আর্থার শ্রিউসবারি

আর্থার শ্রিউসবারি (ইংরেজি: Arthur Shrewsbury; জন্ম: ১১ এপ্রিল, ১৮৫৬ - মৃত্যু: ১৯ মে, ১৯০৩) নটিংহ্যামশায়ারের নিউ লেনটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও রাগবি ফুটবল প্রশাসক ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে খেলছেন। ২৩ টেস্টে অংশ নিয়ে সাতটিতে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তন্মধ্যে, ৫ জয় ও ২ পরাজয়ের সন্ধান পায় তার দল। ১৯৫২ সালে লেন হাটনের অধিনায়কত্ব লাভের পূর্ব-পর্যন্ত তিনি শেষ পেশাদার ইংরেজ অধিনায়ক ছিলেন।

আর্থার শ্রিউসবারি
আনুমানিক ১৮৯৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আর্থার শ্রিউসবারি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামআর্থার শ্রিউসবারি
জন্ম(১৮৫৬-০৪-১১)১১ এপ্রিল ১৮৫৬
নিউ লেনটন, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৯ এপ্রিল ১৯০৩(1903-04-19) (বয়স ৪৭)
গেডলিং, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৫)
৩১ ডিসেম্বর ১৮৮১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২৪ আগস্ট ১৮৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৭৫-১৯০২নটিংহ্যামশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৩ ৪৯৮
রানের সংখ্যা ১২৭৭ ২৬৫০৫
ব্যাটিং গড় ৩৫.৪৭ ৩৬.৬৫
১০০/৫০ ৩/৪ ৫৯/১১৫
সর্বোচ্চ রান ১৬৪ ২৬৭
বল করেছে ১২ ১৬
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৯/– ৩৭৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ মে ২০১৭

১৯০২ সালের চূড়ান্ত মৌসুমসহ সাতবার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেন। পরবর্তী বসন্তে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে নটিংহ্যামশায়ারের গেডলিংয়ে স্বীয় ভগ্নীর বাড়ীতে গুলিতে আত্মহত্যা করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

উইলিয়াম শ্রিউসবারি ও মেরি অ্যান র‌্যাগ দম্পতির সপ্তম সন্তান ছিলেন আর্থার শ্রিউসবারি।[1] নটিংহ্যামশায়ারের নিউ লেনটন এলাকায় তার জন্ম। নটিংহামের পিপলস কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর ড্রাউটম্যান হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মিডো ইম্পেরিয়ালে তার শুরুরদিককার ক্লাব ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন যাতে উইলিয়াম স্কটনের ন্যায় ক্রিকেটার একত্রে খেলেছিলেন।[2] নটিংহাম কমার্শিয়াল ক্লাবে খেলাকালে কাউন্টি কর্মকর্তাদের কাছে তার প্রতিভা ধরা পড়ে।[3]

১২ মে, ১৮৭৩ তারিখে মাত্র ১৭ বছর বয়সে শ্রিউসবারি লর্ডসে ইংল্যান্ড কোল্টসের সদস্যরূপে এমসিসি’র বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন। তার ব্যাটিংয়ের ধরন অনেকাংশেই রিচার্ড ডাফটের অনুরূপ ছিল।[4] এ মৌসুমেই মিডো ইম্পেরিয়ালের পরিবর্তে মিডো উইলো সিসিতে রূপান্তরিত হয়।[5]

১৮৭৪ মৌসুমে জ্বরের কারণে অধিকাংশ সময়ই খেলা থেকে দূরে থাকেন।[6] ফলশ্রুতিতে মে, ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটেনি। ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে নটিংহ্যামশায়ারের সদস্যরূপে তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ঐ মৌসুমে ১৭.৩৮ গড়ে ৩১৩ রান তুলেন। তন্মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন।[7] ভেজা মৌসুমে কাউন্টির ব্যাটিং গড়ে তিনি চতুর্থ স্থান দখল করেন।[8]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

