আলী ইবনে হোসাইন জয়নুল আবিদীন

আলী ইবনে হোসেন জয়নুল আবিদীন ؑ (আরবি: عَلِيّ ٱبْن ٱلْحُسَيْن زَيْن ٱلْعَابِدِين; ৪ জানুয়ারি ৬৫৯ – ২০ অক্টোবর ৭১৩), যিনি আস-সাজ্জাদ (আরবি: ٱلسَّجَّاد) বা জয়নুল আবেদীন (আরবি: زَيْن ٱلْعَابِدِين) নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মাদের একজন বংশধর, আলীফাতিমার দৌহিত্র এবং হোসাইন ইবনে আলীর পুত্র। শিয়া ইসলামে তাঁকে ৪র্থ ইমাম গণ্য করা হয়। সুন্নি ইসলামে তাঁকে একজন বিশিষ্ট আলেম বিবেচনা করা হয় এবং তাঁর কাছ থেকে বর্ণিত হাদিস প্রধান সুন্নি হাদিস সংকলনসমূহ তথা কুতুব আল-সিত্তাহে লিপিবদ্ধ রয়েছে।[12] সুফি তরিকাগুলোর সব সিলসিলা তাঁঁর মাধ্যমে আলী পর্যন্ত পৌঁঁছয়। কিছু সূত্রমতে তাঁর মাতার নাম শহরবানু।

ʿআলী ʾইবনে হ়োসেন ؑ
عَلِيّ ٱبْن ٱلْحُسَيْن
ʾইমাম[1]
জ়য়নুল আবিদীন[2]
সৈয়দুল আবিদীন
ইবনুল খ়য়ারতাইন
জ়ুল সফ়নাত
আজ়-জ়াকী
আল-আমীন
সৈয়দ আস-সজ্জাদীন[3]
ʿআলী ʾইবনে হ়োসেনের নাম সংবলিত আরবি চারুলিপি
৪র্থ ইমাম
(শিয়া ইসলাম)
ইমামত৬৮০ – ৭১২ খ্রি.
পূর্বসূরিহ়োসেন ʾইবনে ʿআলী ؑ
উত্তরসূরিবিতর্কিত
ইসনা আশারিয়াইসমাইলি: মুহ়ম্মদ আল-বাক়ির ؑ
জায়েদি: জ়ায়েদ ʾইবনে ʿআলী ؑ
জন্মʿআলী ʾইবনে হ়োসেন
আনু. ৪ জানুয়ারি ৬৫৯
(৫ শাবান ৩৮ হিজরি[4][5] অথবা ১৫ জুমাদিউল আউয়াল ৩৬ হিজরি)
মদীনা, হেজাজ, উমাইয়া সাম্রাজ্য[6]
অথবা
কুফা, ইরাক, উমাইয়া সাম্রাজ্য[7][8][9]
মৃত্যুআনু. ২০ অক্টোবর ৭১৩(713-10-20) (বয়স ৫৪)
(২৫ মুহররম ৯৫ হিজরি)
মদীনা, হেজাজ, উমাইয়া সাম্রাজ্য
দাম্পত্য সঙ্গীফাতিমা বিনতে হাসান
জায়েদা আল-সিন্ধী
সন্তানমুহম্মদ আল-বাকির
জায়েদ ইবনে আলী
হোসেন আল-আসগর
আব্দুল্লাহ আল-বাহার
আলী আল-আসগর
উমর আল-আশরাফ
উম্মে কুলসুম
খাদিজা
পূর্ণ নাম
আল-হ়োসেন ʾইবনে ʿআলী ʾইবনে আবী ত়ালিব
আরবি: ٱلْحُسَيْن ٱبْن عَلِيّ ٱبْن أَبِي طَالِب
স্থানীয় নাম ؑٱلْحُسَيْن ٱبْن عَلِيّ ٱبْن أَبِي طَالِب
বংশআহল আল-বাইত
বংশবনু হাশিম (আলীয়)
রাজবংশকুরাইশ
পিতাহোসেন ইবনে আলী
মাতাশহরবানু[9][2][10]
ধর্মইসলাম
মৃত্যুর কারণউমাইয়া খলিফা প্রথম আল-ওয়ালিদের নির্দেশে বিষপ্রয়োগ
সমাধিজান্নাতুল বাকি, মদীনা, সউদি আরব
২৪°২৮′১″ উত্তর ৩৯°৩৬′৫০.২১″ পূর্ব
অন্যান্য নামদর্দুঞ্জু আলী (চতুর্থ আলী)
তুর্কি: Dördüncü Ali
আত্মীয়মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (প্রপিতামহ)
আলী ইবনে আবী তালিব (পিতামহ)
ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ (মাতামহী)
হাসান ইবনে আলী (চাচা)

