আশা সচদেব
আশা সচদেব নামে পরিচিত নাফিসা সুলতান হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে বলিউডের অন্যতম চরিত্রাভিনেত্রী ছিলেন।[1][2] তবে তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রধান চরিত্রেও অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে হিফাজত (১৯৭৩), রোমহর্ষক চলচ্চিত্র ও ম্যাঁয় নহিঁ (১৯৭৪), ব্যবসাসফল গোয়েন্দা চলচ্চিত্র এজেন্ট বিনোদ (১৯৭৭) ও এক হি রাস্তা (১৯৭৭)। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রিয়তমা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
আশা সচদেব | |
---|---|
জন্ম | নাফিসা সুলতান |
মাতৃশিক্ষায়তন | ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থান |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭২-বর্তমান |
কর্মজীবন
আশা পুনের ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে বলিউডে আগমন করেন। তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় বি গ্রেড চলচ্চিত্র বিন্দিয়া অউর বন্দুক দিয়ে, যা সফল হয়। কিন্তু বি গ্রেড চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর কোন এ গ্রেড পরিচালক তাকে চলচ্চিত্রে নিতে রাজি ছিল না, ফলে তিনি বেশ কয়েকটি ভাল চলচ্চিত্র হারান। এরপর তিনি নবকেতনের ব্যানারে একটি স্বল্প নির্মাণব্যয়ের চলচ্চিত্র ডাবল ক্রস (১৯৭২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছিলেন বিজয় আনন্দ ও রেখা, চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িক দিক থেকে ব্যর্থ হয়।[3] এই সময়ে তিনি এক লাড়কি ভোলি ভালি সি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন, কিন্তু প্রযোজকের আর্থিক সমস্যার কারণে তা নির্মিত হয়নি।[3] এরপর তিনি হিফাজত (১৯৭৩) চলচ্চিত্রে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটিতে তার অভিনয় ও এর গানগুলি প্রশংসিত হয়, বিশেষ করে "ইয়ে মস্তানী ডাগর" ও "হামরাহি মেরা প্যায়ার" গান দুটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরের বছর তিনি নবীন নিশ্চল ও রেখা অভিনীত রোমহর্ষক চলচ্চিত্র ও ম্যাঁয় নহিঁ (১৯৭৪)-এ অভিনয় করেন, এটি নান অবান ইল্লাই চলচ্চিত্রের পুনর্নির্মাণ।
তিনি ১৯৭৭ সালে গোয়েন্দা চলচ্চিত্র এজেন্ট বিনোদ ও এক হি রাস্তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা ব্যবসাসফল হয়। এজেন্ট বিনোদ চলচ্চিত্রে তিনি একজন বিজ্ঞানীর কন্যা চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি মহেন্দ্র সন্ধু অভিনীত এজেন্ট বিনোদকে তার পিতাকে উদ্ধারে সাহায্য করেন।[4] অন্যদিকে প্রণয়ধর্মী এক হি রাস্তা চলচ্চিত্রে তার ও জিতেন্দ্রর উপর চিত্রায়িত কিশোর কুমার ও আশা ভোঁসলের গাওয়া "জিস কাম কো দোনো আয়ে হ্যায়" গানটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একই বছর তিনি বাসু চ্যাটার্জীর প্রিয়তমা চলচ্চিত্রে নীতু সিঙের অভিনীত চরিত্রের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[5]
২০০০-এর দশকে তিনি আবার চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন এবং ফিজা, আঘাজ, ঝুম বরাবর ঝুম ও আজা নাচলে চলচ্চিত্রে চরিত্রাভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। টেলিভিশনে তিনি সোপ অপেরা বুনিয়াদ (১৯৮৬) এবং সেট সাব-এর টিভি ধারাবাহিক জুগনি চলি জলন্ধর-এ রঞ্জিতের বিপরীতে অভিনয় করেন।[6]
তথ্যসূত্র
- ঝা, সুভাষ কে.; বচ্চন, অমিতাভ (১ নভেম্বর ২০০৫)। The essential guide to Bollywood। রলি বুকস প্রাইভেট লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১৯৯৯–। আইএসবিএন 978-81-7436-378-7। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- "Shake a leg with the golden era queens"। ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস। ২১ জুন ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- "Asha Sachdev – Memories"। সিনেপ্লট (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ জুলাই ২০১২। ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- "Shriman Bond"। মিন্ট। ১৯ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- ফারুক, ফারহানা (১৫ জানুয়ারি ২০১৫)। "My cleavage created so much hungama"। ফিল্মফেয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- "Ranjeet's little secret is out"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২৩ ডিসেম্বর ২০০৮। ২০১৩-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।