আল মাওজুআতুল কুবরা
আল মাওজুআতুল কুবরা, (আরবি: الموضوعات الكبرى ; ইংরেজি: Al-Mawduatul Kubra) বা কিতাবুল মাওজুআত বা আল মাওজুআত (উল্লেখ্য যে, মাওজু বা মাওদ্বু উভয় উচ্চারণের ব্যবহার পরিলক্ষিত ) হল মুসলমানদের হাদিসশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের নাম । এটি হাদিসের একটি সংকলন বই ; এমন ধরনের হাদিস - যে সব বর্ণনা নবি মুহাম্মদ-এর পক্ষ থেকে আসেনি অর্থাৎ বানোয়াট হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে বলে গ্রন্থকারের কাছে মনে হয়েছে, সে সমস্ত হাদিসের সংকলন এটি। 'মাওজুআত' শ্রেণীর এ রুপ আরও গ্রন্থ রয়েছে যা অন্যান্য হাদিসবেত্তাগণ নিজ নিজ সংগ্রহ অনুযায়ী সংকলন করেছেন। কোনটি হাদিস, কোনটি হাদিস নয় ; কিংবা শুদ্ধ অশুদ্ধ, বেঠিক সঠিক ইত্যাদি হাদিসের মান নির্ধারণে হাদিস চর্চায় শাস্ত্রীয় বৈধ সমালোচনার জন্য হাদিসগুলি সংগ্রহ করে গ্রন্থকার আবুল ফারাজ ইবনুল জাওজি (মৃত্যু : ১২০১) এই সংকলনটি প্রণয়ন করেছিলেন ।
লেখক | আবুল ফারাজ ইবনে জাওজি |
---|---|
মূল শিরোনাম | الموضوعات الكبرى |
বিষয় | মাওজু হাদিস |
ধরন | হাদিস সংকলন |
হাদিস |
---|
বিষয়ের উপর ধারাবাহিকভাবে লিখিত |
|
বর্ণনা
বইটি বর্ণনাগুলোর সমন্বয়ে হাদিস হিসাবে উপস্থাপিত হয়েছে, লেখক কর্তৃক 'মাওজু' বলে ঘোষিত হয়েছে এবং তারপরে বিষয় দ্বারা উপন্যস্ত হয়েছে । আল-মাওজুআত গ্রন্থটি বহু বর্ণনা সমেত প্রায় দুইটি খণ্ডে অধিষ্ঠিত বলে আল-নওয়াবী বর্ণনা করেছেন।[1]এটি সর্বশেষ সংস্করণে সরবরাহিত সংখ্যা অনুসারে ১৮৪৭ টি বিবরণ নিয়ে গঠিত এবং বর্তমানে অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহকারী পর্যাপ্ত পাদটীকা সহ চারটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
সমালোচনা
আল-নওয়াবী (মৃত্যু : ১২৭৭) বইটিতে এমন অনেকগুলি হাদিস রয়েছে যা সঠিকভাবে 'মাওজু' ঘোষণা করা যায় না বলে সমালোচনা করেছেন।
তবে আহমাদ ইবনে আলী ইবনে হাজার আল আসকালানী (মৃত্যুঃ ১৪৪৯) দাবি করেছেন যে, এই গ্রন্থের বেশিরভাগ বর্ণনাই প্রকৃতপক্ষে 'মাওজু' (বানোয়াট) এবং যেসব বর্ণনাকে মনগড়া নয় বলে সমালোচনা করা হয়েছে, তা আসলে তুলনামূলকভাবে খুব কম।[1]
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতীর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এ গ্রন্থের মধ্যে কিছু বর্ণনা হল 'জইফ', কিছু আছে 'হাসান' এমনকি কিছু সহিহ'ও রয়েছে ।[1]