আসাদুল্লাহ আল-গালিব

মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব (জন্ম ১৫ জানুয়ারি ১৯৪৮) হলেন বাংলাদেশের একজন ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক পন্ডিত ও সমাজ সংস্কারক। তিনি ধর্মীয় সংগঠন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও আমীর। [1][2] তিনি মাসিক আত-তাহরীক নামক একটি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এবং কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার পরিচালক। [3] ২০১৬ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। [1] তিনি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধী। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে তিনি ধর্ম ও নৈতিকতা সম্বলিত ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বাসী।[4][5][6]

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৫ জানুয়ারী , ১৯৪৮ খ্রি. (৭৩ বছর)
বুলারাটি (সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকাকডাঙ্গা সিনিয়র আলিয়া মাদরাসা,সাতক্ষীরা
আরামনগর কামিল মাদরাসা,জামালপুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅধ্যাপনা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
যে জন্য পরিচিতইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ
ধর্মইসলাম

পারিবারিক পরিচিতি

মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সাতক্ষীরা সদর থানার বুলারাটি গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা আহমাদ আলী (১৮৮৩-১৯৭৬) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একজন খ্যাতনামা আহলেহাদীছ আলেম ছিলেন। তার বড় ভাই আব্দুল্লাহিল বাকী ছিলেন মুসলিম লীগের বিশিষ্ট নেতা। যিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । তার বংশ পরিক্রমা- আসাদুল্লাহ আল-গালিব বিন আহমাদ আলী বিন মুনশী যীনাতুল্লাহ বিন আলহাজ্জ যমীরুদ্দীন বিন রফী মাহমূহ বিন আব্দুল হালীম বিন উযির আলী মণ্ডল বিন সৈয়দ নযীর আলী আল-মাগরেবী। তার ঊর্ধ্বতন ৭ম পুরুষ সৈয়দ নাযীর আলী আল-মাগরেবী (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে মরক্কো থেকে এদেশে আগমণ করেন এবং পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলাধীন বারাসাত মহকুমায় বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪ সন্তানের জনক।১৯৭৯ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার শ্বশুর ছিলেন প্রাক্তন সরকারী কর্মকর্তা (তৎকালীন সার্কেল অফিসার/ উপজেলা নির্বাহী অফিসার) জনাব আকবার আলী (মৃ. ১৯৮৬ইং)। সহধর্মীনী তাহেরুন্নেছা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। তিনি বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহতাবুদ্দীন (মৃ. ১৯৮০ইং)-এর নাতনী এবং খান বাহাদুর মোবারক আলী (খান বাহাদুর আহছানউল্লাহর ভ্রাতা)-এর প্রোপৌত্রী।

শিক্ষা

তিনি সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সিনিয়র মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাযিল এবং জামালপুরের আরামনগর কামিল মাদরাসা থেকে ১৯৬৯ সালে কামিল পরীক্ষা কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাদরাসা বোর্ডে আলিম ও কামিল পরীক্ষার সম্মিলিত মেধা তালিকায় তার অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১৬তম এবং ৫ম। পরবর্তীতে তিনি কলারোয়া সরকারী কলেজ, সাতক্ষীরা থেকে আইএ এবং সরকারী মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, খুলনা থেকে বিএ পরীক্ষাতেও কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। অত:পর ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৮৪ সালে তিনি ইংল্যাণ্ডে পিএইচডি গবেষণার জন্য ‌কমনওয়েলথ স্কলারশীপ[7] লাভ করেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত গমন করেননি। ১৯৯২ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। মাতৃভাষা বাংলাসহ আরবী, ইংরেজি, উর্দূ এবং ফার্সী ভাষায় তার দক্ষতা রয়েছে।[8]

পেশাজীবন

১৯৮০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাংগুয়েজে খণ্ডকালীন লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। অত:পর একই বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‌'আরবী ও ইসলামী শিক্ষা' বিভাগের লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। অতঃপর ২০১৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। [1] পেশাগত কাজে ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছেন। ২০০০ সনে তিনি সঊদী সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসাবে হজ্জব্রত পালন করেন।

প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ও সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ

  • বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ (১৯৭৮)।
  • আহলেহাদীছ মহিলা সংস্থা (১৯৮১)।
  • তাওহীদ ট্রাস্ট (১৯৮৯)।[9][10]
  • হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (১৯৯২)।[9][11][10]
  • আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ (১৯৯৪)। [1][12][11][2]
  • সোনামণি (১৯৯৪)। জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন।
  • মাসিক আত-তাহরীক (১৯৯৭)। [1][13]
  • সালাফিয়া ট্রাস্ট (২০০২)।
  • ইসলামিক কমপ্লেক্স (২০১০)।
  • আল-আওন (স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান সংস্থা) (২০১৭ইং)।
  • পেশাজীবি ফোরাম (২০২৩)