আলফ্রেড শজেমস লিলিহোয়াইট আট মাসের জন্য অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও আমেরিকা সফরের জন্য পরবর্তী শীতে সফরের আয়োজন করেন।[9] ১৮৮১-৮২ মৌসুমে উত্তর আমেরিকায় খেলার মাধ্যমে সফরের যাত্রা শুরু হয়। তবে, ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হওয়ায় সফরের প্রথমদিকে শ্রিউসবারি খেলতে পারেননি। কিন্তু তিনি সুয়েজ খাল দিয়ে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া চলে যান।[10] আমেরিকায় পাঁচ খেলায় অর্জিত আয় দিয়ে কেবলমাত্র ব্যয় নির্বাহ সম্ভব হয়।[11]

অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট শুরুর পূর্বে দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয় দলটি। দ্বিতীয় খেলায় সফরকারীরা ভিক্টোরিয়াকে পরাজিত করে। ফলো-অনে পড়েও দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রিউসবারির দৃঢ়তাপূর্ণ অপরাজিত ৮০* করলে দল জয় তুলে নেয়।[12] নববর্ষে প্রথম টেস্ট মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হয়। দশজনের একজন হিসেবে শ্রিউসবারির টেস্ট অভিষেক ঘটে। ড্র হওয়া খেলায় তিনি ১১ ও ১৬ রান তুলেন। নিউজিল্যান্ডে সাত খেলায় অংশ নেয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে বাকী তিন টেস্ট খেলে দলটি। সিডনিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ৭ ও ২২ রান করেন। তৃতীয় টেস্টে নিজস্ব সেরা খেলা উপহার দেন। আবারো সিডনিতে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টের উভয় ইনিংসে তিনি ৮২ ও ৪৭ রান করেন। পরবর্তী সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ইংরেজের ছিল ২৩।[13] চূড়ান্ত টেস্টে তিনি ১ রান তুলেন। তবে চূড়ান্ত দিনে বৃষ্টি আঘাত হানায় ইংরেজদের সম্ভাব্য জয় থেকে বঞ্চিত হলেও ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। সিডনি ও মেলবোর্নের খেলায় দর্শক জনপ্রিয়তা লাভ করলে তিন উদ্যোক্তার প্রত্যেকেই £৭০০ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন।[14]

সফর শেষে শ্রিউসবারি ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন ও অস্ট্রেলিয়ার উষ্ণ আবহাওয়ায় সতেজতার ভাব ফিরে আসে তার দেহমনে।[15] তিনি ও শ নটিংহ্যামশায়ার কমিটির কাছে পূর্ববর্তী মৌসুমের আচরণে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ও উভয়েই পুনরায় দলে ফিরে আসেন।[9]

১৮৮৪ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ তোলেন।[16] দ্বিতীয় টেস্টে ২৭ রান করেন ও তার দল ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। তৃতীয় টেস্ট ড্র হয়। ১৮৮৯ সালের পূর্ব-পর্যন্ত ডিক্লেয়ারের ব্যবস্থা প্রবর্তিত না হওয়ায় ৩১১ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৫৫১ রান তুলে। প্রত্যেক ইংরেজ খেলোয়াড়ই বোলিং করেন। উইকেট-রক্ষক আলফ্রেড লিটলটনের পর সকলের শেষে তিনিও বোলিং করেছিলেন।[17]

অধিনায়কত্ব

১৯০৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আর্থার শ্রিউসবারি

১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে লিলিহোয়াইট, শ ও শ্রিউসবারি অস্ট্রেলিয়ায় আরেকটি সফরের আয়োজন করেন। এ সফরে শ্রিউসবারি দলীয় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তিনি প্রথমবারের মতো ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। ঐ টেস্টে তিনি শূন্য ও অপরাজিত ২৬* রান তুললে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয় পায়। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয় পায়। তিনি ৭২ ও অপরাজিত ০* রান তুলেন। পরবর্তী দুই টেস্টে তার দল পরাজিত হয়। ঐ টেস্টগুলোয় তিনি ১৮, ২৪, ৪০ ও ১৬ রান করেছিলেন। মেলবোর্নের নিষ্পত্তিমূলক পঞ্চম টেস্টে তিনি অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে তিনি অপরাজিত ১০৫* রান তুলেন[18] ও নিজস্ব প্রথম সেঞ্চুরির সন্ধান পান।