বংশ পরিচিতি

উনার বংশ-তালিকা ফাতেমা নবী মুহাম্মাদ পর্যন্ত পৌঁছেছে বিধায় তার পূর্ব-পুরুষগণ নামের পূর্বে ‘সাইয়্যেদ’ বা ‘সৈয়দ’ শব্দ ব্যবহার করেছেন।[13]

উনার ঊর্ধ্বতন বংশ পুরুষ ছিলেন; যথাক্রমেঃ হযরত মুহাম্মাদ রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -> উম্মুল মুমিনিন সৈয়দা ফাতিমাতুজ জাহরা (রা) + হযরত আলী -> হযরত ইমাম হোসাইন(রা) -> হযরত ইমাম সাইয়্যেদ জয়নুল আবেদিন (রা) [14]

খেলাফতের সময়

তিনি ৩৪ বছর খিলাফত/ইমামত-এর দায়িত্বে ছিলেন।

মৃত্যুবরণ

৯৫ হিজরীতে ইমাম জয়নাল আবেদিন, ইসলামের চর্তুথ ইমাম, মারবিয়ান কর্তৃক নিহত হন। [15]

তথ্যসূত্র

  1. A Brief History of The Fourteen Infallibles। Qum: Ansariyan Publications। ২০০৪। পৃষ্ঠা 137।
  2. ibn Khallikan। Ibn Khallikan's biographical dictionary2। পৃষ্ঠা 209।
  3. Sharif al-Qarashi 2000, পৃ. 21
  4. Sharif al-Qarashi 2000, পৃ. 14
  5. "Imam Ali Ibn al Husayn (as)"Al-Islam.org। ১০ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৫
  6. Shabbar, S.M.R. (১৯৯৭)। Story of the Holy Ka’aba। Muhammadi Trust of Great Britain। ৩০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩
  7. Sharif al-Qarashi 2000, পৃ. 15
  8. Shaykh al-Mufid। "The Infallibles – Taken from Kitab al he was born in Syria"। ১৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০০৯
  9. WOFIS (২০০১)। A Brief History of the Fourteen Infallibles (3rd সংস্করণ)। Tehran: World Organization for Islamic Services।
  10. Tabataba'i, Muhammad Husayn (১৯৭৯)। Shi'ite Islam। State University of New York Press। পৃষ্ঠা 201।
  11. Badruddīn, Amir al-Hussein bin (20th Dhul Hijjah 1429 AH)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  12. Adil Salahi (২০০১), Scholar Of Renown: Imam Ali Zain Al-Abideen, Arab News, In his scholarship, Ali Zain Al-Abideen was a man of high achievement. Imam Malik describes him as “a sea full of knowledge”. All six books of Hadith include traditions reported by him, which suggest that he was considered by all the main scholars as a highly reliable reporter of Hadith. His line of reporting was mainly through his father and grandfather, but he also reported Hadith through the main scholars of the tabieen generation and the Prophet’s companions.
  13. সিরাজাম মুনীরা , সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাঈমুল ইহসান বারকাতী, পৃষ্ঠা নম্বর ৮৭ প্রকাশনায়: মুফতী আমীমুল ইহসান একাডেমী।
  14. ফার্সিতে লিখিত প্রাচীন সৈয়দ বংশের নসবনামা
  15. Allama Majlisi। Bihar al-Anwar46। পৃষ্ঠা 152–154।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.