প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ

তিনি ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকায় নিয়মিত সম্পাদকীয় লেখা ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় তার প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধের সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি এমফিল, পিএইচডিসহ একাডেমিক গবেষণাকর্মসমূহ তত্ত্বাবধান ও নিরীক্ষণ এবং গবেষণা জার্নাল সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতোমধ্যে তার রচিত ও অনুদিত প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রন্থ ও পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে।[14][15]

ধর্ম

  • তরজমাতুল কুরআন (২০২৩) - আল-কুরআনের পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ।
  • তাফসীরুল কুরআন- ৩০তম পারা (২০১৩)
  • তাফসীরুল কুরআন - ২৬-২৮তম পারা (২০১৮)
  • তাফসীরুল কুরআন - ২৯তম পারা (২০১৮)
  • ছালাতুর রাসূল (ছা) [বাংলা] (১৯৯৮)
  • ছালাতুর রাসূল (২০১০) (ইংরেজি)
  • ছিয়াম ও ক্বিয়াম (২০২০)
  • জিহাদ ও ক্বিতাল (২০১৩)
  • মীলাদ প্রসঙ্গ (১৯৮৬)
  • শবেবরাত (১৯৯০)
  • হজ্জ ও ওমরা (২০০১)
  • আক্বীদা ইসলামিয়াহ (২০০০)
  • হাদীছের প্রামাণিকতা (২০০৪)
  • মাসায়েলে কুরবানী ও আক্বীকা (১৯৮৭)
  • তালাক ও তাহলীল (২০০১)
  • আশূরায়ে মুহাররম ও আমাদের করণীয় (২০০৪)
  • কুরআন অনুধাবন (২০১৮)
  • তাওহীদের শিক্ষা ও আজকের সমাজ (২০২০)

সমাজ

  • আহলেহাদীছ আন্দোলন: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ; দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ [ডক্টরেট থিসিস] (১৯৯৬)
  • আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? (বাংলা) (১৯৭৯)।
  • আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? (ইংরেজি) (২০১২)।[16]
  • ফিরক্বা নাজিয়াহ (২০১৩)
  • জীবন দর্শন (২০১৩)
  • দিক দর্শন-১ (২০১৬)
  • দিক দর্শন-২ (২০১৬)
  • ইনসানে কামেল (২০০৯)
  • উদাত্ত আহ্বান (১৯৯৩)
  • বিবর্তনবাদ (২০২০)
  • এ্যাক্সিডেন্ট (পৃথিবীর উৎপত্তি) (২০২০)
  • নৈতিক ভিত্তি ও প্রস্তাবনা (১৯৯৩)
  • ইক্বামতে দ্বীন : পথ ও পদ্ধতি (২০০৪)
  • সমাজ বিপ্লবের ধারা (১৯৮৬)
  • তিনটি মতবাদ (১৯৮৭)
  • দাওয়াত ও জিহাদ (১৯৯৩)
  • ছবি ও মূর্তি (২০১০)
  • হিংসা ও অহংকার (২০১৫)
  • মানবিক মূল্যবোধ (২০১৮)
  • মৃত্যুকে স্মরণ (২০১৮)
  • সমাজ পরিবর্তনের স্থায়ী কর্মসূচী (২০১৮)

রাজনীতি

  • ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন (২০০৩)
  • ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ (২০০৩)
  • জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ এবং চরমপন্থীদের বিশ্বাসগত বিভ্রান্তির জবাব (২০১৬)

অর্থনীতি

  • বায়'এ মুআজ্জাল (২০১৮)
  • যাকাত ও ছাদাক্বা (২০২৩)

ইতিহাস

  • নবীদের কাহিনী-১ (২০১০)
  • নবীদের কাহিনী-২ (২০১০)
  • সীরাতুর রাসূল (ছা.) (নবীদের কাহিনী-৩) (২০১৫)

অনুবাদ

শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্য

  • আরবী ক্বায়েদা (১৯৯৮)
  • আরবী ক্বায়েদা-১ (২০১৮)
  • আরবী ক্বায়েদা-২ (২০১৮)
  • তাজবীদ শিক্ষা (২০১৮)
  • প্রাথমিক বাংলা শিক্ষা
  • মাদরাসার পাঠ্যবইয়ের অন্তরালে (২০২১)

[18]

  • আধুনিক আরবী সাহিত্যে তায়মূর পরিবারের অবদান (২০২২)