১৮৯৩ সালে তিন টেস্ট খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড সফরে আসে। সাত বছর পূর্বেকার ইনিংসের ন্যায় শ্রিউসবারি আবারো খেলেন। তবে এবার চার্লস টার্নারের ন্যায় সেরা বোলার ছিল। বেশ ব্যাটিং অনুপযোগী উইকেটের প্রথম দিনেই শ্রিউসবারি করেন ১০৬ রান। এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, শ্রিউসবারির ব্যাটিং সত্যিকার অর্থেই ধৈর্যশীলতার পরিচায়ক ছিল। বলের নিখুঁত চিহ্নিতকরণ, মাঠের কঠিন পরিবেশেও প্রভূত্ব ঘটান যা অন্য কোন ব্যাটসম্যান সক্ষমতা দেখাতে পারেননি।[19] এই ইনিংস চলাকালে শ্রিউসবারি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১,০০০ টেস্ট রান তুলেন।[20] দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রান করলেও বৃষ্টির কারণে ড্রয়ে পরিণত হয়। সিরিজের বাকী টেস্টগুলোয় ৬৬, ১২ ও অপরাজিত ১৯* রান করলে ইংল্যান্ড অ্যাশেজ নিজেদের করায়ত্ত্ব করে। ৭১.০০ গড়ে ২৮৪ রান তুলে সিরিজে শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[21]

অর্জনসমূহ

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১,০০০ রান সংগ্রহ করেন।[22] ১৮৯৩ সালে লর্ডসে ১০৬ রানের ইনিংসে ৭ রানে থাকাকালে এ রেকর্ড গড়েন।[20] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১,২৭৭ রান তুলেন। পরবর্তীতে জানুয়ারি, ১৯০২ সালে জো ডার্লিং তা অতিক্রম করেন। ১৫ বছরের অধিক সময় শ্রিউসবারি তার রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখেন। কেবলমাত্র ক্লেম হিলওয়ালি হ্যামন্ডরেকর্ডটি দীর্ঘকাল অক্ষুণ্ন রেখেছিলেন।

তিন টেস্ট সেঞ্চুরির দুটিই করেছেন লর্ডসে। এ মাঠে করা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬৪ রান ১৯২৪ সালে জ্যাক হবস ভেঙ্গে ফেলেন। এ মাঠে ছয় ইনিংসে শ্রিউসবারি ৬৫.৮৩ গড়ে ৩৯৫ রান তুলেন।

মূল্যায়ন

নিস্তেজ উইকেটে বেশ দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন শ্রিউসবারি।[15] ডব্লিউ. জি. গ্রেসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়ে ১৮৮০-এর দশকে বৈশ্বিকভাবে পরিচিতি পান। গ্রেসকে তার দলের সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়ের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাধারণভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আর্থারকে দাও’। ১৮৯০ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন। এছাড়াও, ১৮৮৮ সালে প্রথমবারের মতো অস্ট্রালেশিয়া সফরে ব্রিটিশ আইলস রাগবি দলের সফর আয়োজন করেন তিনি।

দেহাবসান

২৭ সেপ্টেম্বর লেনটন ইউনাইটেডের পক্ষে খেলা চলাকালীন তিনি কিডনিতে ব্যথা অনুভব করেন। ঐ শীতে বিভিন্ন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। তবে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ তেমন কিছুই তার শরীরে পাননি। বসন্তকালে তার স্বাস্থ্যের উত্তরণ ঘটতে থাকে। ১৯০৩ সালে কাউন্টি ক্রিকেটও খেলতে থাকেন।[23]

