আরব সাগর
আরব সাগর (ইংরেজি: Arabian Sea) বা সিন্ধু সাগর ভারত মহাসাগরের অংশবিশেষ, যার পশ্চিমে রয়েছে আরব উপদ্বীপ এবং পূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশ। এর উত্তরে ইরান ও পাকিস্তান। দক্ষিণে এটি ভারত মহাসাগরের মূল অংশের সাথে মিলে গেছে। আরব সাগরের মূল বাহুগুলির মধ্যে আছে লোহিত সাগরের সাথে সংযোগকারী আদান উপসাগর এবং পারস্য উপসাগরের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী ওমান উপসাগর। আরব সাগরের সর্বোচ্চ বিস্তার ২,৪০০ কিলোমিটার। এর সর্বোচ্চ গভীরতা ৫,০০০ মিটার। পাকিস্তানের করাচি এবং ভারতের মুম্বাই এই সাগরের তীরে অবস্থিত প্রধান সমুদ্র বন্দর।
আরব সাগর | |
---|---|
![]() | |
![]() | |
স্থানাঙ্ক | ১৫°৫৫′১০″ উত্তর ৬৩°৫৪′২২″ পূর্ব |
সর্বাধিক প্রস্থ | ২,৪০০ কিমি (১,৫০০ মা) |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ৩৮,৬২,০০০ কিমি২ (১৪,৯১,০০০ মা২) |
সর্বাধিক গভীরতা | ৪,৬৫২ মি (১৫,২৬২ ফু) |
বর্ণনা


আরব সাগরের আয়তন ৩৮,৬২,০০০ বর্গ কিলোমিয়ার[1]। এর সর্বোচ্চ প্রশস্ততা প্রায় ২,৪০০ কিলোমিটার এবং এর সর্বোচ্চ গভীরতা ৪,৬০০ মিটার.[2]। সিন্ধু নদ হল আরব সাগরে পতিত সর্ববৃহৎ নদী।
আরব সাগরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা রয়েছে, এগুলো হল এডেন উপসাগর যা দক্ষিণ-পশ্চিমে বাব-আল-মান্দিবকে লোহিত সাগরের সাথে মিলিয়েছে আর একটি হল ওমান উপসাগর যা উত্তর-পূর্বে পারস্য উপসাগরকে আরব সাগরের সাথে মিশিয়েছে।
সোমালিয়া, জিবুতি, ইয়েমেন, ওমান, ইরান, পাকিস্তান, ভারত এবং মালদ্বিপের সাথে আরব সাগরের সংযোগ রয়েছে। আর কিছু বড় শহর যেমন করাচী, পানিশী, ওরমারা, এডেন, মাসকট, মুম্বাই, কেটি, সালালাহ ও দুকুম আরব সাগরের তীরে অবস্থিত।
বাণিজ্য পথ

শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে আরব বণিকেরা বিভিন্ন মহাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য এই আরব সাগরকে বাণিজ্য পথ হিসেবে ব্যবহার করেছে। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শহস্রাব্দকে নৌযাত্রার শহশ্রাব্দ বলা হয় আরব সাগরের ক্রমবর্ধমান নৌযাত্রার সূচনা হওয়ার ফলেই।
অতি প্রাচীন সয়তাগুলো এই আরব সাগরের তীর ঘেঁষে অনেক ছোট ছোট বন্দর তৈরী করেছিলো বিভিন্ন পন্যদ্রব্য ও মালামাল পরিবহনের জন্য। এদের মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা, আলেক্সান্দ্রিয়া সভ্যতা অন্যতম। এইসব প্রাচীন সভ্যতা থেকে সূচনা হয়ে আজ পর্যন্ত আরব সাগর সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট হিসেবে আজও অতি গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র
- Arabian Sea, Encyclopædia Britannica
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৩।