আল শাহরিয়ার
মোহাম্মদ আল-শাহরিয়ার (জন্ম: ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৮) ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[1] বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারি সারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখতেন। পাশাপাশি ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন রোকন ডাকনামে পরিচিত আল-শাহরিয়ার। এছাড়াও ফিল্ডিংয়েও তিনি বেশ দক্ষতা দেখান। ঘরোয়া ক্রিকেটে আবাহনী, মোহামেডান, ঢাকা মেট্রোপলিশ দলে খেলেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ আল-শাহরিয়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ঢাকা, বাংলাদেশ | ২৩ মে ১৯৭৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | রোকন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১০-১৩ নভেম্বর ২০০০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮-২০ জুলাই ২০০৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ১৬ মার্চ ১৯৯৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ আগস্ট ২০০৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: Cricinfo, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ |
প্রারম্ভিক জীবন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গণে নিষ্প্রভ থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফরে এলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। কিন্তু পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে তাকে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। ৯০-এর দশকে মোহাম্মদ আশরাফুলের সাথে তাকেও অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার হিসেবে মনে করা হতো।[2] সাভারের খ্যাতনামা ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি থেকে ক্রিকেটে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এ প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নেন। এরপর ১৯৯৩ সালে বিসিবি একাদশে খেলেন ও মাঝে-মধ্যে লেগ স্পিন বোলিংও করতেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ক্রিকেট খেললেও তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে ছয় বছর পর।
খেলোয়াড়ী জীবন
অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার হওয়া স্বত্ত্বেও আল-শাহরিয়ার দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে তেমন দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি। তাকে কখনো ব্যাটিং উদ্বোধনে কিংবা মাঝারি সারিতে নামতে হয়েছে। ফলে, ব্যাটিংয়ে তার সেরা অবস্থান বেশ ধুম্রমান। তবে একদিনের আন্তর্জাতিকে তিনি মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়েছেন।[2]
১৬ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল শেষে দ্রুততম সময়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার আয়োজন করা হয়। ঐ খেলার মাধ্যমে তার ওডিআই অভিষেক হয়। একই বছরের অক্টোবরে নিজস্ব তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬২* রান তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২৯টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেও এরচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি।
১০ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে ও ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন। অক্টোবর, ২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট রান করেন ৭১। জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বমোট ৪টি অর্ধ-শতক করেন যার সবগুলোই ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে।[1] বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের পর হাবিবুল বাশারের পরই অর্ধ-শতকে ও রান সংগ্রহে তার অবস্থান ছিল।[3]
অবসর
২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে[4] দলের বিপর্যয়ের পর জুলাই, ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। আগস্টে খেলার পর দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর থেকে তাকে টেস্ট কিংবা একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলতে দেখা যায়নি। পরবর্তীতে আরও কয়েক বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেন। এরপর পরিবারসহ নিউজিল্যান্ডে অভিবাসিত হন। সেখানে হ্যাভলক নর্থ ক্লাবের পক্ষে খেলোয়াড়-কোচ হিসেবে খেলেন।
তথ্যসূত্র
- "Al Sahariar's Cricinfo Profile"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-7। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "Al Sahariar's BBC Profile"। BBC। 2003-1-6। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-7। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - McConnell, Lynn (2003-07-24)। "Unwanted records mounting for Bangladesh"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-7। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "2003 World Cup in South Africa, Bangladesh Squad"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-7। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)