আলমোড়া জেলা
আলমোরা জেলা ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের কুমাওন বিভাগের একটি জেলা। এ জেলার সদরদপ্তর আলমোড়াতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে জেলার উচ্চতা ১,৬৩৮ মিটার। প্রতিবেশী জেলা হিসেবে পূর্বে পিথোরাগড় জেলা, পশ্চিমে চামোলি জেলা, উত্তরে বাগেশ্বর জেলা এবং দক্ষিণে নৈনিতাল জেলা রয়েছে।
আলমোড়া জেলা | |
---|---|
জেলা | |
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৯.৫৯৭১৮° উত্তর ৭৯.৬৫৭০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
বিভাগ | কুমাওন |
সদর | আলমোড়া |
আয়তন | |
• মোট | ৩,০৮২ বর্গকিমি (১,১৯০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১,৬৪৬ মিটার (৫,৪০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৬,২২,৫০৬ |
• জনঘনত্ব | ২০০/বর্গকিমি (৫২০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ২৬ ৩৬০১ |
টেলিফোন কোড | ৯১-৫৯৬২ |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউকে-০১ |
জলবায়ু | আলপাইন (BSh) এবং আর্দ্র উপক্রান্তীয় (Bsh) (কোপেন) |
বার্ষিক তাপমাত্রা | ২৮ থেকে -২ °সে |
গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা | ২৮ - ১২ °সে |
শীতকালীন তাপমাত্রা | ১৫ থেকে -২ °সে |
ওয়েবসাইট | almora |
ইতিহাস
আলমোরা শহর কুমাওন জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর ছিল; যা ১৮১৫ সালে অ্যাংলো-গোর্খার যুদ্ধে গোর্খা সেনাবাহিনীর পরাজয়ের পর এবং ১৮১৬ সালের সুগাউলি চুক্তি অনুযায়ী গঠিত হয়। কুমাওন জেলা টেরাই জেলা ও তার সদরদপ্তর কাশিপুর বাদে পুরো কুমাওন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত ছিল।[1] ১৮৩৭ সালে গারোয়ালকে আলাদা জেলার মর্যাদা দেয়া হয় এবং এর সদরদপ্তর হয় পুরি। ১৮৯১ সালে কুমাওন জেলাকে ভেঙে নৈনিতাল জেলা গঠিত হয় এবং কুমাওন জেলার নাম পরিবর্তন করে এর সদরদপ্তরের নামে আলমোড়া জেলা করা হয়।
১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত বাগেশ্বর জেলা, পিথোরাগড় জেলা, চম্পাবত জেলা এ জেলার অন্তর্গত ছিল।[2] ১৯৬০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আলমোড়া জেলা থেকে পিথোরাগড় জেলা গঠিত হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাগেশ্বর জেলা গঠন করা হয়েছিল। ২০১১ সালে অবশিষ্ট আলমোড়া জেলাকে ভেঙে রানিক্ষেত জেলা গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এখন বাস্তবায়ন করা হয়নি।
ভূগোল
আলমোড়া শহরটি একটি পাহাড়ের ঘোড়ার জিন আকৃতির শৈল্যশিরার উপরে অবস্থিত। শৈল্যশিরাটির পূর্ব অংশটি তালিফাত নামে পরিচিত এবং পশ্চিম অংশটি সেলিফাত নামে পরিচিত। তালিফাত ও সেলিফাত যেখানে যৌথভাবে সমাপ্ত হয়েছে, সেই শীর্ষস্থানটিতে বাজার অবস্থিত। বাজারটি ১.২৫ মাইল (২.০১ কিমি) দীর্ঘ এবং পাথরের স্ল্যাব দ্বারা আবৃত। বর্তমান সেনানিবাসের জায়গাটি আগে লালমণ্ডি নামে পরিচিত ছিল।
জনসংখ্যা
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনার তথ্য মতে, আলমোড়া জেলার জনসংখ্যা ৬২১,৯২৭ জন[3], যা সদ্য স্বাধীন দেশ মন্টিনিগ্রোর জনসংখ্যা সমান[4] অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টনের রাজ্যের জনসংখ্যার সমান। জনসংখ্যারভিত্তিতে এটি ভারতে ৫২৭তম (ভারতের মোট ৬৪০টি জেলা) জনবহুল জেলা। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্বের সংখ্যা ছিল প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৯৮ জন বাসিন্দা বা বর্গ মাইলে ৫৭০ জন। ২০০১-২০১১ এর দশ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৭৩%। আলমোড়ায় প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ১১৩৯ জন নারী রয়েছে, এবং সাক্ষরতার হার ৮১.৬%।
প্রশাসনিক বিভাগ
আলমোড়া জেলা ৯টি তফসিলে বিভক্ত: আলমোড়া, ভিকিয়াসাস, ভানোলি, চৌখুতিয়া, ডায়ারহাট, জৈনি, রানীক্ষেত, সোমেশ্বর এবং সুলত। এগুলো ডায়ারহাট, সল্ট, রানিখেত, সোমেশ্বর (এসসি), আলমোরা এবং জেসেজওয়ার্বর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত।
তথ্যসূত্র
- Martin, Robert Montgomery। History of the Possessions of the Honourable East India Company, Volume 1। পৃষ্ঠা 107।
- Times World Atlas, 1967 Edition, Plate 30.
- "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Montenegro 661,807 July 2011 est.