আম্মাজান

আম্মাজান কাজী হায়াৎ পরিচালিত ১৯৯৯ সালের বাংলাদেশী অপরাধধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র। এটি প্রযোজনা করেছেন ও কাহিনী লিখেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন কাজী হায়াৎ। এতে নাম ভূমিকায় (আম্মাজান) অভিনয় করেছেন শবনম[3] এবং তার পুত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মান্না। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, আমিন খান, ডিপজল, মিজু আহমেদ প্রমুখ।[4]

আম্মাজান
আম্মাজান চলচ্চিত্রের ডিভিডি প্রচ্ছদ
পরিচালককাজী হায়াৎ
প্রযোজকমনোয়ার হোসেন ডিপজল
রচয়িতাকাজী হায়াৎ (সংলাপ)
চিত্রনাট্যকারকাজী হায়াৎ
কাহিনিকারডিপজল
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারআহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
চিত্রগ্রাহকহারুন আল রশিদ
সম্পাদকআমজাদ হোসেন
পরিবেশকঅমি বনি কথাচিত্র
মুক্তি২৫ জুন ১৯৯৯[1]
দৈর্ঘ্য১৪৫ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
নির্মাণব্যয়১ কোটি ২ লাখ টাকা
আয়১১ + কোটি [2]

আম্মাজান ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশে মুক্তি পায়।[5] এটি ওই বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র২৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে কাজী হায়াৎ শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন এবং চলচ্চিত্রটি বাচসাস পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও মান্নার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারসহ মোট পাঁচটি পুরস্কার লাভ করে।

অভিনয়শিল্পী

  • শবনম - আম্মাজান / জাহানারা আহমেদ
  • মান্না - বাদশাহ
    • সোহেল - কিশোর বাদশাহ
  • মৌসুমী - রিনা
  • আমিন খান - মিজান, রিনার কলেজের বন্ধু ও প্রেমিক।
  • মনোয়ার হোসেন ডিপজল - কালাম, বাদশাহের বন্ধু ও পরে খুনী।
  • মিজু আহমেদ - আজিজ আহমেদ খান, বিরোধী দলীয় নেতা ও রিনার বাবা।
  • সিরাজ হায়দার - লাল মিয়া, বাদশাহের বাবা।
  • দারাশিকো - মোজাম্মেল আহমেদ
  • দুলারী চক্রবর্তী - রেহানা
  • সাদেকুর রহমান হিরু - নবাব, বাদশাহের একান্ত সহচর।
  • মোঃ ইসমাইল আহমেদ
  • ইমরান নাজিম
  • আন্না - কুসুম, বাদশাহের পালিত বোন ও নবাবের স্ত্রী।
  • জ্যাকি আলমগীর
  • কালা আজিজ

নির্মাণ

অভিনয়শিল্পী নির্বাচন

কাজী হায়াৎ আম্মাজানের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শাবানা কে অনুরোধ করেছিলেন, শাবানা প্রথমে সম্মতি দিলেও পরে অভিনয় করেননি। তার বদলে শবনম আম্মাজানের চরিত্রে অভিনয় করেন।[6] এই ছায়াছবির প্রযোজক ডিপজল প্রাথমিকভাবে মান্নাকে নিতে চাননি। কাজী হায়াতের অনুরোধে মান্নাকে এই চলচ্চিত্রে নেয়া হয়। এছাড়াও হুমায়ূন ফরিদিকেও একটি চরিত্রের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল, কিন্তু পরে তাঁকে নেয়া হয়নি।[7]

সঙ্গীত

আম্মাজান চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন এবং গীত লিখেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ছবিতে পাঁচটি গান রয়েছে। আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠে "আম্মাজান" গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।[8] এছাড়া আইয়ুব বাচ্চু ও শাকিলা জাফরের কণ্ঠে "তোমার আমার প্রেম" গানটি শ্রোতাপ্রিয় হয়।[9]

গানের তালিকা
নং.শিরোনামকণ্ঠশিল্পীদৈর্ঘ্য
১."আম্মাজান"আইয়ুব বাচ্চু০৫:৫৪
২."র‍্যাগ ডে"খালিদ হাসান মিলু, কনক চাঁপা:
৩."তোমার আমার প্রেম একজনমের নয়"আইয়ুব বাচ্চু, শাকিলা জাফর:
৪."স্বামী আর স্ত্রী বানায় যে জন মিস্ত্রি"আইয়ুব বাচ্চু০৪:১০
৫."ও ছেমরি তোর কপাল ভালো"আগুন:

নির্মাণ ব্যয় ও আয়

চলচ্চিত্রটি নির্মাণে এক কোটি দুই লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। মুক্তির আগের দিন এই ছবির প্রযোজক প্রযোজনা ও সঙ্গীত সত্ব বিক্রি করে এক কোটি চার লাখ টাকা আয় করেন। মুক্তির আগের দিনই চলচ্চিত্রটি দুই লাখ টাকা মুনাফা করে।[7]

পুরস্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
বাচসাস পুরস্কার[11]
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র - আম্মাজান
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - মান্না
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার - কাজী হায়াৎ
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা - কাজী হায়াৎ
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ গীতিকার - আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী - আইয়ুব বাচ্চু
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার

অন্যান্য তথ্য

৩৫ মিমি ফরম্যাটে ধারণকৃত এই চলচ্চিত্রের ষাটটি প্রিন্ট করা হয়েছিল।[7]

তথ্যসূত্র

  1. "Movie List 1999"বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  2. Dhakatimes24.com। "অথচ মান্নার 'আম্মাজান' সিনেমা করার কথাই ছিল না"Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৮
  3. "Shabnam to return to films after 12 years"দ্য ডেইলি স্টার। ৬ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৭
  4. "ফিল্ম আর্কাইভ"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০
  5. "আমার চোখে বাচ্চুর মুখটাই ভাসছিল : বুলবুল"Risingbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০২
  6. "আরো খবর"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০২
  7. "যে কারণে মান্নার 'আম্মাজান' ছবিটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাবানা"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২৭
  8. "মা, আম্মা, আম্মাজান এবং তাদের উৎসর্গে কিছু বাংলা সিনেমার গান!"বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ৯ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৭
  9. "মৌসুমীর ঠোঁটে জনপ্রিয় ১০ গান"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৩ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৭
  10. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫
  11. জোয়াদ, আবদুল্লাহ (২০১০)। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: পাঁচ দশকের ইতিহাস। ঢাকা: জ্যোতিপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৪৮০। আইএসবিএন 984-70194-0045-9।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.