সমাজ সংস্কার

৫০ ও ৬০-এর দশকে এ দেশে আহলেহাদীছ আন্দোলনের নেতা আল্লামা আব্দুল্লাহেল কাফী আল-কোরায়শী সামাজিক ও সাংগঠনিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সে আন্দোলনকে আরো সুপ্রতিজ্ঞ ও সুসংহত করে তুলেছেন মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। গোষ্ঠীগত গণ্ডির ঊর্ধ্বে উঠে তিনি আহলেহাদীছকে একটি ব্যাপকভিত্তিক ধর্মীয় ও সামাজিক আন্দোলনে রূপদানের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বলা হয়।[19] তার মতে, মানবরচিত যাবতীয় মতবাদ পরিত্যাগ করে একমাত্র অহির বিধানের প্রতি নি:শর্ত আত্মসমর্পণের মধ্যেই মানুষের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তি নিহিত। যা তিনি শ্লোগান আকারে তার বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, "সকল বিধান বাতিল কর, অহির বিধান কায়েম কর"।[20][21] তিনি মনে, ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া কেবল শাসন ক্ষমতা ও শাস্তির ভয় দেখিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ, খুন, ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা, অশ্লীলতা, মাদক এবং ক্রমবর্ধমান অন্যান্য সামাজিক অনাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য তিনি শিক্ষার প্রতিটি স্তরে ইসলামী শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও বাধ্যতামূলক করা অপরিহার্য মনে করেন।[22]তিনি পূর্বর্তী আলেমদের তাক্বলীদের বিরোধিতা করেন এবং ইজতিহাদের নামে প্রচলিত কুরআন ও হাদীস বিরোধী ফতোয়া সমাজ থেকে বাদ দিতে চান।[23] তিনি মনে করেন, রাষ্ট্র ও সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচলিত গণতন্ত্র এবং জঙ্গীবাদ পরিত্যাজ্য; বরং মানুষের আক্বীদা-আমলের সংস্কারের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধনকে তার লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।[24][25][1][26]এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে "ইমারত ও বায়‌আত" ভিত্তিক সংঘবদ্ধ আন্দোলনকে তিনি বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটে আবশ্যক মনে করেন। [27] [28]

কারাবরণ

২০০৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি জঙ্গীবাদের অভিযোগে গ্রেফতার হন। একই দিনে ১০টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবী করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর কারাভোগের পর অবশেষে ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট তিনি মুক্তিলাভ করেন। পরবর্তীতে সকল মামলায় তিনি বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত হন। [29][30][31]

মতাদর্শ


মাযহাব ও তাক্বলীদে শাখছী


সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ

ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে যারা কবীরা গোনাহগার মুসলমানকে ‘কাফের’ বলে এবং তাদের রক্ত হালাল গণ্য করে বিভিন্ন দেশের মুসলিম সরকার ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা চালায় তাদেরকে তিনি চরমপন্থী আক্বীদায় বিশ্বাসী হিসেবে মনে করেন । এছাড়াও তিনি জিহাদের নামে আত্মঘাতী হামলা জায়েয মনে করেন না। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থানকে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদেশী আধিপত্যবাদীদের চক্রান্ত ও তাদের অস্ত্র ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে সাব্যস্ত করেন। [32]

আহমদীয়া সম্প্রদায়

ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (স) কে সর্বশেষ নবী ও রাসুল হিসেবে স্বীকার না করায় তিনি আহমদীয়া সম্প্রদায় তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে মুসলিম হিসেবে স্বীকার করেন না। তিনি তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণার দাবী করে আসছেন।[33] তার মতে, আহমদীয়া সম্প্রদায় মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী কার্যক্রমে জড়িত। তবে তিনি তাদেরকে অমুসলিম সংখ্যালঘু হিসেবে অন্যদের ন্যায় বাংলাদেশে বসবাস করতে দেওয়ার পক্ষপাতী।[34][35]