১২ মে, ১৯০৩ তারিখে স্থানীয় বন্দুক বিক্রেতার কাছ থেকে রিভলভার ক্রয় করেন। বন্দুকে গুলি ভরে এক সপ্তাহ পর ফিরে আসেন। শ্রিউসবারি ভুল বুলেট ঢোকালে তাকে সঠিক বুলেট সরবরাহ করা হয়।[23] ঐ সন্ধ্যায় তিনি শয়ণকক্ষে যান ও নিজ বুকে গুলি করেন। তবে, আঘাত গুরুতর না হওয়ায় মাথায় গুলি করেন।[23] তার সঙ্গীনি গারট্রুড স্কট মাথায় রক্তক্ষরণ অবস্থায় দেখতে পান। চিকিৎসক আসলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তদন্তে দেখা যায় যে, শ্রিউসবারি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, তিনি আর কখনো আরোগ্য লাভ করবেন না। দুই দিন পর গেডলিংয়ের হ্যালোস চার্চে তার শবানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শ এন্ড শ্রিউসবারি

১৮৭৯ সালে উত্তর আমেরিকা সফরকালে শ্রিউসবারি আলফ্রেড শয়ের সাথে ব্যবসা চালানোর সিদ্ধান্ত পাকাপোক্ত করেন। নটিংহামের ক্যারিংটন স্ট্রিটে ‘দ্য মিডল্যান্ড ক্রিকেট, লন টেনিস, ফুটবল এন্ড জেনারেল অ্যাথলেটিক স্পোর্টস ডিপো’ প্রতিষ্ঠান গড়েন।[24] ১৮৮১-৮২ মৌসুমে লাভজনক সফরের পর ওয়াটারওয়ে স্ট্রিটে গ্রেশাম ওয়ার্কস নামে একটি কারখানা চালু করেন।[25] ১৮৮৪ সালের বসন্তে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘শ এন্ড শ্রিউসবারি’ রাখেন। ১৮৮৬ সালে তাদের ট্রেডমার্ক ছিল ক্রিকেট ব্যাটসহ ক্যাঙ্গারু ও এমু।[26]

১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরকালে আর্থিক ক্ষতিসাধিত হলে দ্বিতল ভবনে প্রতিষ্ঠানটি কুইন্স ব্রিজ রোডে একতলা ভবনে স্থানান্তর করা হয়।[27]

শ্রিউসবারির মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানের মালিকানা তার ভাই উইলিয়াম ও চার ভাইপোর মাঝে বিভক্ত করা হয়। ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয় ও গ্রেস অব ক্যামব্রিজি সমূদয় সম্পত্তি ক্রয় করে।[28]

তথ্যসূত্র

  1. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 2।
  2. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 4।
  3. Brief profile of Arthur Shrewsbury, CricketArchive সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  4. Batsman of the year – 1890, Cricinfo, সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  5. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 7।
  6. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 8।
  7. First-class Batting season by season, CricketArchive, সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  8. First-class Batting Averages 1875, CricketArchive, সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  9. Nottinghamshire's general strike, Cricinfo, সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  10. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 35।
  11. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 36।
  12. Victoria v A Shaw's XI 1881/2, Scorecard, CricketArchive, Retrieved on 17 February 2008
  13. Australia v England 3rd Test 1881/2, Scorecard, CricketArchive, সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  14. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 37।
  15. Wisden obituary, Cricinfo, Retrieved on 18 October 2007
  16. England v Australia 1st Test 1884, Scorecard, CricketArchive, সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  17. England v Australia 3rd Test 1884, Scorecard, CricketArchive, সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  18. Australia v England 5th Test 1884/5, Scorecard, CricketArchive, সংগৃহীত ১৯ অক্টোবর ২০০৭
  19. England v Australia 1st Test 1893 Wisden Report, Cricinfo, Retrieved on 29 November 2007
  20. England v Australia 1893 First Test scorecard, CricketArchive, Retrieved on 29 November 2007
  21. The Ashes, 1893 – Most runs, Cricinfo, Retrieved on 29 November 2007
  22. Conversions, centuries, stumpings and poppies, Cricinfo, Retrieved on 17 February 2008
  23. Shrewsbury's sorrows, Cricinfo, Retrieved on 14 January 2008
  24. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur। পৃষ্ঠা 18।
  25. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur। পৃষ্ঠা 38।
  26. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur। পৃষ্ঠা 43।
  27. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur। পৃষ্ঠা 103।
  28. Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৫)। Give Me Arthur। পৃষ্ঠা 152।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.