল। তখন ইংল্যান্ডের একজন অবসর প্রাপ্ত ভারতীয় অসামরিক সেবার কর্মচারী জেমস হেজলেটকে এর প্রথম অধ্যক্ষ পদে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পরে ১৯৫১ সালে আসাম লোকসেবা আয়োগের নীতি-নিয়মের কিছু পরিবর্তন করা হয়। এই সময়কালে জেমস হেজলেটের পরে আরো পাঁচজন ভারতীয় অসামরিক সেবার অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী ভিন্ন ভিন্ন কার্যকালের জন্য আসাম লোকসেবা আয়োগের অধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করেছিল। ১৯৫১ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের সংবিধান-এর ৩১৮ অনুচ্ছেদ মতে আসাম লোকসেবা আয়োগের গঠন আসামের রাজ্যপাল লাভ করা ক্ষমতার অধীনে পড়ে। একই বছরে আসাম লোকসেবা আয়োগ (কার্য সীমিতকরণ) বিধেয়ক সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২০ র দ্বিতীয় দফা অনুযায়ী গৃহীত করা হয়।

শিক্ষাবিদ কামেশ্বর দাসকে আসাম লোকসেবা আয়োগের প্রথম অকার্যকরী অধ্যক্ষ হিসাবে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তিনি ১৯৫২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

সাংবিধানিক নীতি

আসাম লোকসেবা আয়োগ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী গঠন করা এক সাংবিধানিক সংস্থা। সংবিধানের চতুর্দশ অনুসূচীর দ্বিতীয় অধ্যায় মতে এর গঠন করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজ্যিক লোকসেবা আয়োগকে যেকোনো প্রভাব থেকে মুক্ত এবং নিজ দায়িত্ব নিরপেক্ষ ভাবে পালন করতে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

আয়োগের অধ্যক্ষ এবং সদস্যগণ রাজ্যের রাজ্যপাল নিযুক্ত করে। অধ্যক্ষ এবং সদস্যগণের কার্যকাল ছয় বছর বা ৬২ বছর পর্যন্ত আগত হয়।

কার্য

ভারতীয় সংবিধানের ৩২০ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা মতে আসাম লোকসেবা আয়োগ আসামের লোকসেবার কর্মচারী সমূহের বাছাই প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত করে। এর মুখ্য কার্য সমূহ হল :

  • রাজ্যিক সরকারের বিভিন্ন সেবায় প্রত্যক্ষ নিযুক্তির জন্য পরামর্শ দেওয়া
  • কর্মচারী সমূহের পদোন্নতির জন্য উপযুক্ত প্রার্থীর নাম সরকারকে জানানো
  • সরকারী কর্মচারীর হিতার্থে সরকারকে বিভিন্ন নীতির প্রভাবর কথা জানানো
  • সরকারী বিভাগসমূহের বিভিন্ন পদে নিযুক্তির নীতি-নিয়ম নির্ধারণ করা
  • অসামরিক সেবার কর্মচারীর নিযুক্তির জন্য বাছাই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া
  • সরকারী কর্মচারীর বেতন সম্পর্কীয় বিষয়সমূহের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া
  • সরকারী চাকরির বিভিন্ন পদের নিযুক্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা

আয়োগের সংগঠন

আসাম লোকসেবা আয়োগের সংগঠন সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়ে আসছে। ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এর একজন অধ্যক্ষ এবং ২-৩ জন সদস্য ছিল। ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত একজন অধ্যক্ষ এবং ছয় জন সদস্য ছিল। আবার ১৯৯১ সালে সদস্যের সংখ্যা ১০ জন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ২০০৫ সালের এক সংশোধন মতে আয়োগের একজন অধ্যক্ষ এবং সাত জন সদস্য করা হয়েছে।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "APSC"www.upsc.gov.in
  2. "members"www.upsc.gov.in
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.