চিত্রশালা


আরও পড়ুন

তথ্যসূত্র

  1. রাজশাহী, দুলাল আবদুল্লাহ (১৪ আগস্ট ২০১৬)। "জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণায় সেই আসাদুল্লাহ গালিব"বাংলা ট্রিবিউন। ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩
  2. রাজশাহী ব্যুরো (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "দুনিয়াবী স্বার্থে নয়, পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করুন -আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব (Bangla ভাষায়)। ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  3. মাসিক আত-তাহরীক
  4. রাজশাহী ব্যুরো (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "মূর্তি-ভাস্কর্যের মত শিরকী সংস্কৃতির প্রসার থেকে বিরত থাকুন- প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব (Bangla ভাষায়)। ৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৩
  5. "রাবিতে 'শিক্ষার মৌলিক লক্ষ' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত"দৈনিক রাজশাহী প্রতিদিন (Bangla ভাষায়)। ৯ এপ্রিল ২০২৩। ১৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  6. মাহিন, মনির হোসেন (৯ এপ্রিল ২০২৩)। "রাবিতে 'শিক্ষার মৌলিক লক্ষ' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত"বাংলাদেশের বার্তা (Bangla ভাষায়)। ঢাকা। ১৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  7. ডেস্ক, প্রথম আলো। "কমনওয়েলথ বৃত্তি পেতে যা যা করতে হবে, দরখাস্ত আহ্বান ইউজিসির"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০
  8. আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
  9. রাজশাহী, নিজস্ব প্রতিবেদক (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "রাজশাহীতে গালিবের বিরুদ্ধে ভবন দখলের অভিযোগ"দৈনিক প্রথম আলো। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩
  10. রাজশাহী ব্যুরো (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "রাজশাহীতে হাদিস ফাউন্ডেশনের ভবন দখলে নিলেন ড. গালিব"দৈনিক সমকাল (Bangla ভাষায়)। ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩
  11. নিজস্ব প্রতিবেদক (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "রাজশাহীর হাদীছ ফাউন্ডেশন ঘুমন্ত ছাত্রদের বের করে ভবন দখল আহলে নেতার"দৈনিক কালের কণ্ঠ (Bangla ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩
  12. "আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ"ahlehadeethbd.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০
  13. At-tahreek, Monthly। "মাসিক আত-তাহরীক"মাসিক আত-তাহরীক । ধর্ম, সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা পত্রিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০
  14. আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ - প্রকাশনা কার্যক্রম
  15. "Salatur Rasul (SM) -মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব"। ২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৩ অজানা প্যারামিটার |2= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |4= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  16. Asadullah al-Ghalib | AshabulHadeeth.com
  17. "সালাফী দাওয়াতের মূলনীতি" (পিডিএফ)Hadeethfoundation.com (Bangla ভাষায়)। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৩
  18. ">হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ও পরিবেশিত বইসমূহ"ahlehadeethbd.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০
  19. "উদাত্ত আহ্বান" (পিডিএফ)। হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ।
  20. "শিরক থেকে বাঁচতে হবে সাতক্ষীরায় প্রফেসর ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব"দৈনিক ইনকিলাব (Bangla ভাষায়)। ১১ জানুয়ারি ২০২২। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩
  21. "নৈতিক ভিত্তি ও প্রস্তাবনা" (পিডিএফ)। হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ।
  22. যুগান্তর রিপোর্ট (২০ জুলাই ২০১৯)। "আহলে হাদিসের কর্মী সম্মেলন ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া ধর্ষণ-মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়"দৈনিক যুগান্তর (Bangla ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩
  23. "বিজাতীয় রাজনৈতিক মতবাদের অনুসারী আহলে হাদীস থাকে না-ড. আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
  24. "সংস্কৃতি চর্চা নয় বরং বিশ্বাসগত ভ্রান্তি দূর করার মাধ্যমেই জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব -প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব। ২৭ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  25. "সশস্ত্র প্রশিক্ষণে জিহাদ নয়, সন্ত্রাস করছে"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৪ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  26. "জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার ডাক"। বহুমাত্রিক.কম (অনলাইন গণমাধ্যম)। ২৩ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  27. "সমাজ বিপ্লবের ধারা" (পিডিএফ)। হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ।
  28. "Ahmad, Mumtaz. "Ahl-e-Hadith Movement in Bangladesh: History, Religion, Politics and Militancy." (2006)." (পিডিএফ)
  29. "Police hold Bangladesh professor", BBC News, Published on Wednesday, 23 February, 2005.
  30. ফাঁসকৃত উইকিলিক্সের তারবার্তার তথ্য || 'ড. গালিবের জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা কোন সূত্রই নিশ্চিত করতে পারেনি', সিএনএনবাংলা অনলাইন নিউজ, প্রকাশিত তারিখ : শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১২।
  31. বগুড়ায় হত্যা মামলায় ড. গালিব নির্দোষ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে, দৈনিক নয়াদিগণ্ত, প্রকাশিত তারিখ:২১-১১-২০১৩।
  32. আল-গালিব, মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ (১৮ জুলাই ২০১৬)। "সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের উপায়"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  33. রাজশাহী ব্যুরো (৩ মার্চ ২০১৯)। "অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করুন প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ২৯তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা শেষ"দৈনিক ইনকিলাব (বাংলা ভাষায়)। ২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০২৩
  34. "পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্মেলন অবিলম্বে বন্ধ ও তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করুন! -প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব" (Bangla ভাষায়)। দৈনিক সংগ্রাম। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। Archived from the original on ৮ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩
  35. "অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে পঞ্চগড়ের কাদিয়ানী সম্মেলন বন্ধ করুন"দৈনিক ইনকিলাব। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০২৩

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
দল প্রতিষ্ঠা
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর
১৯৯৪ - বর্তমান
উত্তরসূরী
দায়িত্ব/অবশ্য কর্তব্য
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.