আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর
আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর (Lighthouse of Alexandria) খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় তৈরি করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরিচিতি চিহ্ন হিসেবে তৈরি করা হলেও পরবর্তীকালে এটী বাতিঘর হিসেবে কাজ করে।[2]
অবস্থান | ফেরোস, আলেকজান্দ্রিয়া, মিশর |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৩১°১২′৫০″ উত্তর ২৯°৫৩′০৮″ পূর্ব |
নির্মাণ | খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২৭৯ |
নিষ্ক্রিয় | 1303/1323 |
কাঠামোগত ভিত্তি | পাথর |
নির্মাণ | মিশনারি |
টাওয়ারের আকৃতি | স্কোয়ার (নীচে), অষ্টভুজ (মধ্য) এবং নলাকার (শীর্ষ) |
টাওয়ারের উচ্চতা | ১০৩ থেকে ১১৮ মি (৩৩৮ থেকে ৩৮৭ ফু)[1] |
ব্যাপ্তি | ৪৭ কিমি (২৯ মা) |
বাতিঘরের মূল ভিত্তিভূমির আয়তন ছিল ১১০ বর্গফুট। উচ্চতা ছিল ৪৫০ ফূট। মূল দেহের গোটা শরীরে একটা প্যাচানো সিড়ি ছিল। এই সিড়ি বেয়েই উঠতে হত। বাতিঘর তৈরির সময় ৪৫০ ফুট উচুতে যে বিশাল অগ্নিকুন্ড জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল, ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পূর্বে সেটি আর কেউ নিভতে দেখেনি। ৫০ মাইল দূর থেকেও বাতিঘরটি দেখা যেত। ৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিন বার ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে বাতিঘরটি। ১৪'শ শতকে প্রবল ভূমিকম্পের ফলে বাতিঘরটি ভেঙ্গে পড়ে।
তথ্যসূত্র
- McKenzie, Judith (২০১১)। The Architecture of Alexandria and Egypt: 300 BC – AD 700। Yale University Press। পৃষ্ঠা 42। আইএসবিএন 978-0300170948।
- A., Clayton, Peter (১৯৮৯)। The seven wonders of the ancient world। Price, Martin, 1939-1995.। New York: Dorset Press। আইএসবিএন 9781135629281। ওসিএলসি 760994896।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.