আমিষ (চলচ্চিত্ৰ)

আমিষ ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া অসমীয়া ভাষার একটি চলচ্চিত্ৰ। চলচ্চিত্ৰটির পরিচালক এবং লেখক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী ভাস্কর হাজরিকা। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে নবাগত লিমা দাস এবং অৰ্ঘ্যদ্বীপ অভিনয় করেছে। ছবিটির অন্যান্য সহকারী চরিত্ৰসমূহ হল: নিতালি দাস, সাগর সৌরভ এবং মানস কে. দাস। ২০১৯ সালের ২৮ এপ্ৰিলে ছবিটি ট্ৰাইবেকা চলচ্চিত্ৰ মহোৎসবে মুক্তি লাভ করেছিল। এই মহোৎসবে ছবিটি 'ইন্টারন্যাশনাল নেটিভ' পাঁচটি ভিন্ন বিষয়ে মনোনয়ন লাভ করেছিল।[1] ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বরে ছবিটি ছবিগৃহে মুক্তি লাভ করে।[2] এর সাথে অনলাইন পরিবেশক হিসাবে ছিল মুভিচেইন্ট[3][4]

আমিষ
পরিচালকভাস্কর হাজরিকা
প্রযোজকপুনম দেউল
শ্যাম বরা
রচয়িতাভাস্কর হাজরিকা
শ্রেষ্ঠাংশেলিমা দাস
অৰ্ঘ্যদ্বীপ বৰুৱা
সুরকারকুয়ান বে
চিত্রগ্রাহকরিজু দাস
সম্পাদকশ্বেতা রায় চামলিং
প্রযোজনা
কোম্পানি
চিগনাম প্রোডাকশন, মেটানৰ্মেল, উইছবেরী ফিল্মস
মুক্তি
  • ২৮ এপ্রিল ২০১৯ (2019-04-28) (ট্ৰাইবেকা চলচ্চিত্ৰ মহোৎসব )
  • ২২ নভেম্বর ২০১৯ (2019-11-22) (ভারত)
দৈর্ঘ্য১০৮ মিনিট
দেশভারত
ভাষাঅসমীয়া ভাষা

কাহিনী

গল্পের প্রধান চরিত্র নির্মলী একজন বিবাহিত শিশু বিশেজ্ঞ। যিনি গুয়াহাটিতে তার স্বামী দিলীপ ও ছেলে পিকুকে নিয়ে বসবাস করে৷ তার একমাত্র ছেলেকে ঘিরেই তার অবসর সময় আবর্তিত হতে থাকে। একদিন ঘটনাচক্রে সুমন নামের এক পিএইচডি স্টুডেন্টের সাথে তার পরিচয় হয়ে যায়। সুমন উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খাদ্যাভ্যাস নিয়ে গবেষণারত। পরিচয়ের সূত্রতা ধরে সুমন প্রতিদিন তাকে বিভিন্ন ধরনের মাংসের আইটেম রান্না করে খাওয়াতে থাকে। ধীরে ধীরে তাদের পরিচয় গভীরতর হতে থাকে। নির্মলীও আকর্ষিত হতে থাকে সুমনের প্রতি, তার রান্না করা হরেকরকমের মাংসের প্রতি। গবেষণারত সুমনের ধারণা ছিল পৃথিবীতে এমন কোন প্রাণি নেই যার মাংস খাওয়া যায় না। এই বিষয়টা কোন সমাজে স্বাভাবিক আবার একই জিনিস অন্য সমাজে অস্বাভাবিক, নিষিদ্ধ। এই ধারণার প্রতি নির্মলার আগ্রহ জন্মায়। সুমনও আগ্রহ বুঝতে পেরে তাকে বাদুড়ের মাংস রান্না করে খাওয়ায়। শেষত ব্যাপারটাকে আরো অদ্ভুত করতে সুমন নির্মলীকে নিজের মাংস খাওয়ানোর কথা ভাবে। পরিচিত এক পশু চিকিৎসকে মানিয়ে উরু থেকে একটুকরা মাংস কেটে রান্না করে নির্মলীকে দেয়, এটা না জানিয়েই যে সেটা মানুষের মাংস ছিল। নির্মলী না জেনে মাংস যখন খেতে থাকল তখন যেন সে নিজের আত্মাকে অনুভব করতে লাগল। মানুষের মাংস জানতে পেরেও ঐশ্বরিক সুখানুভব ও অদ্ভুত ভালোলাগা অনুভব করায় সে এর প্রতি আসক্ত হতে থাকে, আর এদিকে নিজের মাংসের বিভিন্ন আইটেম রান্না করে খাওয়াতে থাকে সুমন। সুমন নিজের মাংস খাওয়ানোর উদ্দেশ্য ছিল তারা শারীরিক সম্পর্ক করবে না কারণ সেটা অনৈতিক। আর সুমনের মাংস খেলে নির্মলী একই ভাবে তৃপ্ত হয় যেভাবে শারীরিক সম্পর্ক করলে হয়। নির্মলীও অবশ্য একবার নিজের মাংস সুমনকে খাইয়েছিল। যদিও নির্মলী বুঝছিল তার আসক্তি দিনে দিনে আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছিল তবুও নির্মলী কিছুই করতে পারছিল না। এমনকি নির্মলী মর্গ থেকে লাশের মাংস খাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল। নির্মলী একদিন ভরপেট মানুষের মাংস খেয়ে এই অভ্যাস ছেড়ে দেবে বলে প্রতিজ্ঞা করল। এইজন্য সুমন অন্ধ প্রেমের পরিণতি স্বরূপ এক রিকশাওয়ালাকে মেরে কাটতে থাকে। ভাগ্যক্রমে পাশ দিয়ে যাওয়া কিছু পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। নির্মলীকেও গ্রেফতার করা হয়। শেষ দৃশ্যে নির্মলী ও সুমনের হাতে হাত স্পর্শ করার মাধ্যমে সিনেমা শেষ হয়।

চরিত্ৰসমূহ

  • লিমা দাস : ডাঃ নিৰ্মালী
  • অৰ্ঘ্যদ্বীপ বরুয়া : সুমন
  • নিতালি দাস : জুমি
  • সাগৰ সৌৰভ : ডা: ইলিয়াছ
  • মানস কে. দাস : দিলীপ
  • উৎকল হাজোরেরী : ইন্সপেক্টর
  • চন্দন ভূঞা : বরা
  • সমরজ্যোতি চরকার : রিক্সাচালক
  • সিদ্ধাৰ্থ বড়ো : এডি
  • মমী বরা : মীনা
  • জিষ্ণু কাশ্যপ : পিকু
  • উদ্দীপ্ত কুমার ভট্টাচার্য : সুমনর বন্ধু রাজেশ

পুরস্কার ও সম্মাননা

সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়া আন্তঃরাষ্ট্ৰীয় চলচ্চিত্ৰ মহোৎসবে[5]

  • শ্ৰেষ্ঠ অভিনেত্ৰী : লিমা দাস
  • শ্ৰেষ্ঠ পৰিচালক : ভাস্কর হাজারিকা

চতুৰ্থ সংখ্যক শৈলধর চলচ্চিত্ৰ পুরস্কার ২০১৯[6]

  • শ্ৰেষ্ঠ অভিনেত্ৰী : লিমা দাস
  • শ্ৰেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : কুয়ান বে
  • শ্ৰেষ্ঠ শব্দ গ্ৰহনকারী : গৌতম নায়ার

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.